শোকের মাসের শুরু: কাঁদো, বাঙালি কাঁদো



মঈনুল ইসলাম রাকিব, নিউজরুম এডিটর,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট। বাঙালি জাতির জীবনের এক শোকাবহ মাস আগস্ট। এ মাসের ১৫ তারিখ এ জাতি হারিয়েছে তার মহত্তম সন্তানকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘাতকের নির্মম আঘাতে সপরিবারে নিহত হন ধানমন্ডির বাড়িতে। বিশ্বের ইতিহাসের আগস্ট চিহ্নিত শোকে, বেদনায়, অশ্রুতে।

এই আগস্টে বাংলাদেশে ঝরছে শ্রাবণের অবিশ্রান্ত ধারা। এ যেন বাঙালির ক্রন্দনকাল। মানবতার জন্য, জাতির জনকের জন্য যেন কাঁদছে মানুষ এবং প্রকৃতি।

১৫ আগস্ট যখন কিছু বর্বর খুন করেছিল বাঙালির সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ পুরুষ ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, তখন মানবতা ও মনুষ্যত্ব নিহত হয়েছিল। তাঁর হত্যাকাণ্ড আজো জাতি হিসেবে আমাদের অপরাধী করে দেয়। আমরা বার বার বিবেকের সামনে মুখোমুখি হয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই কলংকিত এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে।

জাতির পিতাকে হত্যা করায় জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হয়।  ভূলুণ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত চেতনা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল ইতিহাসের কলঙ্কিত খলনায়কেরা, তা ছিল সুদূরপ্রসারী যড়যন্ত্রের অংশ। বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়াই ছিল সেই যড়যন্ত্রের নীল নকশা। কারণ, পঁচাত্তরের পর কেন এই দেশের উন্নয়ন হতে দেরি হয়েছে, কেন এই জাতি হতে পারে নি ঐক্যবদ্ধ, সেটাতো লুকিয়ে রয়েছে সেই পিতৃ হত্যার মধ্যেই ।

বাংলাদেশের মত সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হতে সময় লাগার কারণ এ রাষ্ট্রের জন্মের মাত্র ১০ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ত্যাগী, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতা-কর্মী-নীতিনির্ধারকদের হত্যা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ দেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও নির্মমভাবে স্বপরিবারে খুন করে প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্রাজ্যবাদীদের এদেশীয় দোসররা। এই হত্যার রাজনীতি আর থেমে থাকেনি। তা চলেছে এবং একের পর এক এ রাষ্ট্রের একেকটি স্তম্ভকে ভেঙে দিয়েছে।

এসব কিছুই হতোনা যদি না ১৯৭৫ সালের সেই কালরাত্রিটা না আসতো। বঙ্গবন্ধুর মত জাতীয়তাবোধসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক ক্ষমতায় থাকলে এদেশের ব্যাপারে কাছের বা দূরের কোন শক্তি খবরদারি করার সাহস পেতোনা। সে কারণে তাঁর মৃত্যুর পর সকল পক্ষই চুপ করে ছিল। সে কারণে সেই খুনী কুলাঙ্গাররা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রদূত থেকে জাতিসংঘে পর্যন্ত চাকরি করেছে। সে কালো ইতিহাস আজ সবারই জানা।

শোকের মাস হলেও রক্তাক্ত আগস্ট শিক্ষা দেয়, বিপথগামী-যড়যন্ত্রকারীরা যখন নিজ জাতির মূল নেতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন জাতি কয়েক শ বছর পিছিয়ে যায়। যে নেতার মোহন নেতৃত্বে সহস্র বছর পর বাঙালির জাতি রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটালো স্বাধীনতার মহান সূযোদয়ের মাধ্যমে, তা পাশবিক শক্তির কবল থেকে রক্ষার শিক্ষাও দেয় আগস্ট।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শত্রু ছিল তৎকালীন একটি কুচক্রী মহল। গণবিরোধী এই চক্র  জাতির পিতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাপুরুষের মতো হত্যা করে। এক পক্ষ নৈরাজ্য তৈরি করে হত্যার মঞ্চ প্রস্তুত করে, আরেকপক্ষ বর্বরভাবে হত্যাকান্ড সংঘটিত করে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পৈচাশিক উল্লাস করেছিল খুনিচক্র এবং বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী বাঙালির ভাগ্যের উপর দীর্ঘদিনের জন্য কালিমা এঁকে দিয়েছিল। যে কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসম্পদ থাকার পরেও আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনি। অমানবিক ও অবৈধ ক্ষমতা দখল,  সেনা শাসন ও জঙ্গি নির্মমতা গণতন্ত্রকে গ্রাস করেছিল।

