আউটার রিং রোড: চট্টগ্রামকে বদলে দেয়া এক সড়ক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট থেকে পতেঙ্গাপর্যন্ত নির্মাণাধীন আউটার রিং রোড। ছবি: বার্তা২৪

চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট থেকে পতেঙ্গাপর্যন্ত নির্মাণাধীন আউটার রিং রোড। ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সবার আগে গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে হালিশহর থেকে পতেঙ্গা অংশ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট থেকে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি পর্যন্ত সাগরপাড়ে এক দৃষ্টিনন্দন মহাসড়ক নির্মিত হচ্ছে। চারলেনের এই সড়কটি একদিকে শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবে যেমন কাজ করবে, তেমনিভাবে ডিটি রোড থেকে কক্সবাজারের দিকে যাতায়াতে শহরের বাইরের রোড হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর এই রোডের শেষ প্রান্তে রয়েছে টানেল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হতে যাওয়া টানেলের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে। তবে ডিপিপি অনুযায়ী রিং রোডের কাজ আগামী বছরেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই রোডের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সড়কের দুই প্রান্তে দুই চিত্র দেখা গেছে। একপ্রান্তে (পতেঙ্গা আকমল আলী রোড থেকে ইপিজেড) চার লেনের সড়কে পিচঢালাইয়ের কাজ শেষ হলেও অপরপ্রান্তে (হালিশহর থেকে দক্ষিণকাট্টলী) এখনো মাটি ভরাটের কাজও শেষ হয়নি। সম্প্রতি বর্ষায় অনেক স্থানের মাটি ভেঙে চলে গেছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) মাধ্যমে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ‘উপকূলীয় বেড়িবাধঁ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণ’ প্রকল্পে দক্ষিণ কাট্টলী থেকে পতেঙ্গার নেভাল পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার হলেও ফৌজদারহাট পর্যন্ত পোর্ট এক্সেস রোড দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। আর দক্ষিণ কাট্টলী থেকে ফিডার রোডের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে সাগরিকায় পোর্ট কানেকটিং রোডের সাথে যুক্ত হবে রিং রোড।  আগামী বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০১৬ সালের জুলাইতে কাজ শুরু হলেও এখনো প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ বেশি পিছিয়ে রয়েছে। হালিশহর আনন্দবাজার থেকে দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাটি পিছিয়ে রয়েছে।আউটার রিং রোডআউটার রিং রোড

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535370338931.jpg
চট্টগ্রামের আউটার রিং রোডের নকশা।

গত রোববার দুপুরে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাসমনি ঘাট থেকে আর্টিলারি সেন্টার পর্যন্ত মাটি ভরাটের (পেভমেন্ট) কাজ হলেও বর্ষায় বিভিন্ন স্থানে মাটি ভেঙে গেছে। অনেক স্থানে মাটি ভেঙে নালার মতো তৈরি হয়েছে। আবার এই এলাকায় দুটি স্লুইশ গেইট নির্মাণের কাজও অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে আর্টিলারি সেন্টার থেকে হালিশহর আনন্দবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি তৈরি করা হলেও এখনো পিচঢালাইয়ের পর্যায়ে যায়নি। আনন্দবাজার থেকে স্টিলমিলস খেজুরতলা পর্যন্ত এলাকায় পিচঢালাইয়ের কাজও শেষ হয়ে গেছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে পতেঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা ফিলিং ও পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরমধ্যে আবার ইপিজেডের পেছনের এলাকায় ৫০০ মিটার জায়গায় রোড ডিভাইডারের কাজও হয়ে গেছে। উঁচু উঁচু ডিভাইডার দেয়া হয়েছে যাতে কেউ নির্ধারিত জায়গা ছাড়া অন্য কোনো স্থান দিয়ে রাস্তা পার হতে না পারে। এধরনের ডিভাইডার থাকবে পুরো রোড জুড়ে।

প্রকল্পের একদিকের অংশ এগিয়ে যাওয়া এবং অপর অংশ পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্পটির পরিচালক ও সিডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন,‘ কাজের সুবিধার্থে আমরা একটি অংশের কাজ আগে করেছি। পতেঙ্গা থেকে হালিশহর পর্যন্ত এলাকাটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হয়েছে এবং সেই হিসেবে এ অংশটি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে।’

