`মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে, নাকে রুমাল ধরে আমাকে তুলে নেয়’
ঢাকা: 'নামাজ পড়ে বাসায় ঢোকার মুখে একজন আমাকে সালাম দেয়। আরেকজন পেছন থেকে এসে টেনে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে তুলেই তারা আমাকে মুখোশ পরায়। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নাকে একটা রুমাল ধরে তুলে নিয়ে যায়। যখন আমার জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তারা আমার দু’টি সাদা স্ট্যাম্পে ইংরেজি ও বাংলায় দু’টি সিগনেচার নেয়'
নিজের অপহৃত হওয়ার ঘটনার এভাবেই বর্ণনা দিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা পারভেজ হোসেন সরকার। শুক্রবার দুপুরে লালমাটিয়া থেকে অপহরণ করা হয়েছিলে পারভেজ হোসেনকে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ও শঙ্কিতও জানালেন তিনি।
শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে লালমাটিয়ার সি ব্লকে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এই সব কথা বলেন।
পারভেজ হোসেন বলেন, সিগনেচার (সই) নেওয়ার পর আমাকে কাঞ্চন ব্রিজের ওখানে নামিয়ে দেয়। এরপর আমি বাসায় ফোন দেই, তারা গিয়ে ৩০০ ফিট এলাকা থেকে আমাকে নিয়ে আসে। এসময় আমাকে তারা কোন প্রকার মারধর করা করেনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পারভেজ সরকার কুমিল্লা থেকে প্রতিদ্বিন্দ্বতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এমন কারণে অপহরণ করা হয়ে ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি আসলে বুঝতে পারছিনা না কেন আমার সঙ্গে এমন হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করব।
এদিকে মোহাম্মাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যে গাড়িতে তাকে তোলা হয়েছিল সেই গাড়ির নম্বরটি ব্লক। বিআরটিএ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে এই নম্বর তারা এখনও কাউকে দেয়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লষণ করা হচ্ছে। উনি স্বাভাবিক হলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।