টেকনাফে ইয়াবা-অস্ত্রসহ আটক ৩



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৭। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, একটি কিরিচ ও ১ হাজার ৬৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (০৩ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে হ্নীলার পশ্চিম লেদা এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। পরে শনিবার (০৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় ই-মেইলের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানায় র‌্যাব।

আটকরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকার সৈয়দুর রহমানের ছেলে মো. হারুন রশিদ (২৪), হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মো. মিজানুর রহমান (১৯) ও মেয়ে কামরুন্নাহার (২১)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বার্তা২৪.কমকে জানান, এসব অস্ত্র ও ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

   

বরিশালে দুই কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল জেলার হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে মেঘনা নদী থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম।

তিনি জানান, মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

;

ঈদে বাড়তি ভাড়া নিলে বন্ধ করে দেয়া হবে সে গণপরিবহন: রাঙ্গা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন যদি বাড়তি ভাড়া নেয়, আর তার যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সেই পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও সেই বাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়ক-সড়ক পথে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এবারের ঈদে সম্ভাব্য কোন কোন এলাকায় জট, যানজট বা ব্লক তৈরি হতে পারে সেটা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এবার হাইওয়েতে ঈদযাত্রায় ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছি। ড্রোনের সহায়তায় চিত্র দেখে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে পারবো। হাইওয়ের অনেক রাস্তা চার লেন হচ্ছে। কোথাও কোথাও হয়ে গেছে। এখন রাস্তায় যদি কোনো যানবাহন তাৎক্ষণিক অকেজো হয়ে পড়ে তাহলে সেটি এখনো সরানো সহজ হবে। ক্রুটিপূর্ণ কোনো যানবাহন যাতে ঈদে সড়কে না নামে সেটা নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।

আমরা সবাই ভালভাবে ঈদযাত্রায় যেতে চাই। ভালভাবে যাবার সুযোগটা আমাদের তৈরি করতে হবে। ঈদে আমর্ সবাই একসঙ্গে যেতে চাই। সেটা না করে আমরা ভাগ ভাগ করে, আগে বা পরেও যেতে পারি৷ তাহলে ৫/৭ বা আট ঘন্টার মধ্যেই গন্তব্যে যেতে পারবো।

ঈদের দুদিন আগেই যেতে হবে ব্যাপারটা সেরকম না। জনসংখ্যার তুলনায় গণপরিবহন আমাদের অনেক কম। হজ্বের সময় সৌদিতে বাস সরকার হায়ার করে৷ আর আমাদের ঈদে এখানে সে ধরণের কোনো ব্যবস্থা নাই। তাই আপনি আরও আগে বা ঈদের পরও যেতে পারেন। আমরা আশ্বস্ত করছি ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।

আমরা লক্ষ্য করি কিছু লক্কর ঝক্কর বাস যেগুলো সারা বছর সিরিয়াল পায়না এগুলো ঈদের সময় রাস্তা নেমে পড়ে। এসব আমরাও ধরতে পারিনা পুলিশও বুঝতে পারেনা কোত্থেকে এগুলো রাস্তায় আসে। এগুলো রিজার্ভ হিসেবে চলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিয়ে যায়। যে রাস্তায় আমাদের ছোট বাসও চলে না সেখানে দেখি বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস ঢুকে পড়েছে। আমরা এখনো মহাসড়ক থেকে নছিমন করিমন ভটভটি সরাতে পারিনি। এটাও একটা বাধা আমাদের।

ঈদে বাড়তি ভাড়ার প্রশ্নে তোপের মুখে রাঙ্গা প্রতিবছরই বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ আসে প্রমাণও মেলে কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। এমন প্রসঙ্গে রাঙ্গা বলেন, অনেক পরিবহনই ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। যেসব বাস কোম্পানি সুনামের সঙ্গে কাজ করতেছেন তাদের কোনো বাস যদি ভাড়া বেশি নেন তাহলে আমাদের জানাবেন, আমাকে জানাবেন ব্যবস্থা নিবো। প্রয়োজনে স্পটে উপস্থিত হবো। অভিযোগ পেলেই আমরা সেখানে যাবো। কোন কোন জায়গায় কারা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন সেটা আমরা সনাক্ত করবো।

বাড়তি ভাড়া নেবার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে কি ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে রাঙ্গা বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিবো। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে সড়কের তিনটি লেনেই অবৈধ পার্কিংয়ের দখলে। যার বড় প্রভাব পড়ে সড়ক চলাচলে। সেটা সমাধান না হলে ঈদ যাত্রার বড় অংশ সময় যাবে ঢাকাতেই। জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, রাস্তা লক বা ব্লক করে রাস্তায় দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমাদের নাই। যারা অবৈধভাবে পার্কিং করবেন সড়কে, আর যানচলাচল বিঘ্নিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নিক, আমাদের কোনো সমস্যা নাই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে তো সড়কই নাই, সড়ককেও টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের উত্তরে রাঙ্গা বলেন, আমি এখান থেকে বের হয়েই আগে মহাখালী যাবো৷ দেখি ওখানে কি সমস্যা। আবারো বলছি, যারাই অবৈধ পার্কিং করবেন, অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করতেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো আমরা।

সভায় বিজিএমইএ; বিকেএমইএ; চেয়ারম্যান/জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন; মহাসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন; সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন; সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি; চেয়ারম্যান/জেনা।

