বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠাতে মেহেরপুরে টিটিসি



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর: দক্ষ মানব সম্পদ পাঠিয়ে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি ও বেকারদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য নিয়ে মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) পথচলা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২৬ জন প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হয়েছে। শ্রমিক হিসেবে নয় দক্ষতার আলোকেই নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্রশিক্ষণার্থীরা।

অপরদিকে প্রশিক্ষণের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশেই জীবন গড়ার স্বপ্নও দেখছে কিছু যুবক।

টিটিসি সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাস থেকে মেহেরপুর টিটিসি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। কম্পিউটার অপারেশন, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল, মেশিন টুলস অপারেশন, সিভিল কনস্ট্রাকশন ও গার্মেন্টস ট্রেডে ৬ মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। ১৬-২০ বছর বয়সীদের জন্য নিয়মিত (সকালে) এবং ১৭-৩৫ বছর বয়সীদের জন্য স্বনির্ভর (বিকেলে) ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ চলছে। নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে মাসিক ১ হাজার টাকা বৃত্তির ব্যবস্থা। যার মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারছে। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেই বিদেশ গমন কিংবা দেশেই স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রায় বিনামূল্যে দক্ষতা অর্জনের এমন সুযোগ মেহেরপুর জেলায় এই প্রথম। তাই আগ্রহীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর একটি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশগামী কর্মীর প্রায় অর্ধেকই ছিলেন অদক্ষ। ফলে কর্মসংস্থানের বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত রেমিটেন্স আনতে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি সরকার। যদি দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করা যায় তাহলে রেমিটেন্সের হার অনেক বাড়বে। তাই বিএমইটি টিটিসির মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়া জোরদার করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য শীল দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিই এর মূল লক্ষ্য।

মেহেরপুর টিটিসির জেনারেল ইলেকট্রিক্যালের ছাত্র আলা উদ্দীন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলেকট্রিক্যাল কাজে ভালো বেতন পাওয়া যায় বলে শুনেছি। তাই এখানে ভর্তি হয়েছি। কোর্স শেষ করে ভিসার জন্য চেষ্টা করবো।’

মুঠোফোনে কাতার প্রবাসী মেহেরপুরের পূর্ব মালসাদহ গ্রামের শামীম রেজা বলেন, ‘আমার মতো অনেক বাংলাদেশি কাতারে ইলেকট্রিক্যালসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে সুনাম অর্জন করছেন। কিন্তু দেশ থেকে আসার সময় আমাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার সনদপত্র ছিল না। হাতে-কলমে শিখে আমরা দক্ষতা অর্জন করেছি। আমাদের এখানে কাজ করা সনদপত্রধারী অনেক ভারতীয় ফোরম্যান হিসেবে কাজ পেয়েছেন। তারা বেতনও পাচ্ছেন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। তাই নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে যদি দক্ষতার সনদপত্র নিয়ে কাজ করতে আসে তাহলে অনেক ভালো করা যাবে।’

টিটিসি সূত্রে জানা গেছে, বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্স ছাড়াও বিদেশগামীদের জন্য তিন দিনের ওরিয়েন্টেশন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দেশের স্বাস্থ্যবিধি, আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় আইন-কানুন, কর্মপরিবেশে করণীয়, টাকা পাঠানোর বৈধ উপায়, বিপদে পড়লে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের নিয়ম ও দালালদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়গুলো শেখানো হয়।

মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দক্ষ মানব শক্তি তৈরি করছি। বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো ও দেশেই বিষয়ভিত্তিক হাতের কাজ করতে পারবে তারা। এছাড়াও উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের ডাটাবেজ তৈরি করছে বিএমইটি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো দেশে কর্মী পাঠানোর চাহিদা পেলে ডাটাবেজ অন্তর্গতরা অগ্রাধিকার পাবে।’

উল্লেখ্য, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বিসিক সংলগ্ন এলাকায় মেহেরপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি (টিটিসি) নির্মাণ করেছে। ২০১৪ সালের মার্চ থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টিটিসিতে একাডেমিক ভবন, প্রশিক্ষণার্থী ভবন, ডরমেটরি, প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, সাব স্টেশন, সাইকেল গ্যারেজ ও গার্ডরুমসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষতা না থাকায় অন্য দেশের চেয়ে বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এবার দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

   

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;