অপর অংশের কাজ কবে শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনন্দবাজার থেকে রাসমনি ঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে মাটি ভরাটের (পেভমেন্ট) কাজ হয়েছে। মাঝখানে বর্ষা চলে আসায় মাটি ভরাটের পরবর্তী ধাপগুলো শেষ করা যায়নি। তবে বর্ষা যেহেতু প্রায় শেষ পর্যায়ে তাই এখন থেকে পুরোদমে কাজ চলবে এই অংশে।

এদিকে গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরো সড়কজুড়ে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, প্রাইম মুভারের পার্কিং। দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনি ঘাট থেকে শুরু হওয়া পার্কিং হালিশহর আনন্দ বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক  প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন,‘ ঈদের বন্ধের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে হয়তো এসব গাড়ি এখানে পার্ক করা হয়েছে। কাজ শুরু হলে কোনো গাড়ি এখানে রাখতে দেয়া হবে না।’

কিন্তু অনেক সড়কে দেখা যায় রাস্তার উপর পার্কিং করতে, এই সড়কেও আগামীতে একই চিত্র হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা চার লেনের সড়কটিতে রোড ডিভাইডার রাখবো। আর যেখানে সেখানে ক্রসিংয়ের সুযোগ নেই। তাই চাইলেও কেউ পার্কিং করে গাড়ি রাখতে পারবে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535370423299.jpg
চট্টগ্রামের আউটার রিং রোডের নকশা। 

সিডিএ সূত্রে জানা যায়, ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় চার লেনের এই সড়কটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট উঁচু হবে। এছাড়া পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে হালিশহরের দিকে পাঁচ কিলোমিটার হবে স্পেশাল পর্যটন জোন করা হচ্ছে। এখানে একসাথে প্রায় ১০ হাজার পর্যটকের সমাগম থাকতে পারবে। পানিতে নামার জন্য থাকবে ৬টি জেটি, যা দিয়ে পর্যটকরা বোটিং করতে পারবে। এছাড়া সাগর পাড়ে ৫০ ফুট জায়গা থাকবে ওয়াকওয়ে, বসার জন্য থাকবে বেঞ্চ, নির্দিষ্ট কিছু দোকান থাকবে, থাকবে শিশুদের জন্য কিডস জোন, গ্রিন জোন ও পার্কিং সুবিধা।

এই এলাকায় সাগরের ভেতরের অংশে সীমানা দেয়ালের পাশাপাশি থাকবে সিমেন্টের ব্লকও। প্রকল্পের আওতায় ১০টি ফুট ওভার ব্রিজ থাকবে। যাতে রোডের পাশের মানুষরা রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারে। এছাড়া পুরো রোডের সাগরের অংশে থাকবে লাগানো হবে গাছ এবং পুরো ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডে সাগরের ভেতরের অংশে সিমেন্টের ব্লক বসবে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। আউটার রিং রোডের শেষ ( পতেঙ্গা নেভাল) অংশে চলছে কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ। আর তা নির্মিত হলে কক্সবাজারমুখী গাড়িগুলো সহজেই আউটার রিং রোড ব্যবহার করে টানেল হয়ে কক্সবাজারের দিকে যাতায়াত করতে পারবে।

   

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম



তাসনীম হাসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ১৮দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে ঈদের আগে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা কম। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে জাহাজটির মালিকপক্ষের আলোচনা চলমান থাকলেও এখনো নাবিকদের মুক্তি নিয়ে বলার মতো তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এবার হয়তো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না নাবিকদের।

ঈদের আগে নাবিকদের উদ্ধার করার কথা প্রচার হচ্ছে কোথাও কোথাও। এমন পরিস্থিতিতে জাহাজটির মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। তবে এখনো বলার মতো কিছু হয়নি। নাবিকদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিকভাবে প্রশান্তিতে রাখার একটা বিষয় আছে। সেজন্য হয়তো কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকবার জায়গা বদলের পর বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা।

