সিলেটে ফেরারি হয়েছে বিএনপি নেতারা
সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এখনো ৬ দিন বাকি। এরই মধ্যে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় ফেরারি হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শতাধিক নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে পুলিশ আটক করেছে মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে। পুলিশ জানিয়েছে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে তার হাওয়াপাড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে। এসএমপির উপপুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে (২০ জুলাই) অবস্থান নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গুলজারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এ এস আই ফয়েজ আহমদ শামীম বাদী হয়ে ২২ জুলাই রাতে বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামি হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির আহমদ, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসির হোসাইন, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরুসহ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারা।
এর আগে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুম্মান রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ওই পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সর্বশেষ মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন, একান্ত সহযোগী জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) নগরীতে একাই প্রচারণায় নামেন আরিফ। তার সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের পদবিধারী নেতাদের দেখা যায়নি। নগরীর বারুতখানা এলাকায় প্রচারণার সময় আরিফুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, গত কয়েক রাত ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরানের ১৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থকদের বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরানের কার্যালয়ে আগুন দেয়ার অভিযোগে ফরিদ আহমদ নামে এক কর্মী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আলী আহমদ অভিযোগ করে জানান, পুলিশ নেতাকর্মীদের বাসা বাড়িতে ঘুমাতে দিচ্ছে না। তারা দিনের বেলা কাজ করলেও রাতে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে হয়রানি করছে না তারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ।