সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছে খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা!



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ডটকম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক খুলনার ছয়টি শাখা থেকে পাট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া হয়েছিল এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকার অধিক খেলাপি। রাষ্ট্রের এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় না করেই নতুন করে আরও এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে সাতজন চিহ্নিত খেলাপিকে ৭১ কোটি টাকা পুনরায় ঋণ দেয়ার অনুমোদন হয়েছে।

তাদের কাছে সোনালী ব্যাংকের পূর্বের ২৩১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। এভাবে অর্থ নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছে খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা।

ব্যাংকের তথ্য মতে, প্রভাবশালীদের তদবির ও চাপের কারণে ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত ১১৩ পাট ব্যবসায়ীকে ঋণ দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০৮ জন ঋণ খেলাপি। খুলনায় সোনালী ব্যাংকের ছয়টি শাখা থেকে ঋণ দেয়া হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে খুলনা করপোরেট শাখা, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা ও স্যার ইকবাল রোড শাখার বিতরণকৃত ঋণের প্রায় শতভাগ খেলাপি। সিসি প্লেজ, সিসি হাইপো, পিসিসি ও ব্লক হিসাবের বিপরীতে কাঁচা পাট রফতানিতে এ ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ১০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে সিসি প্লেজ হিসাবের বিপরীতে। গুদামে মজুদ থাকা পাট জামানত রেখে প্লেজ ঋণ দেয়া হয়। ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত না পেলেও গুদামের পাট বিক্রি করে দিয়েছেন ঋণ খেলাপিরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের কারণে এসব ঋণ খেলাপিকেই নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, ‘খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছেন। পাট খাতের সব মন্দ গ্রাহক এ ব্যাংকে ভিড়েছেন। নীতিমালার মধ্যে থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েও ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ব্যাংকের টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার কারণে ঋণ খেলাপিদের নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে।’

সোনালী ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির খুলনা করপোরেট শাখা কাঁচা পাট রফতানিতে ৫২ ব্যবসায়ীকে ৩৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এরমধ্যে ৩৮১ কোটি ৯৩ লাখ টাকাই খেলাপি হয়েছে। এ খাতে শাখাটির বিতরণকৃত ঋণের ৯৯ দশমিক ৪৮ শতাংশই এখন খেলাপি। খুলনার দৌলতপুর করপোরেট শাখা থেকে কাঁচা পাট রফতানির নামে ৬৬৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন ১৯ পাট ব্যবসায়ী। এরমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৪৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা খাতটিতে বিতরণকৃত ঋণের ৬৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ব্যাংকটির খুলনার দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা থেকে ২০ জন গ্রাহক ঋণ নিয়েছেন ৩২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ৯৮ দশমিক ৮৮ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির খালিশপুর শাখা থেকে ১৩ পাট ব্যবসায়ীকে দেয়া ৮০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ শাখা থেকে খাতটিতে বিতরণকৃত ঋণের ৬৯ দশমিক ৯১ শতাংশই খেলাপি। এছাড়া ব্যাংকটির খুলনার স্যার ইকবাল রোড শাখা থেকে দুজন পাট রফতানিকারককে দেয়া ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার পুরোটাই খেলাপি হয়ে গেছে।

খুলনা অঞ্চলে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ৩০ ঋণ খেলাপির কাছে ঋণ রয়েছে এক হাজার ৬৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে মো. এমদাদুল হোসেনের সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের কাছে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২৭ কোটি, অশোক কুমার দাশের এ কে জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ১১৭ কোটি, সেলিম রেজার মেসার্স রেজা জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ৩৮ কোটি ও সনজিত কুমার দাশের ইস্টার্ন ট্রেডার্সের কাছে ৯২ কোটি টাকা।

