আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিহতের ঘটনা বাড়ছে!



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। র‍্যাব পুলিশের অভিযানে গত ২ মাসে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য। তবে উদ্বেগের বিষয়, চলমান বন্দুকযুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে এসেও এ  নিহতের ঘটনা ঘটছে।

মানবাধিকার সংস্থার তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে র‌্যাব-পুলিশের হেফাজতে থাকাকালে শুধু বন্দুকযুদ্ধেই নিহত হয়েছে ৮৫৫ জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা ৫০ অতিক্রম করেছে। যা ২০০৫ সালের পর ৩য় সর্বোচ্চ এটি।

মানবাধিকারকর্মীরা মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে জবাবদিহিতার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত মাদকমুক্ত সমাজ পাওয়া সম্ভব। তবে আটককৃত ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাগুলো নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তারা প্রশ্ন তুলছে,  আটক ব্যক্তিরা কেন আর কিভাবে বন্দুকযুদ্ধে আক্রান্ত হন?

র‍্যাব-পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ধর্ষ অপরাধীরা নিজেরাই নিজেদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠে। তাদের রক্ষা করতে চাইলেও রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তারা নিজেরাই নিজেদের তৈরি ফাঁদে পড়ে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)  তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের চলতি মাস পর্যন্ত কথিত বন্দুকযুদ্ধে মোট নিহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ২৫০ জন। এর মধ্যে র্যাব-পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন নিহত হয়েছে  ৮৫৫ জন। ২০০৫ সালে এমন ঘটনায় নিহত হয়েছিল সর্বোচ্চ ২৬০ জন। ২০০৬ সালে ১৯৬ জন এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫০ জন।

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হেফাজতে থাকাকালীন ঐ ব্যক্তির  আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই।

আসকের সাবেক এই ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, র‌্যাব পুলিশের হেফাজতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানে  ঠান্ডা মাথায় মানুষটাকে হত্যা করা।  কাজেই প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত হতে হবে। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

/uploads/files/sY5nlOCfcTLNbmzjNp31mrPrXkLWBtBPXH9CXHJj.jpeg

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে র‌্যাবের হেফাজতে যাওয়ার পর কোনো আসামির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এমন ঘটনা তখনই ঘটে যখন প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে অপরাধীকে চিনিয়ে নেওয়ার মত ঘটনা থাকে।

অন্যদিকে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞানের শিক্ষক সুব্রত ব্যাণার্জি বার্তা ২৪.কমকে বলেন, মাঝে মাঝে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে, যেকোন মূল্যে নিজেকে মুক্ত দেখতে চায়।  সেক্ষেত্রে তার সহযোগীরা এমন আক্রমণ করতে পারে। তবে ঐ আক্রমণ থেকে নিজেদের পাশাপাশি আসামীকে রক্ষা করাও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।

সর্বশেষ  বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) পুলিশের হেফাজতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্দুকযুদ্ধে নাজমুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুধবার (২৫ জুলাই) গভীর রাতে একটি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি নাজমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসছিল। পথে ভোররাতে মির্জাপুর বাইপাসের এলাকায় ওত পেতে থাকা নাজমুলের সহযোগীরা পুলিশের গাড়ির দিকে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে  গুলি ছুড়ে। এ সুযোগে নাজমুল পুলিশের গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এর ঘটনার ২ মাস আগে ২৯ মে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আনিসুর রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি মাদককারবারি ছিলেন। তবে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম দাবি করেন, তার স্বামীকে আগের দিন বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা।

   

গাংনীতে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ মাদক কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। 

বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হচ্ছেন- গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন (৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন (৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ (৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ (৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল (২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের নামে মাদকের মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

;

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, জনজীবন বিপর্যস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই যেন তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই উপরে উঠছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। 

এদিকে, তীব্র তাপদাহে প্রাণীকূল ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও যেন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে সচেতনতামূলক মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ভাঙছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, জনজীবন বিপর্যস্ত
 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ জেলায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান এ তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কয়েকদিন। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গড় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। তবে আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝু্ঁকি থাকে, তাই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে আমরা জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, কড়া রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার নির্জন পরিবেশ খুঁজে বাতাসের জন্য প্রকৃতির দিকে চেয়ে আছেন। তবে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ তীব্র গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।

আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন মোটরসাইকেলের হাটে বাইক বিক্রি করতে আসা জসিম উদ্দীন নামের এক যুবক জানান, বাইক নিয়ে হাটে এসে পড়েছি বিপাকে। একে তো খোলা মাঠে হাট, মাথার ওপর সূর্য দাউদাউ করে জ্বলছে। রোদ আর গরমে মনে হচ্ছে শরীর একেবারে পুড়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে ছাতাও নিয়ে আসা হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদরের ডাব বিক্রেতা শমসের মন্ডল জানান, এই তীব্র গরমে তার ডাবের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ ডাব তিনি বাজারে নিয়ে আসেন, সবই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মানুষ একটু স্বস্তি নিতে ও শরীর ভালো রাখতে ডাবের পানি পান করছেন।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, গরমের সাথে হাসপাতালে বেড়েছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীরা বারান্দা ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসক পরামর্শ হিসেবে বলেন, তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এসময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।

;

বরিশালে ট্রাক ভর্তি আলু লুটের মামলার আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রাক ভর্তি আলু লুটের মামলার আসামি সাইফুল ইসলামকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে জেলার গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও প্রতারণার একাধিক মামলা রয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল মোল্লা জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার তাজহাট থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সাইফুল বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পুলিশ সুপারের এমন বার্তা পাওয়ার পর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নবীনবরন পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এলাকার আব্দুল মাজেদের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, গত ৪ এপ্রিল রংপুরের রিয়াজ নামের আলু ব্যবসায়ী সাতক্ষীরার একটি ট্রাকের মাধম্য আলু প্রেরণের জন্য সাইফুল ইসলামের ট্রাক ভাড়া করেন। পরবর্তীতে ট্রাকে ২৩৫ বস্তা আলু ভর্তি করে পাঠানো হয়।

পরেরদিনও সাতক্ষীরায় আলু না পৌঁছানোর কারণে মোবাইল ফোনে সাইফুলের সাথে যোগাযোগের পর তিনি নানা তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ব্যবসায়ীর কাছে ট্রাকের যে কাগজপত্র দেওয়া ছিলো তাও ভুয়া। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।

জিল্লুর রহমান আরও জানান, বুধবার ভোলা থেকে ট্রাক চালক মোক্তার হোসেন খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপর আসামি সাইফুলকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

;

করতোয়া নদী থেকে তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে করতোয়া নদীতে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামের এক তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মোতালেব হোসেন জেলার বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীতে বৃদ্ধার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাদপুর সার্কেল মোঃ কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি জানান, নিহত মোতালেব একজন তাঁত শ্রমিক ছিলো। পাশাপাশি তার মাছ ধরার নেশা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সে মাছ ধরার সময় পানিতে ডুবে মারা গেছে। 

তিনি আরো বলেন, নিহত মোতালেব নদীতে মাছ ধরার জন্য গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলো এরপর তার কোন সন্ধান মেলেনি। মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

;