বরিশালের ২৮টি কেন্দ্রে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ, স্থগিত ১৫টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এজেন্ট বের করে দেয়া, বহিরাগতদের দিয়ে ভোট দেয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ এনে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, জাপা, বাসদ ও কমিউনিস্টর প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে। তারা সম্মিলিত ভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ভোটের নানান অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করেন।

সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে  প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে ২৮টি কেন্দ্র নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিল ইসির পর্যবেক্ষক টিম। একই তালিকা বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাও পাঠিয়েছিলেন। তবে সেই তালিকা থেকে কারণ যাচাই-বাছাই করে সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা সিদ্ধান্ত নেন ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করার।

নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য জানান। তারা জানান, বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৮টি কেন্দ্রের একটি তালিকা পাঠিয়েছিল নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টিম এবং রিটার্নিং অফিসার। সেখানে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও দেয়া হয়েছিল। সেই তালিকা থেকে কারণ যাচাই করে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করে দেয়া হয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আমাদের কাছে ২৮টি কেন্দ্রের একটি এসেছিল। সেই তালিকা থেকে আমরা কারণ যাচাই করে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করে দেই। বাকি ১৩টি কেন্দ্রে স্থগিত না করলেও হয় তাই করিনি। যেমন নারী কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারদের আনাগোনা। এটাকে কেন্দ্র দখল অথবা ভোট জালিয়াতি বলা মুশকিল।

এসব নিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, প্রথমে আমরা মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনে। তখন তারা আমাদের লিখিত তালিকা দিতে বলেন। এরপর আমি প্রিজাইডিং অফিসারদের তালিকা দিতে বলি। তখন অনেকেই তালিকা দেননি। এরপর আমাদের নজরে যে কেন্দ্রগুলোতে অনিয়ম দেখেছি সেই কেন্দ্রগুলোর তালিকা পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বাকিগুলো কেন করেনি সেটি কমিশন বলতে পারবে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা ১৫টি কেন্দ্রের মোট ভোটার ২৯ হাজার ৯২৩ জন। কেন্দ্রগুলো হলো বরিশাল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মহিলা), ফারিয়া কমিউনিটি সেন্টার (পুরুষ), সরকারি মহিলা কলেজ (মহিলা), বরিশাল সিটি কলেজ (পুরুষ), আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ টেক্সাটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-১ (পুরুষ),  শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ টেক্সাটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ-২ (মহিলা), উদয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ), সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মহিলা), আর এম সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরুষ), শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পুরুষ), রূপাতলী জাগুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রূপাতলী জাগুয়া ডিগ্রি কলেজ ও সংলগ্ন রূপাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সখিনা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যাললের উত্তর (মহিলা) এবং নয়গাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সংলগ্ন ইন্দ্রকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ব‌রিশাল সি‌টি ক‌রপোরেশন নির্বাচ‌নের রিটা‌র্নিং কর্মকর্তা মো. মু‌জিবুর রহমান সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দি‌কে ফলাফল ঘোষণা ক‌রেন। রিটা‌র্নিং কর্মকর্তা জানান, মোট ১২৩টি ভোটকে‌ন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি ভোটকে‌ন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি ১৬টির মধ্যে একটি ভোটগ্রহণ প্রিজাই‌ডিং অফিসার কর্তৃক বন্ধ করা হয় এবং ১৫টির ফলাফল স্থ‌গিত ক‌রে‌ছে নির্বাচন ক‌মিশন। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আবদুল্লাহ পে‌য়ে‌ছেন এক লাখ ৭ হাজার ৩৫৩ ভোট। বিএন‌পির মেয়র প্রার্থী মো. ম‌জিবর রহমান সরোয়ার পে‌য়ে‌ছেন ১৩ হাজার ১৩৫ ভোট। বাকি ১৬ কেন্দ্রের মোট (৩১,২৭৭) ভোটারের চেয়ে বেশি ভোটে সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এ কারণে সাদিক আবদুল্লাহকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

 

   

পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, ফলাফল, পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ স্কাউটস্ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, ফলাফল, পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি করতে না পারলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে যে সমস্ত পরিবর্তনগুলো আসছে সেটির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে বর্তমান জেনারেশনের অনেক কষ্ট হবে।

স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হলে স্কাউটিংয়ের যে প্রশিক্ষণ সেটি আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অভিভাবকগণ যাতে নিজ নিজ সন্তানকে স্কাউটিং কার্যক্রমে যাতে সম্পৃক্ত করে। শহরের অনেক অভিভাবকদের মধ্যে দেখা যায়, তারা শুধুমাত্র ফলাফল এবং পুঁথিগত বিদ্যার উপরে নির্ভরশীল। যার ফলে আমাদের সন্তানেরা সমাজকে না জেনে, অপরে সহযোগিতা করার মানসিকতা ধারণ না করে অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক হয়ে বেড়ে উঠছে৷ আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে এই প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী করে গড়ে তুলবো। এর জন্য প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। সেজন্য শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, পুঁথিগত শিক্ষার মধ্যে নিজেদেরকে আবদ্ধ করে রাখা যাবে না।