এর বাইরে মেসার্স শরীফ জুট ট্রেডিংয়ের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ কোটি, জাহিদুল ইসলামের মেসার্স জুয়েল জুট লিমিটেডের ৪৯ কোটি, মেসার্স সিরাজুল ইসলামের ৪০ কোটি, আলীফ জুট ট্রেডিংয়ের ৩৬ কোটি, অনিক জুট ইন্টারন্যাশনালের ৩০ কোটি, সানরাইজ ইন্টারন্যাশনালের ৩০ কোটি, অগ্রণী পাট সংস্থার ২৮ কোটি, মেসার্স শরীফ মোল্যার ২৫ কোটি, মেসার্স আবুল কাশেমের ২২ কোটি, এসআর জুট ট্রেডিংয়ের ২৩ কোটি, রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার প্রমি জুট ট্রেডার্সের ২০ কোটি, মনোয়ারা জুট ফাইবার্সের ১৮ কোটি এবং এসঅ্যান্ডএস জুট ট্রেডিং কোং লিমিটেডের ১৮ কোটি টাকা।

এছাড়া মেসার্স হাফিজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছে ১৭ কোটি, রাষ্ট্রায়ত্ত আলীম জুট মিলস লিমিটেডের ১৬ কোটি, রোজেমকো লিমিটেডের ১৫ কোটি, ব্রাদার্স ইন্টারন্যাশনালের ১৫ কোটি, দ্য পাঠান জুট ট্রেডিংয়ের ১৫ কোটি, আলমগীর জুট ট্রেডিংয়ের ১৪ কোটি, আবির জুট ট্রেডিংয়ের ১৩ কোটি, আজাদ ব্রাদার্সের ১৩ কোটি ও এমআর জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ১২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে সোনালী ব্যাংকের।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী মহলের তদবিরে সম্প্রতি ২৩১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের ওপর তৃতীয় দফায় ব্লক সুবিধা পেয়েছেন খুলনার সাত পাট ব্যবসায়ী। খেলাপি ঋণ ব্লক করে মো. সিরাজুল ইসলাম, এসআর জুট ট্রেডিং, বেঙ্গল জুট ট্রেডিং, নক্ষত্র জুট ট্রেডিং ও পিআর জুট ট্রেডিংকে নতুন করে ৭১ কোটি টাকা বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক খুলনা জিএম কার্যালয়ের অধীনে ছয়টি জেলার ১২৩টি শাখা। এ শাখাগুলো থেকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে চার হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণের ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ। খুলনা জিএম কার্যালয়ের অধীনে খেলাপি ঋণ রয়েছে এক হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাভাবিক পন্থায় আদায় অযোগ্য হওয়ায় অবলোপন করা হয়েছে ৩০১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। সব মিলিয়ে সোনালী ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের ১২৩টি শাখার খেলাপি ঋণের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাট ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়েছে ছয়টি শাখায়। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি শাখার মধ্যে চারটিই খুলনার। এরমধ্যে খুলনার করপোরেট শাখায় ৮১২ কোটি, দৌলতপুর করপোরেট শাখায় ৪৭১ কোটি, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখায় ৩৪৩ কোটি ও খালিশপুর শাখায় ৭১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফুলতলা মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অর্থ ঋণ দেয়া ও তা সময় মতো আদায় করার আন্তরিকতার অভাবেই খেলাপি ঋণের পাহাড় সৃষ্টি হচ্ছে। পাট ব্যবসা নিঃসন্দেহে লাভজনক। তাহলে কেন বছরের পর বছর পাট ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপি? তাহলে কী ব্যবসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের?’

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী জুট মিলের মালিক এসএম এমদাদুল হোসেন বুলবুল ও সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রায় ৯৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের পাট ব্যবসায়ী সনজিত কুমার দাস ও সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৫ সালে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের মেসার্স আকবর আলী অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. আকবর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

এভাবে একদিকে খেলাপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, অন্যদিকে দায়মুক্তি দিয়ে তাদের পুনরায় ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি খুলনা জেলার সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান জানান, কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ীই বর্তমানে পাট খাতে ঋণ নিয়ে বিলাসিতার পাশাপাশি ঋণের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করছেন। সে টাকা সুদাসলে ঠিক মতো ব্যাংকে ফেরত যায় না। এ খাতের দুর্নীতি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ব্যবসায়ী, গোডাউন কিপার ও ব্যাংক কর্মকর্তারা যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করছেন। শুধু পাট শিল্প নয় এভাবে খেলাপি ঋণের বোঝা বাড়তে থাকলে ব্যাংকখাতেও বিপর্যয় নেমে আসবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

   

