চোর-পুলিশ খেলায় বন্ধ হবে না ইয়াবা পাচার



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: সারা দেশে চলছে র‌্যাব-পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান। এতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে প্রায় দুই শতাধিক ইয়াবা কারবারি। এর মধ্যে ইয়াবা রাজ্যখ্যাত কক্সবাজার ও টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে চার ইয়াবা ব্যবসায়ী। তবে এতো কঠোর অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

প্রতিদিনই কোনো না কোনো পয়েন্ট থেকে ইয়াবাসহ পাচারকারী বা পরিত্যক্ত ইয়াবা উদ্ধার করছে র‌্যাব-পুলিশ। এ অভিযানে সঠিক মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পড়ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংশ্লিষ্টরা। তবে এ অভিযানে বেশিরভাগ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মগোপন করেছে।

জানা যায়, গত ২৩ মে কক্সবাজারের কলাতলী বাইপাস সড়কের পাশের একটি পাহাড় থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. হাসান নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর লাশ পাওয়া যায়। মূলত তখন থেকেই মাদকবিরোধী অভিযানের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় কক্সবাজারে। এরপর মহেশখালী ও টেকনাফে দুইদিনের ব্যবধানে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীর লাশ পাওয়া যায়। এরমধ্যে একজন টেকনাফের সাবরাংয়ের ইউপি সদস্য ও এমপি বদির বেয়াই আখতার কামাল। এরপর মেরিনড্রাইভ সড়কে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হন। এ ঘটনায় র‌্যাবের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে তার পরিবার। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একরামের মৃত্যুর একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিতর্কের মুখে অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর আবারো বিশেষ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও বন্ধ হয়নি টেকনাফ থেকে ইয়াবা পাচার। প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে বিভিন্ন মাদক পাচারকারী বা ব্যবসায়ী।

মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরুর আগে কক্সবাজারের ১১৫১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি পাঁচটি সংস্থা। সেখানে ৬০ জনকে গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। শুরুর দিকে ওই ৬০ জন গডফাদারকে প্রাথমিক টার্গেট হিসেবে ইঙ্গিতও দিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু সেই টার্গেট শুধু টার্গেটই রয়ে যায়।

গত ২১ মে থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলাকালের ৩ মাসে ইয়াবাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে, চলতি মাসের শুরুতে (১ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বোরহান উদ্দিন (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাকে তল্লাশি করে সঙ্গে থাকা একটি দেয়াল ঘড়ির ভেতর থেকে ৭ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গত ১২ জুলাই কক্সবাজারের উখিয়ায় ১৫ হাজার পিস ইয়াবা এবং ১৮ ক্যান বিয়ারসহ যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। তার নাম নুর আহম্মেদ (৩৫)। তিনি উখিয়ার পালংখালী আনজুমান পাড়ার মৃত ছগির আহম্মেদের ছেলে।

গত ৯ জুলাই টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম লেদায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- হ্নীলার পূর্ব লেদার অজি উল্লাহর ছেলে মফিজুর রহামান (৩০) ও মোচনী নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকের মৃত ফজল করিমের ছেলে মো. ফয়সাল (২২)। গত ১৫ জুলাই চট্টগ্রামে র‌্যাব-৭ শিশুসহ তিন ব্যক্তির পেট থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

কয়েকদিন আগে লক্ষাধিক ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার হন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার আব্দুল্লাহ খানের ছেলে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আরিফ খান। টানা কয়েকদিন আটকে রাখার পর মাত্র ১২ হাজার ইয়াবা দেখিয়ে তাকে চালান দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ঢাকার ওয়ারী থানায় দায়ের হওয়া ইয়াবা মামলায় কক্সবাজারের অনেকে আসামি হয়েছে।

গত ২৬ মে কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ নেছার আহমদ (৫০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করে র‌্যাব। গত ২৩ মে মেরিনড্রাইভ সড়কের টেকনাফের হাবিরছড়া এলাকা থেকে আড়াই লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে টেকনাফ থানা পুলিশ।

একই তারিখে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর সার্ফিং চত্বর থেকে মিউজিক ভিডিও করতে আসা ‘সরকার প্রোডাকশন হাউস’ এর ১০ সদস্যকে ১ লাখ ৮ হাজার ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব।

ওই সময় ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়। গত ২৫ মে ১২শ ইয়াবাসহ তিন পাচারকারীকে আটক করে চকরিয়া থানা পুলিশ। একইদিন পেকুয়ায় ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।

