বরিশালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ও ১টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ জন্য ১০৭টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ৩০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডের ৯ জন সাধারণ ও ৬ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার কার্যক্রম আটকে গেছে। তবে এর বাইরে ২১টি ওয়ার্ডের ২১ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলরের বিজয়ী হওয়ার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এরমধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে আগে থেকেই তিনজন এবং সংরক্ষিত আসনে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

বিজয়ীদের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪ জন আওয়ামী লীগ দলীয়, ৩ জন বিএনপির, ১ জন জাতীয় পার্টি ও ৪ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী রয়েছেন।

অপরদিকে সংরক্ষিত ৪ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ জন আওয়ামী লীগের, ১ জন বিএনপির, ১ জন স্বতন্ত্র ও ১ জন সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী নারী নেত্রী রয়েছেন।

সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলররা হলেন- ২ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট এ.কে. এম মুরতজা আবেদীন (জাপা), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক (স্বতন্ত্র), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কেফায়েত হোসেন রনি (স্বতন্ত্র), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান মোহাম্মদ জামাল হোসেন (স্বতন্ত্র), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. রফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সেলিম হাওলাদার (বিএনপি), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন অর রসিদ (বিএনপি), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এ টি এম শহিদুল্লাহ (স্বতন্ত্র), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জাকির হোসেন (আওয়ামী লীগ), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মেহেদী পারভেজ খান (আওয়ামী লীগ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিয়াকত হোসেন খান (আওয়ামী লীগ), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. মোশারফ আলী খান বাদশা (আওয়ামী লীগ), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মীর এ কে এম জাহিদুল কবির (বিএনপি), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় গাজী নঈমুল হোসেন লিটু (আওয়ামী লীগ), ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সাঈদ আহমেদ (আওয়ামী লীগ), ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবীর (আওয়ামী লীগ), ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (আওয়ামী লীগ), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফরিদ আহমেদ (আওয়ামী লীগ) ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদ হোসেন মোল্লা কালাম (আওয়ামী লীগ)।

এর বাইরে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫টির মধ্যে ৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন মো. আমির হোসেন বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ)।

এদিকে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত হওয়ায় ৮টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সকল ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৌহিদুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকতার উজ্জামান গাজী হিরু (আওয়ামী লীগ), ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান (স্বতন্ত্র), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক (বাহার), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ মো. আনিছুর রহমান (আওয়ামী লীগ), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম সাইদুর রহমান জাকির (আওয়ামী লীগ) ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র) এগিয়ে রয়েছেন।

কিন্তু ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি কেন্দ্রেরই ফলাফল স্থগিত হওয়ায় সেখানকার কোনো তথ্যই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ৪টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। প্রদত্ত ফলাফল অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী (বই প্রতীক) মিনু রহমান।

এর বাইরে ফলাফল স্থগিত হওয়ায় ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।

তবে ওই সকল ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়া কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইসরাত জাহান (স্বতন্ত্র), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গায়েত্রী সরকার (আওয়ামী লীগ), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সালমা আক্তার শিলা (আওয়ামী লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেশমী বেগম (আওয়ামী লীগ), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডালিম বেগম (আওয়ামী লীগ) এগিয়ে রয়েছেন।

ইতোমধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম (স্বতন্ত্র), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কোহিনুর বেগম (আওয়ামী লীগ), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আয়শা তৌহিদ লুনা (সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী) ও ১০ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রাশিদা পারভীন (বিএনপি)।

বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানান, ফল স্থগিত থাকা ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এবং স্থগিত কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠনো হবে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্তের পর নির্ভর করবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল।

   

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ১৮দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে জাহাজটির মালিকপক্ষের আলোচনা চলমান থাকলেও এখনো নাবিকদের মুক্তি নিয়ে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হয়তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না নাবিকদের।

ঈদের আগে নাবিকদের উদ্ধার করার কথা প্রচার হচ্ছে কোথাও কোথাও। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। তবে এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখার একটা বিষয় আছে। সেজন্য হয়তো কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকবার জায়গা বদলের পর বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ আদায়ের পর জাহাজ থেকে নেমে গিয়েছিল দস্যুরা। ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর মুক্তিপণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। মুক্তিপণ চাওয়ার পর মালিকপক্ষ থেকে দর কষাকষি করা হবে। তখন ৪০দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণের বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছিল। এরপর চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হয় দস্যুদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়। পরে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জাহাজে এসে সেই টাকা ভাগ করে দস্যুরা। এরপরই জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। অর্থাৎ সমাঝোতার পরও মুক্তি পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়।

অবশ্য নাবিকদের উদ্ধারে দেরি হলেও ভালো খবর হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুদের পক্ষ থেকেও ভালো আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর কোনো নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনা শুরু করেছে দস্যুরা। ফলে খাবার নিয়ে নাবিকদের মধ্যে থাকা দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।

অবশ্য জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। নাবিকদের সঙ্গেও তারা ভালো আচরণ করছে। নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাজের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। আশা করছি খুব দ্রুত নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সমাঝোতা হবে। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

;

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক। যদি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে শিক্ষার সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দ্বিতীয় ডিআরএমসি জাতীয় রমাদান ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের আলো সঞ্চারিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তারা সকল ধরণের অন্যায়-অনাচার, পাপাচার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পাবে এবং তারা আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা গড়ে তুলতে পারবো একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ ও সঞ্চারিত করার জন্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

;

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;