কুয়াকাটায় জেলের জালে ২৬ কেজির কোরাল



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে রাসেল মাঝি (৩৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা মেয়র মৎস্য মার্কেটের মনি ফিস আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। পরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গোপসাগরের বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাসেল মাঝি বলেন, প্রতিদিনের মত গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ধুলাস্বার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজার থেকে (মায়ের দোয়া) নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যাই। পরে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ কোরাল মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় আমাদের ট্রলারে তুলতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার জালে ১০ থেকে ১৫ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়েছিলো। তবে আমার জালে ধরা এটিই সবচেয়ে বেশি ওজনের কোরাল। মাছটি খুব ভাল দামে বিক্রি করেছি। এত বড় মাছ পেয়ে আমার ট্রলারে থাকা জেলেসহ আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মাছের ব্যবসা করি, এত বড় কোরাল আসলে সব সময় পাওয়া যায় না। মাছটি দেখেই আমার পছন্দ হয়েছে। তাই নিলামে আমিই বেশি দাম হেঁকে এ মাছটি ক্রয় করেছি। মাছটি বিক্রির জন্য আজই ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি আমি ভালো মানের লাভ করতে পারব।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। শিশুদের মানসিক বিকাশে কোরাল মাছ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বৃষ্টি হলে জেলেদের জালে ইলিশের পাশাপাশি আরও বড় বড় মাছ ধরা পড়বে।

;

বিশ্বনাথে নারী কাউন্সিলরের মামলায় ৭ জনের জামিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী কাউন্সিলরের দায়ের করা মামলায় ৮ জনের মধ্যে দুই কাউন্সিরসহ ৭ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট প্রথম আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজভ

জামিন প্রাপ্তরা হলেন - কাউন্সিলর ফজর আলী, কাউন্সিলর বারাম উদ্দিন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পৌরসভার উদ্যোক্তা সুরমান আলী, দক্ষিণ মীরেরচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমাননগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে মেয়রের গাড়ি চালক হেলাল মিয়া ও জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহিদ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করে নারী কাউন্সিলর রাসনা বেগম। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ৪/৫ জন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র মুহিবুর রহমান জামিন আবেদন করেননি। তবে মেয়র ছাড়া বাকি ৭ জন আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

;

নারী চিকিৎসককে ইভটিজিং করায় যুবকের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসককে হয়রানি করার অপরাধে সাগর হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর হোসেন দৌলতপুর থানা বাজার এলাকার বিপ্লব হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তোহিদুল ইসলাম জানান, ওই যুবক বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের এক নারী চিকিৎসককে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে একইভাবে তাকে হয়রানি করতে গেলে আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বখাটে সাগর হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

;

কটিয়াদীতে চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দ্ব, এমপির সামনেই চেয়ার ছোড়াছুড়ি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এড. সোহরাব উদ্দিনের সামনেই করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও এক মেম্বারের সমর্থকদের চেয়ার ছুড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লা ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুবুর রহমান পানুর মধ্যে সৃষ্ট পূর্ব বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে করগাঁও হাইস্কুল মাঠে এক শালিস দরবার আয়োজন করা হয়। পরে শালিস দরবারের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় সাবেক সাংসদ মেজর অব. আখতারুজ্জান রঞ্জন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এম এ আফজল, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন মো. আলী আকবর, এড. মাহমুদুল ইসলাম জানু ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শালিসের এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লাকে কটাক্ষ করে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাট্টা এলাকায় এক ব্যক্তির নিকট পাওনা টাকা আদায় ও ভিজিডি চাল বরাদ্দের বিষয় নিয়ে গত রমজান মাসে করগাঁও ইউনিয়নের ভাট্টা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুবুর রহমান পানুকে পরিষদ থেকে ধরে নিয়ে করগাঁও এলাকার কিছু লোক অপমান অপদস্ত করে।

তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ ও উক্ত ঘটনার কোনো বিচারও করে নাই। বিষয়টি অন্যান্য মেম্বারসহ একাট্টা হলে করগাঁও ও ভাট্টা এলাকায় অচলাবস্থাসহ উত্তেজনা বিরাজ করে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে এমপিসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গ্রামবাসী শালিস দরবারে বসে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে আক্রমনাত্মক কথার কারণে শালিস দরবার পন্ড হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নাদিম মোল্লার সাথে কথা বলতে চাইলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে করগাঁও এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

;