গণতন্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করার এই পশুসুলভ আচরণের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সব সময় ছিলেন সোচ্চার। তিনি তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ১৯৫ পাতায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘পাকিস্তানে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে, তাতেই আমাদের ভয় হলো। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে গুলি করে হত্যা করা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা ভাষায় প্রকাশ করা কষ্টকর। আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তারা এই সমস্ত জঘন্য কাজকে ঘৃণা করি।’

সেই নির্মম আঘাতই নেমে এলো বঙ্গবন্ধুর জীবনে। কারণ, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন অনুৎপাদনশীল সকল খাত ও সংস্থাকে উৎপাদনশীল করতে, গরীব-দুঃখীর জন্য কাজ করাতে, ছাত্রদের গ্রামে পাঠিয়ে কাজ করাতে, কৃষককে দেশের সবচেয়ে সম্মানিত নাগরিকে পরিণত করতে। এ কারণেই সুবিধা ও ভোগবাদীরা তাঁর বিরোধিতা করে।

সিআইএ, মোসাদ, আইএসআই এর ম্যান্ডেট নিয়ে এসে মানুষের নেতাকে হত্যা করতে যারা পেরেছিল এই আগস্টের কোন এক ভোররাতে তাদের প্রতি খোদার অভিশাপ পড়বে। তারা এই দুনিয়ায় হয়েছে অপদস্থ, অপমানিত ও তাদের নাম নেয়ার মত কেউ নেই এবং মৃত্যুর পরের দুনিয়ায়ও এই জালিমদের কঠিন শাস্তি হবে স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা করি। আগস্ট মাসে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। কামনা করি, আগস্টের শোক হোক জাতির ঐক্য ও অগ্রগতি শক্তি এবং গণতন্ত্র, অবৈধ ক্ষমতা দখল, মানবতা বিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শাণিত চেতনা।

   

ভরসার খালে নোনা পানি, নিরুপায় কৃষক



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেও সরষে ফুলে ভরে ছিল মাঠ। এরই মধ্যে ঘরে উঠেছে সূর্যমুখী এবং আলু। এখন তরমুজ চাষাবাদের ভরা মৌসুম। বাড়ছে রোদের প্রখরতা। মাটি হারাচ্ছে জোঁ। ফলে সকাল সন্ধ্যে দুর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে সেখানে। যদিও ওই জামির পাশেই খুলনার কয়রা উপজেলার তেরআউলিয়া খালে ঢেউ খেলছে নোনা পানি।

ওই খালের উপর ভরসা করেই এ এলাকার কয়েক‘শ একর জমি চাষাবাদ হয় দীর্ঘদিন ধরে। তবে বর্ষার শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই খালে থাকে মিষ্টি পানি। তবে বর্তমানে ইজারাদার ওই খালে কৌশলে ঢুকিয়েছে নোনা পানি। ফলে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের পরিশ্রমে গড়া লালিত স্বপ্ন।

