ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে গ্রামের মানুষ, স্বাবলম্বী হচ্ছে উদ্যোক্তারা
ঝিনাইদহ: সরকারের ডিজিটাল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে ঝিনাইদহের ৬৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। হাতের নাগালে তথ্য প্রযুক্তির সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। আর স্বাবলম্বী হয়েছে এর সঙ্গে জড়িত ১৩৪ জন উদ্যোক্তা।
জানা যায়, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো একযোগে উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই ঝিনাইদহের ৬৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে তথ্য প্রযুক্তির সেবা পেতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ভর্তি ফরম পূরণ, চাকরির আবেদনপত্র পাঠানো, ভিডিও কলিং, জন্ম নিবন্ধন, জমির পর্চা উত্তোলনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা নিচ্ছে সেবাপ্রত্যাশী বহু মানুষ।
‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা স্বল্প সময়ে অল্প খরচে সেবা দিচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বেকার যুবসমাজ। ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে তৃণমূল মানুষের জীবনে। একদিকে যেমন তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ, তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ১৩৪ জন শিক্ষিত বেকার নারী পুরুষের। তারা সহজেই এর মাধ্যমে প্রতি মাসে আয় করছে ৭ থেকে ২০ হাজার টাকা। বেকারত্ব ঘুচিয়ে এখন তারা স্বাবলম্বী। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে অল্প সময় স্বল্প খরচে সেবা পাচ্ছে সেবাগ্রহীতারা।
মহারাজপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা অনুপ জানান, বিভিন্ন ধরনের চাকরির দরখাস্তসহ অনলাইনে যে কাজগুলো হয়ে থাকে তার সবই এখানে করা হয়। ঝিনাইদহ গেলে অনেকে সময় লাগবে বা খরচ একটু বেশি হবে। সেই হিসেবে তাদের তথ্যপ্রযুক্তি সেন্টারে এলাকার সাধারণ মানুষ ভালো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, ডিজিটাল সেন্টারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।