বাংলাদেশ স্কাউটস্ এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্কাউটস্ এর উপদেষ্টা ড. শাহ মো. ফরিদ, ড. মো. আব্দুল করিম, বাংলাদেশ স্কাউটস্ এর স্পেশাল ইভেন্টস বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভাপতি মো. মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

;

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বিসিডিপি’ গঠন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে কোন শৃঙ্খলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে এই প্লাটফর্ম ভূমিকা রাখবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান বাবদ ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল এডাপটেশান প্ল্যান বাবদ ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান বাবদ ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলি অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে।

সাবের হোসেন বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে। এটি অপরিহার্য যে সরকার এই সুযোগটিকে তার পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার দেশের ক্ষমতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশের এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

;

সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে হত্যা, দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামির বালুছড়া এলাকায় ২০ বছর আগে সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম (৭০) ও মো. ইউসুফ প্রকাশ ওরফে বাইট্যা কাশেম (৭০)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্পত্তির জেরে বায়েজিদ বোস্তামি থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছিলো। ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা মোটরসাইকেলে করে বালুছড়ার বাসায় গিয়ে সাইফুল ইসলাম, তার ভাই আলমগীর এবং বোন মিনুকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ জুলাই সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বায়েজিদ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফয়েজ বলেন, এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামি কাশেম ও ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দণ্ডবিধির ৩০২, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি কাশেম ও ইউসুফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

চলতি বছরেই ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি নিশ্চিত করতে হবে: ডিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যে সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ভাটায় ম্যানুয়ালি ও অটো পদ্ধতির পাশাপাশি ব্লক ইট তৈরী করা হচ্ছে। ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করলে অন্য ইটভাটার মতো পরিবেশ দূষণ করবে না। বায়ু দুষণ রোধসহ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট তৈরির কোন বিকল্প নেই। যাদের একাধিক ইটভাটা রয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই তাদের অন্তত ২৫ শতাংশ ভাটায় ব্লক ইট তৈরি করে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও পোড়ানো ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ সংক্রান্তে ইটভাটা মালিক-সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইট তৈরী কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও আশানুরূপ ফসল ফলানোর লক্ষ্যে টপ সয়েল কর্তন থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা মানতে হবে এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ব্লক ইট তৈরীর বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, নতুন করে আর কোন ইটভাটার লাইসেন্স দেয়া হবে না। যেগুলো আছে সেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব ইটভাটাগুলো রাখা হবে। চাহিদা থাকলে ব্লক ইটের সরবরাহ বাড়বে। প্রকৃত ও বৈধ ইটভাটা মালিকগণ যাতে কোন ধরণের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে গণপূর্ত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, সড়ক ও জনপথ (সওজ), শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ও দপ্তর এবং সিপিডিএল ও স্যানমারসহ বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ব্লক ইটের চাহিদাপত্র নিয়ে ইটভাটা মালিক পক্ষকে জানিয়ে দেয়া হবে। আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কে নিয়ে ইটভাটা ব্যবসা সংক্রান্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে একটি সভা আহবান করা হবে। সিটি মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও জেলা-উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতাদের থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ইটভাটা মালিকদের প্রশ্নের জবাবে বালি সরবরাহ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কর্ণফুলী নদীসহ রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও অন্যান্য এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় খালে বালির অভাব নেই। এখনো যে পরিমান বালি আছে তাতে আগামী ৫ বছরেও আশা করি কোন সমস্যা হবে না, আপনারা আবেদন করেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে বালির ব্যবস্থা হবে। আগামী ২০৪১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি ১৮-৬০ বছরের বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে যে কোন ব্যক্তিকে সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আসার আহবান জানান ডিসি।

সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, ব্লক ইট তৈরীর ছাড়পত্রের জন্য ইটভাটা মালিকগণ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে আবেদন করলে তা শুনানী শেষে দ্রুততার সাথে দেয়া হবে। কোন ধরণের বেগ পেতে হবে না। ছাড়পত্র পেলে বিদ্যুৎ সংযোগও দ্রুত সময়ে পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র মো. জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, দুষণবিহীন ইটভাটায় ব্লক ইট তৈরী করতে গিয়ে মালিক পক্ষ যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকারের নজরদারী প্রয়োজন। পরিবেশ দুষণ করে আমরা কেউ ইট তৈরী করতে চাই না। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনেই পরিবেশবান্ধব ইট তৈরী করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা যাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ বিভিন্ন উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক।

;