রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পরিবহনে অগ্নিসংযোগ
বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীকে পিষে মারার ঘটনার প্রতিবাদে মতিঝিল, উত্তরা , বিমানবন্দর সড়ক, সাইন্সল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবস্থান নিয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পুরো ঢাকা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে এ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাবে পরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরও করেন। পুলিশ শিক্ষার্থী সরানোর জন্য ধাওয়া করলে শিক্ষার্থীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে।
এদিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবেরোধ করছে নটরডেম কলেজসহ রাজধানীর কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় মতিঝিল সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে এ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় নটর ডেম কলেজের ফাদার শুশান্তসহ অন্য শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের কলেজের ভেতরে নেওয়া চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সায়েন্সল্যাব মোড়, বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সায়েন্সল্যাব মোড়ে ছাত্র ও পুলিশের চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। অন্যদিকে বিমানবন্দর সড়কে র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ঢাকা কলেজ এলাকায় হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে অগ্নি সংযোগ করা হয়। পুরো রাজধানী জুড়েই যেন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরো শহরের রাস্তা যেন অচল হয়ে পড়েছে।
এদিকে উত্তরা র্যাব অফিসের সামনে শিক্ষার্থীরা বুশরা নামে একটি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। জসিম উদ্দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে রামপুরা-মালিবাগ রোড শিক্ষার্থীদের অবরোধে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তরা হাউস বিল্ডিংয়ে বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচটি বাস এবং একটি পিকআপ ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সকাল থেকেই শুরু এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। সকালে ফার্মগেট ও মিরপুরে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। কিন্তু ঘন্টাখানেক পড়েই পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলো।