`ভালসারটান’ ওষুধ বাজার প্রত্যাহারের নির্দেশ
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ভালসারটান ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার (২২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।
এই ওষুধের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেন অন্য কোনো ওষুধে না ব্যবহার করা হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য সকল ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পাশাপাশি ‘ভালসারটান’ ওষুধ ব্যবহার না করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা যাচাই-বাছাই করে মতামত গ্রহণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি ওষুধ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়া, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান, সমিতির উপদেষ্টা আবদুল মুক্তাদির উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভালসারটান ওষুধ সেবনে লিভার, ফুসফুস ও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ভালসারটান ওষুধটি বাংলাদেশে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি বিভিন্ন নামে বাজারজাত করে থাকে।
নোভারটিস কোম্পানি কারো কাছে এই ওষুধের কাঁচামাল (র-মেটারিয়ালস) বিক্রি করে না। সুইজারল্যান্ডের এই কোম্পানির বাইরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ নামীদামী কোম্পানি ভালসারটান ওষুধটি তৈরি ও বাজারজাত করছে।
নোভারটিসের এ ওষুধের নাম ডায়োভান, কো-ডায়োভান, এক্সফোর্জ, এনট্রেসটো। ইনসেপ্টার ভালসারটিল, ভালসারটিল প্লাস, অ্যামলোসারটান, হেলথ কেয়ারের ডায়োসিস, কো ডায়োসিস, ডায়োসিস প্লাস, এরিস্টোফার্মার অ্যারোভান, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের কার্ডিভাল-এভি, পপুলারের অ্যামলোভান-ভিএস, স্কয়ারের ক্যামোভাল, রেনেটার ভালজাইড, ওরিয়নের ভালসেট এবং জেনারেল ফার্মার আরনিজেন- এই নামে বিক্রি হয় ভালসারটান।