;

বরিশালে পাঁচ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বন্দরে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে অভিযান পরিচালনাকারী বরিশাল গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু আবদুল্লাহ খান জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বাটাজোর বন্দরে অভিযান চালিয়ে মূল্য তালিকা না থাকা ও বেশি দামে পণ্য বিক্রির অপরাধে পাঁচ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে বরিশাল গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে বাজার নজরদারীর অংশ হিসেবে বরিশাল নগরীর কয়েকটি বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মজুমদার ও মো. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। এসময় তারা পোট রোড বাজার ও রুপাতলী বাজার এলাকায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার না রাখায় এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৫টি মামলায় ৫ জন বিক্রেতাকে ২২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।



;

ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে চরম সংকটে স্টিল শিল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে চরম সংকটে পড়েছে স্টিল শিল্প। ডলার সংকটের কারণে স্টিলের কাঁচামাল সাপ্লাই ব্যাহত হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ইকোনোমিক রিপোটার্স ফোরামে ‘ডলার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে স্টিল শিল্পের চরম সংকট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডলার সংকটের কারণে স্টিলের কাঁচামাল আমদানির জন্য দেশের ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না। এতে স্টিলের কাঁচামাল কম আসছে এবং কাঁচামালের সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হচ্ছে। স্টিল শিল্পে কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও যন্ত্রাংশের ৮৫ শতাংশ আমদানি নির্ভর। বর্তমানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য ৮৫ টাকা থেকে প্রায় ১২৫ টাকায় উঠেছে। এতে আমাদের চলতি মূলধনে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক মূলধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, এলসি কমিশন বৃদ্ধি, এলসি মার্জিন বৃদ্ধি, ডিসকাউন্টিং ব্যাংকের মাধ্যমে ডিসকাউন্টিং রেইট বৃদ্ধি, এস ও এফ আর প্লাস রেইট বৃদ্ধি, কাস্টম ডিউটি, ভ্যাট, ট্যাক্স এবং অন্যান্য চার্জ বৃদ্ধির কারণেও চলতি মূলধনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ডলার মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে স্টিল উৎপাদনকারীদের চলতি মূলধন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় ব্যাংকে গ্রাহক ঋণসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গত বছর বিদ্যুতের মূল্য প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং এবার বাড়িয়েছে ১০ শতাংশ। ডিমান্ড চার্জের ওপরও মূল্য ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য ধাপে ধাপে আরও বাড়ানো হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি স্টিল সেক্টরে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

আরও বলা হয়, গত বছরে গ্যাসের দাম প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কিউবিক ঘনমিটার গ্যাস ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা হয়েছে, যার ফলে স্টিল উৎপাদনে প্রতিটনে প্রায় ৩ টাকা অতিরিক্ত খরচ বেড়েছে।

মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আয়কর আইনের মৌলিক-নীতি হচ্ছে প্রকৃত আয়ের ওপর আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মূল্যায়নের ভিত্তিতে আয়কর নির্ধারণ করা। বর্তমানে বাজেটে ২ শতাংশ উৎস কর কর্তন মাত্রাতিরিক্ত এবং স্টিল সেক্টরের প্রকৃত মুনাফার সঙ্গে এর কোন সামাঞ্জস্য নেই। এই ২ শতাংশ কোন মূল্যায়িত কর নয়। এটি হলো ন্যূনতম কর। কোন প্রকার আয় বা মুনাফা ব্যতীত উৎপাদনকারীকে আয়কর প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদনকারীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে টন প্রতি ৫০০ টাকা ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর প্রদান করতে হয়। ন্যূনতম শর্তের কারণে এই আয়কর সমন্বয় বা ফেরতযোগ্য নয়।

সম্মেলন শেষে স্টিল শিল্প রক্ষার্থে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি মূলধনের যে ৪০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে তা পরিশোধের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণকে ১২ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা।

>> বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য এলসি সুবিধা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।

>> স্টিল শিল্পের জন্য ব্যাংকে বর্তমান গ্রাহক ঋণসীমা গণনার ক্ষেত্রে বর্তমান ১৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্লান্টের ন্যায় ২৫ শতাংশ হারে নন-ফান্ডেড দায় গণনার বিষয় বিবেচনা করা।

>> বিদ্যুতের নতুন দাম ফেব্রুয়ারি মাসের পরিবর্তে মার্চ হতে কার্যকর করা। ভারী শিল্প পর্যায়ে বাল্ক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের শিল্পকারখানা সমূহ চলমান রাখার স্বার্থে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা। বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জের ক্ষেত্রে ২৯ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে যে ন্যূনতম চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা।

>> স্টিল সেক্টরের জন্য উৎসে কর কর্তন ২% এর পরিবর্তে ০.৫০% নির্ধারণ করা। স্টিলের কাঁচামাল ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর টনপ্রতি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা।

>> শিল্প মন্ত্রণালয়ের সি এম সনদ ফি বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন বাতিল করা এবং সি এম সনদ ফি টার্নওভারের ভিত্তিতে নির্ধারণ না করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার গ্রুপ, বি এস আর এম, সালাম স্টিলসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় স্টিল শিল্পের কর্ণধারগণ। এমন পরিস্থিতিতে স্টিল শিল্পকে রক্ষার লক্ষ্যে খাতটিকে সুরক্ষা দেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

;