জয়তু বার্তা২৪.কম
এখন পূর্ণকালীন রাজনীতি করলেও একদা সাংবাদিকতা করার কারণে মিডিয়া আমার প্রিয় বিষয়। পেশাগত জীবনে প্রযুক্তি ও কৌশল নিয়ে কাজ করি বলে একবিংশ শতককে অনলাইন, সাইবার মিডিয়ার কাল বলেও বিশ্বাস করি।
ফলে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতার স্থপতি শ্রদ্ধাভাজন আলমগীর হোসেন যখন বার্তা২৪.কমকে নিয়ে একটি টোটাল অনলাইনের উদ্বোধন করেন, তখন আশাবাদী চোখে তাকিয়ে থাকি। এবং স্বল্প সময়ে বার্তা২৪ লক্ষ পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে ফেলার অবিস্মরণীয় ঘটনায় অবাক হই না। কারণ সমকালের সাংবাদিকতায় আলমগীর হোসেন হলেন সেই আইকন, যার সাফল্যের মুকুটে ঝলমল করছে অসংখ্য স্বর্ণালী পালক।
গত বছর (২০১৭) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র 'একবিংশ শতকের গণমাধ্যম' বিষয়ে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে। সেখানে উপাচার্য, ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও সিনিয়র অধ্যাপকদের সামনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্পাদক আলমগীর হোসেন এবং ঘটনাচক্রে সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলাম আমি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার সূচনা করার নিজস্ব স্মৃতির সঙ্গে সঙ্গে যে স্বপ্ন, চেতনা ও দৃষ্টভঙ্গির পরিচয় দেন, তাতে উপস্থিত বিদ্বান সমাজ সর্বসম্মতভাবে আলমগীর হোসেনকে 'বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ' হিসাবে অভিহিত ও সম্মাননা জানান।
বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকতার সূচনা করার আগে তৎকালের প্রধান দৈনিক ইত্তেফাক, কলকাতার আনন্দবাজার, নিজের সাময়িকী একাত্তর হয়ে আলমগীর হোসেন ক্যারিয়ার সাংবাদিকতায় শিখরস্পর্শী সাফল্য দেখান। পেশাগত সাংবাদিকতার ক্লাসিকাল দৃষ্টান্ত তিনি। পেশা ও ব্যক্তিত্বে তাঁর কালের সংবাদপত্র জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র তিনি।
অতএব তিনি সর্বদাই উৎসাহী ও বোদ্ধা পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন। খবর ও খবরের পেছনের নৈব্যক্তিক ঘটনাবলি সর্বাগ্রে ও দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়ার কৃতিত্বের পাশাপাশি তিনি প্রকৃত খবরটিকেই তুলে আনেন। খবরের গভীরতার নিরিখে নির্ধারণ করেন পোর্টালের বিন্যাস, যে বিন্যাসে দেশ, জাতি ও পাঠকের স্বার্থের বাইরে আর কিছুই স্থান পায় না।
রাজনীতির মাঠে থাকার জন্য আমাকে নিবিড়ভাবে মিডিয়ার সঙ্গে থাকতে হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনন্য সম্পাদক আলমগীর হোসেন যখন যে পোর্টালে ছিলেন না কেন, শ্রেষ্ঠতম অবস্থানে সেটিকে নিয়ে গেছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রামের হাওরাঞ্চলের বন্যা, প্রাণবৈচিত্র, মাছ, পাখি নিয়ে তিনি একের পর এক রিপোর্ট করিয়েছে। নদী খনন করে হাওরের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের রূপরেখা দিয়েছেন। তাঁর মিডিয়ানীতির কারণে মানুষ উপকৃত হয়েছে।
শুধু হাওর নয়, লাউয়াছড়া, মধুপুর, সুন্দরবন, চলনবিলকে তিনি ফোকাস করেছেন। প্রাণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাঁর মতো সম্পাদক বিরল। দেশে ও বিদেশে মানুষে সমস্যা, খবর, ফিচার সরাসরি রিপোর্টার পাঠিয়ে তরতাজা ও সবশেষ আপডেটসহ সরেজমিনে সংগ্রহ করে সবচেয়ে আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
বাসী, বানোয়াট, পুরনো খবরের কবর রচনা করে যে দূরদর্শী ও ভবিষ্যতমুখী সম্পাদক মুহূর্তের খবর সেই মুহূর্তেই দিতে সঙ্কল্পবদ্ধ তাকে কে থামাবে? তারুণ্য ও প্রাজ্ঞতায় যিনি রজতশুভ্র উজ্জ্বল এবং গড়ে তোলেন প্রজন্মের যোগ্যতমদের কমিটেট টিম, তাকে রুখবে সাধ্য কার? তাঁর নেতৃত্বে পেশাগত সততা ও দক্ষতার আলোর বলয় যাদের চারপাশে পবিত্র ব্যূহ রচনা করেছে, তাদের জয় অনিবার্য।
ভালেবাসার লক্ষ প্রদীপের দীপ্তশিখায় পাঠকসমাজ বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছে সেই সমর্থন ও আস্থার প্রতীতি। অভিনন্দন এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন। জয়তু বার্তা২৪.কম।
প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। মহামান্য রাষ্ট্রপতির জেষ্ঠপুত্র। জাতীয় সংসদে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।