যদিও এসব খালে নোনাপানি ওঠানো নিষেধ। কিন্তু ইজারাগ্রহীতারা গোপনে স্লুইস গেটের কপাট খুলে নোনাপানি তোলে। ফলে ওই সব খালের পানির ভরসা করে যারা চাষাবাদ করে। তখন তাদের কপালের ভাঁজ বাড়তে শুরু করে। প্রতিবছর ওই এলাকার কৃষকেরা তেরআউলিয়া খালের উপর ভরসা করে বীজ বুনে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই ইজারাদারের কৌশলের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয় কৃষকদের। বাধ্য হয়ে কৃষকেরা দূর থেকে পাতা পাইপলাইন থেকে উচ্চমূল্যে পানি আনে। বেড়ে যায় চাষাবাদের খরচ। লাভের খাতা ছোট হয়ে তৈরি হয় লোকসানের খাতা।

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানাযায়, কয়রা উপজেলার ৩৯টি খাল নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই খালগুলোতে নোনা পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করলে এবং মিষ্টি পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ওই এলাকর ৭ হাজার ২ হেক্টর জমিতে বছরে ৩শ’ ৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কয়রা উপজেলার চুন্ডিপুর গ্রামের এই তেরআউলিয়া খালের একপাশ দিয়ে চলে গেছে চলাচলের রাস্তা। আর অন্য পাশে সুবিশাল ক্ষেত। এই খালটি উপজেলার মসজিদকুড় গ্রাম থেকে শুরু হয়ে চন্ডিপুর, দশবাড়িয়া, কিনুকাঠী, খেপনা গ্রামের মধ্য দিয়ে ঘোষখালী খাল হয়ে শিবসা নদীতে মিশেছে।

ওই গ্রামের কৃষক আফসার আলী গাজী জানান, আমাগে খেতের পাশেই খাল। খালে পানি ভরা। কিন্তু সে পানিতে চাষাবাদ হয় না। খেতের জন্য পানি আনতে হয় ৩ রশি দূরে সেচ পাম্প থেকে। অনেক খরচ। কিন্তু করবো। খালের পানি এতো নোনা যে, ওই পানি একটু গাছের গায়ে লাগলে কচি গাছ মরে যায়।

উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক মোঃ ইসহাক আলী সরদার জানান, আমি আমার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন চাষের পর সবজি আবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার জমির পাশে তেরআউলিয়া নামের এ খালে মিঠাপানি ছিল। বর্তমানে নোনাপানি উঠিয়ে মাছ চাষ করছেন খালের ইজারাদার। ফলে খালের আশপাশে প্রায় ২০০ একর জমিতে চাষাবাদে পানির স্কংট দেখা দিয়েছে। শুধু এ খাল নয়, আমাদের উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এমন শতাধিক বন্ধ খাল মাছচাষিদের কাছে প্রতি ৩ বছর পরপর ইজারা প্রশাসন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ এলাকার প্রায় সব বিলের মধ্যে ছোট-বড় খাল রয়েছে। এসব খাল বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি পানিতে টৈটম্বুর থাকে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি সেচ কাজে লাগাতে পারলে চাষিরা লাভবান হতেন। কিন্তু সেই সময় ইজারাদাররা গোপনে নোনাপানি তোলে।

চুন্ডিপুর গ্রামের ওই তেরআউলিয়া খালের ইজারাদার মো. মইনুদ্দিন মিস্ত্রি জানান, এই খালটি স্লইজ গেটের কাছে। অন্যদিকে ওই স্লুইজ গেটের পাটা বা গেটটি নষ্ট। সেজন্য কিছু নোনা পানি উঠেছে। কদিন আগে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। ফলে আর নোনা পানি উঠবে না।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ সমস্যায় জন্য অনেক কৃষক আমাদের কাছে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে? আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেই।

কয়রা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভাপতি ও কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে খাল, জলাশয়, খাস জমি ইজারা দেয়া হয়। তবে সেখানে নোনাপানি তোলা যাবে না। যদি কেউ গোপনে নোনাপানি তুলে কৃষকের ক্ষতি করে, তাহলে ওই ইজারা বাতিল করা হবে।

;

বাড়তি ভাড়া চেয়ে হয়রানি করলেই কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

আইজিপি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। আমি আশা করছি— আমাদের ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারব। সেই সঙ্গে যথাসময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আইজিপি।

;

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;