প্রায় ১৩ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এমভি জাহান মণি নামের একই গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জাহাজ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ আদায়ের পর জাহাজ থেকে নেমে গিয়েছিল দস্যুরা। ১০০ দিন পর সব নাবিকসহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার এখনো মুক্তিপণের বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর মুক্তিপণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে তেমন কিছু জানায়নি। মুক্তিপণ চাওয়ার পর মালিকপক্ষ থেকে দর কষাকষি করা হবে। তখন ৪০দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মুক্তিপণের বিষয়ে সমাঝোতা হয়েছিল। এরপর চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পাঠানো হয় দস্যুদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়। পরে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জাহাজে এসে সেই টাকা ভাগ করে দস্যুরা। এরপরই জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। অর্থাৎ সমাঝোতার পরও মুক্তি পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছিল। এবারও সেই প্রক্রিয়ায় মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়।

অবশ্য নাবিকদের উদ্ধারে দেরি হলেও ভালো খবর হচ্ছে, এখন পর্যন্ত নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। দস্যুদের পক্ষ থেকেও ভালো আচরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর কোনো নির্যাতন কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে না। এরই মধ্যে জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনা শুরু করেছে দস্যুরা। ফলে খাবার নিয়ে নাবিকদের মধ্যে থাকা দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে। অবশ্য জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে নাবিকদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ আছে।

অবশ্য জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানিয়েছেন নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাতে ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে। নাবিকদের সঙ্গেও তারা ভালো আচরণ করছে। নাবিকদের তাঁরা নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, জাহাজের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজে অংশ নিতে দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। আশা করছি খুব দ্রুত নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তাদের সঙ্গে সমাঝোতা হবে। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সংকটের সমাধান করে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’

;

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সহায়ক। যদি দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা যায় তাহলে শিক্ষার সামগ্রিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে দ্বিতীয় ডিআরএমসি জাতীয় রমাদান ফেস্টিভ্যাল ২০২৪ এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সংবিধান হলো মহাপবিত্র আল কুরআন। এটি কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথপ্রদর্শক। মুসলিমদের জন্য রয়েছে আরেকটি বিধান সেটি হলো মহানবী (স.) এর হাদীস। এই দুটিকে আঁকড়ে ধরতে পারলে পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলে পরকালে পুরস্কার হিসেবে রয়েছে চির শান্তির জান্নাত।

তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের আলো সঞ্চারিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তারা সকল ধরণের অন্যায়-অনাচার, পাপাচার থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পাবে এবং তারা আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা গড়ে তুলতে পারবো একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ক্লাবভিত্তিক সহশিক্ষা কার্যক্রম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণ ও সঞ্চারিত করার জন্য ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

;

রংপুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মামুন মিয়া (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ। এদিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ইমাদপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই শিশু মামুন মিয়া ইমাদপুর ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের দিনমজুর শহিদুল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিশু মামুনের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ইটভাটার মাটি আনার জন্য ট্রাক্টরগুলো যাতায়াত করে। সকালের দিকে শিশুটি রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দৃশ্য দেখছিল। এ সময় ভেকু দিয়ে কাটা মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টর মাটি নেওয়া শেষে পিছনে ঘুড়ানোর সময় মামুনকে চাপা দেয়। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরটি আটক করেন। পরে পরিবারের আবেদনে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

এক টিকিটের জন্য ৫০০ বার হিট, ৬ষ্ঠ দিনে বিক্রি ৩১ হাজারের বেশি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদ যাত্রায় ট্রেনের ৬ষ্ঠ দিনে ৩১ হাজারের বেশি অগ্রীম টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রতি টিকিটের জন্য গড়ে ৫০০ বারের বেশি হিট করেছেন যাত্রীরা। আগামী ৮ এপ্রিলের পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকেটের মধ্যে ১৫ হাজার ২০০টি বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সহজ.কমের চিফ অপারেটিং অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সন্দ্বীপ দেবনাথ বলেন, এ দিনের পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট পেতে রেল সেবা অ্যাপে প্রথম আধ ঘণ্টাতেই (সকাল ৮ থেকে সাড়ে আটটা) হিট পড়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ বার।অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের টিকিট পেতে উক্ত অ্যাপে হিট পড়েছে ৯৬ লাখ বার। পূর্বাঞ্চলের ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিটের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

এদিকে এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হবে। এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।

;