গত ২২ মে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ আলী উল্লাহ নামে একজনকে আটক করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা। একইদিন কক্সবাজার শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে আলী জোহর নামে এক পাচারকারীকে ২ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে তারা।

গত ২০ মে লিংরোড এলাকা থেকে ৬ হাজার ইয়াবাসহ মো. রিফাত নামে এক যুবককে আটক করে র‌্যাব।
গত ২৪ মে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৬ হাজার ইয়াবাসহ ঈগল পরিবহনের ড্রাইভার আবদুল আজিজ শেখ (৪৭) ও সুপারভাইজার মো. সোহেল রানাকে (২৭) আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

এদিকে কোস্টগার্ডের হিসেব অনুযায়ী, এই সংস্থাটি গত ৭ মাসে ৮০ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই টেকনাফের সাইরংখাল এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

টেকনাফের পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ কাউছার জানান, অভিযানের সময় কিছুদিন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরে আবারও বিচরণ বেড়েছে। এখন পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে তারা।
এদিকে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে আরও ৭টি ক্যাম্প স্থাপন করেছে র‌্যাব। তারা সাঁড়াশি অভিযানের আভাস দিলেও কিন্তু ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না। তাই এসব অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযান নিয়ে অনেক আশা করেছিলাম। মনে করেছিলাম এবার অন্তত ইয়াবার বদনাম থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে কক্সবাজার। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। অভিযান চলে কিন্তু ইয়াবা পাচার বন্ধ হয় না। এভাবে চোর-পুলিশ খেলা খেললে কখনোই ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বার্তা২৪.কমকে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এর মধ্যেও অনেক ব্যবসায়ী আড়াল থেকে বিভিন্ন পাচারকারীর মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করছে। এসব ইয়াবাসহ বিভিন্ন থানায় আটক হচ্ছে পাচারকারীরা।

র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমরা অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ী এখনো নিজেদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে। আমরা ইয়াবা বা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে সজাগ রয়েছি।’

টেকনাফস্থ ২ বিজিরি অধিনায়ক লে. কর্নেল আসাদুজ্জামান চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে জানান, সীমান্তে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে এলাকায় স্কুল-কলেজগুলোতে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ইয়াবা পাচার বা অন্য কোনো মাদক যাতে সীমান্ত দিয়ে না ঢুকে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

   

কেসিএমসিএইচ'র সঙ্গে বেক্সিমকো এলপিজির অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কর্মীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে বেক্সিমকো এলপিজি।

এই চুক্তির অধীনে, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেক্সিমকো এলপিজির সব কর্মীর জন্য বিশেষ ছাড়ে তাদের অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। এছাড়া অফিসের পরিচয় পত্র দেখিয়ে কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল ও ডা. এম এ আলী। আর বেক্সিমকো এলপিজির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো এলপিজির মংলা প্ল্যান্টের প্ল্যান্ট ম্যনেজার আবু তাহের মোহাম্মদ ফারুক, সিসিও এম মুনতাসির আলম এবং অ্যাডমিন জিএম আসাদ-উজ-জামান।

;

ভাইয়ের কাঁধে চড়ে বলীখেলা দেখল ছোট্ট দুর্জয়!



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চতুর্দিকে হাজার হাজার মানুষ। চলছে ঢোলের মাতম। মাঝখানে উঁচু মঞ্চের দিকে সবার চোখ। বিপরীতে দর্শক সারিতে দেখা মিললো ভিন্ন কিছুর! ছোট্ট এক শিশুকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাচ্ছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারায়ন। মূলত ছোট্ট মামাতো ভাই দুর্জয়ের ইচ্ছে পূরণ করতে তাকে কাঁধে করে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে আসেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জব্বরের বলীখেলার ১১৫তম আসরে।

দুর্জয়ের বয়স ৭ বছর। এবার প্রথম নয়, আগেও সে বেশ কয়েকবার এই নারায়নের কাঁধে চড়েই বলীখেলা দেখতে আসে। দুর্জয় বার্তা২৪.কমকে বলে, ‘আমি বলীখেলা দেখতে এসেছি। ভাইয়ার কাঁধে চড়ে দেখেছি। গতবারও ভাইয়া আমাকে নিয়ে এসেছেন। খুব ভাল লাগছে।’

