যে কারণে আ‌রিফুল আবারও শক্ত প্রার্থী



সা‌ব্বির আহ‌মেদ, সি‌নিয়র ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট থেকে: বাস থে‌কে নে‌মেই চোখ যায় টার্মিনালের যত্রতত্র হ-য-ব-র-ল গা‌ড়ির বহরে। আ‌রিফুল হক ৬০ কো‌টি টাকায় নির্মিত নতুন টা‌র্মিনা‌লে গাড়িগুলো নিয়ে যাচ্ছেন।

মূল শহ‌রে ঢুক‌লেই সি‌লে‌টের প্রাণ বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকা। আগের চেয়ে প‌রিচ্ছন্ন। ফুটপাতগু‌লো দখলমুক্ত। হাঁটাচলার জন্য য‌থেষ্ট জায়গা। জলাবদ্ধতা যে শহ‌রের মুল সমস্যা এখন সেখানে বর্ষা মৌসু‌মেও এক ফোটা পা‌নি খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিলেট সিটি করপোরেশেনের উন্নয়ন এখন এমন দৃশ্যমান। মেয়র আরিফুল তার ৫ বছর মেয়াদের আড়াই বছরে এ প‌রিবর্তন  এনে‌ছেন। বাকি আড়াই বছ‌র ছি‌লেন জে‌লের ভেত‌রে।

আরিফুল ব‌লেন, আড়াই বছ‌রে ৬০ থে‌কে ৭০ ভাগ কাজ ক‌রে‌ছি। জে‌লে না থাকলে শতভাগ কাজ করতে পেরেছি বল‌তে পারতাম।

‌মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর আরিফ প্রায় ২৯ মাস সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাবন্দি ছিলেন। মেয়র নির্বা‌চিত হওয়ায় তাকে ঘটনার ১২ বছর পর আসামী করা হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জানান তি‌নি।

আ‌রিফুল হক চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর অ্যাকশন ভূ‌মিকায় ছি‌লেন প্র‌তি‌নিয়ত। ছড়া, খাল উদ্ধারে যখন তখন অ‌ভিযা‌ন চালিয়েছেন। যা শহ‌রের জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ ফলপ্রসু ভূ‌মিকা রাখে।

আ‌রিফুল ব‌লেন, মহানগরের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন থেকে শুরু করে ছড়া খাল উদ্ধার পর্যন্ত যা করেছি, সবকিছুই বৃহত্তর স্বার্থে করেছি। নতুন প্রজন্মের কথা চিন্তা করে করেছি।

/uploads/files/b2ydMTpOdXmdbWWVGWRKnr6TVnu6RGlE9cWOxtNc.jpeg

হঠাৎ হঠাৎ বুলডোজার নি‌য়ে দখলকৃত দেওয়াল, ছড়া খা‌লের ওপর তৈরি স্থাপনা ভেঙে চুরমার ক‌রে দি‌তেন আ‌রিফ।

আর এসব কার‌ণে আ‌রিফ কিছু অং‌শের কা‌ছে বিরাগভাজনও হ‌য়ে‌ছেন। এমন‌কি আরিফুল হ‌ক রাস্তা দখলমুক্ত কর‌তে গি‌য়ে জোটের শরিক দল জামায়া‌তের স‌ঙ্গে বিবা‌দে জ‌ড়ি‌য়ে‌ছি‌লেন।

ত‌বে আ‌রিফুল হক বল‌লেন , এসব নগরবাসীর জন্য করে‌ছেন ব‌লে তারা তা‌কে ভোটের মা‌ঠে সু‌বি‌বেচনায় রাখ‌বেন।

এবারের সিলেট সিটি নির্বাচনে নগরবাসী আবারও মেয়র হিসেবে দেখতে চান বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হককে। সিএন‌জি অটো‌রিকশা ড্রাইভার, রিকশা চালক এমন‌কি নগরীর চাক‌রিজীবী শ্রেণিরও পছ‌ন্দের তা‌লিকায় প্রার্থী হি‌সে‌বে আস‌ছে আ‌রিফুলের নাম বলে জানায় তার নির্বাচন কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।  

আ‌রিফুল জানান, দেশ‌সেরা প্র‌কৌশলী জা‌মিলুর রেজাসহ বি‌শেষজ্ঞদের সমন্ব‌য়ে সিলে‌টের মাস্টারপ্লান অনু‌মোদ‌নের জন্য মন্ত্রণালয় পা‌ঠি‌য়ে‌ছি। এরপরই আমার মেয়াদ শেষ হ‌য়ে গে‌ছে। নির্বা‌চিত হ‌য়ে সেই মাস্টারপ্লান ধ‌রে কাজ কর‌তে চাই। মাস্টারপ্লা‌নের প‌রিবল্পনায় সিলেট নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি সংকটের সমাধান, স্বাস্থ্যসেবা, আধুনিক বহুতল পার্কিং ভবন নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন, সড়ক সম্প্রসারণ, বিনামূলে ওয়াইফাই সেবা, বিনোদনের সর্বোত্তম ব্যবস্থা অর্ন্তভুক্ত।

মেয়র হ‌য়ে আ‌রিফুল জন‌প্রিয়তা বাড়া‌লেও ভো‌টের মা‌ঠে জ‌য়ী হ‌তে বাঁধা পেরুতে হবে তাকে। তার দ‌লের আ‌রেকজন প্রার্থী হ‌য়ে বাঁধ সে‌ধে‌ছেন। জোটের শরিক দল জামায়াতও দিয়ে‌ছে আলাদা প্রার্থী। অপর‌দি‌কে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভা‌বে একক প্রার্থীর সমর্থ‌নে প্রচারণায় সরগরম। তা‌দের প্রার্থীও দুই বারের মেয়র বদরউ‌দ্দিন আহমদ কামরান।

সব সমীকর‌ণ মিলে ৩০ জুলাই‌য়ের নির্বাচন আরিফুল হক চৌধুরীর সাম‌নে বেশ চ্যালেঞ্জ। যদিও এ চ্যালেঞ্জ মোকা‌বেলায় প্রত্যয়ী দেখা যা‌চ্ছে আরিফুলকে। গণনায় ধর‌ছেন না জামায়াত ও তার দল বিএন‌পি থে‌কে ব‌হিষ্কৃত হওয়া প্রার্থীকেও।

/uploads/files/utE6fvqTB5hhpeanDiowruGSOCOq3YzcsxKmy3sn.jpeg

নির্বাচনে সরকারকে কোনো 'কূটকৌশল' খাটাতে দিবে না বলে জানান আরিফুল ও তার সমর্থকরা। নির্বাচনে মরণপণ লড়াই করার ঘোষণা আ‌গেই দি‌য়ে‌ছেন আ‌রিফুল। হুঁশিয়া‌রি দি‌য়ে বল‌ছেন, 'এটা সিলেট; প‌বিত্র ভূ‌মি। এখা‌নে কেউ পাপ ক‌রে টিকে থাক‌তে পা‌রবে না। অলি আউ‌লিয়ার মা‌টি‌তে সরকা‌রের কর্মকর্তা আমলারা অ‌নিয়ম কর‌লে স‌ঙ্গে প্র‌তি‌শোধ নেওয়া হয়ে যায়।'

সি‌লে‌টের মানু‌ষের প্রত্যাশা শা‌ন্তিপূর্ণ নির্বাচন। গত এক সপ্তা‌হে একা‌ধিকবার মেয়র প্রার্থীরা এক‌ত্রিত হ‌য়ে হাতে হাত ‌রে‌খে‌ছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য। তা‌দের হাসিমুখ সাধারণ মানুষ‌কে শান্তিপূর্ণ ভো‌টের ই‌ঙ্গিত দি‌য়ে‌ছে।

তরুণ ভোটার ও রেস্টু‌রেন্ট উ‌দ্যোক্তা আব্দুল্লাহ চৌধুরী ব‌লেন, অতী‌তে কোন মেয়র চৌহাট্টার ৪০ ফুট রাস্তা‌কে ২০০ ফুট করার উ‌দ্যোগ নেন নি, আম্বরখানার ম‌তো গুরুত্বপূর্ণ প‌য়ে‌ন্টের ব্যা‌ক্তি দখ‌লে চ‌লে যাওয়া ভূ‌মি উদ্ধার করে সড়ক সম্প্রসারণ করেন‌নি। সদ্য সা‌বেক মেয়র আ‌রিফ এসব ক‌রে‌ছেন। তার দৃশ্যমান এসব উন্নয়নের কার‌ণে মানু‌ষের দৃ‌ষ্টি‌তে তি‌নি লে‌গে আ‌ছেন।

‌সি‌লেট জর্জ‌কো‌র্টের তরুণ আইনজী‌বি মশিউর রহমান চৌধুরীর চো‌খেও উন্নয়ন বড়। যি‌নি উন্নয়ন ক‌রে‌ছেন, নগ‌রে চল‌তে ফির‌তে স্ব‌স্তি দি‌য়ে‌ছেন তারই আবার মেয়র হওয়া উ‌চিত।

পরিবর্তন ও উন্নয়নের স্লোগান তুলে ২০১৩ সালের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১ হাজার ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়ে‌ছি‌লেন আ‌রিফুল। ওই নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৩০ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছিলেন ৭২ হাজার ১৭৩ ভোট। এবারের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরান। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএন‌পি থে‌কে বি‌দ্রোহী হ‌য়ে ব‌হিষ্কৃত হওয়া প্রার্থী মহানগর বিএন‌পির সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সে‌লিমও। নিজস্ব প্রার্থী নি‌য়ে মা‌ঠে নেমেছে জামায়াতও। আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচন। প্রচারণায় জমজমাট এখন সি‌লে‌ট নগ‌রের পথঘাট।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;