মানিলন্ডারিং বৃদ্ধি পেয়েছে: শুল্ক গোয়েন্দা
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) কাস্টমস গোয়েন্দার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি ।
ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার বেড়ে গেছে । তবে এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত কিছু প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক ফাঁকি বা চোরাইভাাবে আনা বিলাসবহুল গাড়ি সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা এসব অসৎ উপায় ব্যবহার করে বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ইতিমধ্যে অপনারা দেখেছেন বেশ কয়েকটি অভিযানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা গাড়ি আটক করেছি। অনেকে আবার ভয়ে গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখে চলে গেছে।
এ সময় উত্তরা ক্লাবের আটককৃত ৫ কোটি টাকার মদের বিষয়ে তিনি বলেন, আটককৃত মদের বিপরীতে কোনো ধরণের কাগজ দেখাতে পারেনি উত্তরা ক্লাব। তাদের এখানে বারের লাইসেন্স থাকলেও অনেক দিন ধরে মদ আমদানি করে না। আর এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো কাগজও দেখাতে পারেনি।
চোরাই বা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা মদ রাজধানীর অনেক অভিজাত ক্লাবে আছে বলে জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে শুধুমাত্র উত্তরা ক্লাব নয়, রাজধানীর অনেক অভিজাত ক্লাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মদ আনা হচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে ঐসব ক্লাবেও অভিযান চলবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।