নগরীর হাজারী গলি থেকে দুর্জয় দত্তকে নিয়ে এসেছেন ফুতাতো ভাই নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘ও ছোট হওয়ায় একলা দেখতে আসতে পারে না। তাই, আমি ছোট ভাইকে আনন্দ দিতে এবং তার ইচ্ছে পূরণ করতে এবারও নিজের কাঁধে চড়িয়ে বলীখেলা দেখাতে নিয়ে এসেছি। আমি প্রতিবছর দুর্জয়কে নিয়ে আসি। অন্যান্য বার মঞ্চ এলাকায় ঢুকতে কষ্ট হত। পুলিশকে বলে এবার কোনো রকম অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছি। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তবে, এবার মঞ্চ আরেকটু উঁচু হলে দূর থেকে দেখতে সুবিধা হত।’

এবারের বলীখেলার ফাইনালে ১১ মিনিট শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর স্বেচ্ছায় হার মানেন রাশেদ। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বাঘা শরীফকে। তাঁদের দুজনই কুমিল্লার। আর সীতাকুণ্ডের রাসেলকে হারেয়ে এবারও তৃতীয় হন খাগড়াছড়ির সৃজন বলী।

এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর লালদীঘি বলীখেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নবীন-প্রবীন মিলে প্রায় ৮৪ জন বলী অংশ নেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার ১১৫ তম আসর উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

মূলত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুবকদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশীর হাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। এরপর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জব্বারের বলীখেলা। যদিও করোনা মহামারীর কারণে ২০২০-২০২১ সালে বলীখেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। পরের বছর ২০২২ সাল থেকে আবার নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে জব্বারের বলীখেলা। এ বছর জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসেছে।

;

সাজেকে সড়কে নিহত ৬ জনের বাড়ি ময়মনসিংহে, এলাকায় শোকের মাতম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির সাজেকের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের বাড়িই ময়মনসিংহে। এদের মাঝে ৫ জন ঈশ্বরগঞ্জের ও একজন গৌরীপুর উপজেলার। নিহতরা হওয়া সবাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাজেকের নব্বই ডিগ্রি এলাকায় সাজেক-উদয়পুর সীমান্ত সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় শ্রমিকবাহী মিনি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ১০০ ফুট খাদে পড়ে ৯ জন নিহত হন। আহত হন আরো ৮ জন। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবর পরিবারে এসে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতরা হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল (৪২), তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গিরিধরপুর গ্রামের শহীদুল্লাহ'র ছেলে শাহ আলম (২৮), একই ইউনিয়নের শ্রীফুরজিথর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২১), মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (২০), মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মোহন মিয়া (১৭)। গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭)।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মরদেহ বাড়িতে না পৌঁছালেও পরিবারে শোকের মাতম চলছে। শুধু তা-ই নয়, এমন মর্মান্তিক খবরে এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতের খবর শুনে গত রাত থেকেই আশেপাশের লোকজনসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষজন।

তারুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা বলেন, সাজেকের দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি আমার ইউনিয়নে। এই ঘটনায় আমি নিজেও খুবই মর্মাহত।

বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক ভুইয়া মিলন বলেন, আমার ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রিয়াছত আলী ভূইয়ার ছেলে এরশাদুল সাজেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। শুনেছি মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে থেকে প্রতি পরিবারে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড় পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক নিহতদের পরিবারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে'।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মইলাকান্দা ইউনিয়নের একজন মারা গেছেন। আরেকজন আহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।

;

বন বিভাগের গেটের দেওয়ালে চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় বন বিভাগের গেটের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে জুরাইন আহমেদ (৪) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলা বন বিভাগের গেটের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জুরাইন আহমেদ খোকসা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী উজ্জলের ছেলে।

নিহত শিশুর চাচা আজিজুল ইসলাম জানান, শিশুরা খেলছিলো আবার কেউ ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলো। এসময় অসাবধানতাবশত গেটের গেটের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে নিহত হয়।

বন কর্মকর্তার অফিসটি সব সময় অরক্ষিত থাকে। কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনায় জুবায়েরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

উপজেলা বন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এক বছর আগে কুষ্টিয়ার এক ঠিকাদার গেট নির্মাণ করেছে।

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। গেট নির্মাণে ত্রুটি থাকতে পারে। ঠিকাদার গেটের পিলার এমনভাবে তৈরি করেছেন, মনে হচ্ছে পিলার দুটি মাটির ওপরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। নাড়া দিলেই নড়ছে। বন কর্মকর্তার গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;