দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস পালন করল না কেউ!



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: খুলনার দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস আজ ২৭ আগস্ট। ১৯৭১ সালের এ দিনে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিরীহ ৬০ জন গ্রামবাসী নির্মম ভাবে গণহত্যার শিকার হয়। শহীদদের এ গণকবর সংরক্ষণ ও তাদের স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ না থাকলেও ২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি স্থানীয়ভাবে স্মৃতি সংরক্ষণের পদক্ষেপ নেন শিল্পপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী শাহ নেওয়াজ। দিঘলিয়া উপজেলাবাসী এ দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। গত ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন শাহ নেওয়াজ। তাই এ বছর আর পালিত হল না দিঘলিয়া গণহত্যা দিবস।

জানা গেছে, খুলনা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীর পাশ ঘেঁষে দিঘলিয়া উপজেলা। স্বাধীনতাযুদ্ধে এ উপজেলার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেয়াড়া গ্রামবাসী। সেখানে বিহারী কলোনি থাকায় নিরীহ বাঙালিদের ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট ভোরে সাবেক ছাত্রনেতা শেখ আবদার রহমান তার দলবল নিয়ে উপজেলার দেয়াড়ায় অবস্থান করছিলেন। এ খবর পেয়ে কয়েকশ রাজাকার, বিহারী ও পাক-হানাদার বাহিনী তার বাড়িসহ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। ওই বাড়ি থেকে একই পরিবারের ছয় সদস্য ডা. মতিয়ার রহমান, তার চাচাতো ভাই পিরু ও আলী, ভাগ্নে ইসমাঈল হোসেন ছোট খোকা, জামাই আব্দুল জলিল, সহোদর আব্দুল বারিক, হোসেন সরদার, মো. আজিম হোসেন, সাত্তার শেখ ও পরা মনিককে ধরে নিয়ে যায়। একই রাতে গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৫৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়। সকাল ৯টার দিকে দেয়াড়া বিহারী কলোনির পৃথক তিনটি স্থানে তাদের গুলি ও গলাকেটে হত্যা করা হয়।রাজাকাররা ২২ জনের লাশ পৃথক তিনটি স্থানে গণকবর দেয়। বাকি লাশগুলো পার্শ্ববর্তী ভৈরব নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

নিহত মুক্তিযোদ্ধা ডা. মতিয়ার রহমানের ছেলে আফজাল হোসেন বলেন, ‘কাজী শাহ নেওয়াজের ইন্তেকালের কারণে এ বছর গণহত্যা দিবস পালন করা হয়নি। প্রতি বছর মসজিদে মসজিদে কোরআন খতম, বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হতো। কখনো সরকারিভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না। তবে জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ বছর কোনো কর্মসূচি না নেয়ায় সত্যি আমরা মর্মাহত।’

দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শম্পা কুণ্ডু বলেন, ‘দিঘলিয়ায় গণহত্যা দিবস পালন সম্পর্কে উপর থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এ জন্য কোনো কর্মসূচি নেয়া হয়নি। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি খুলনা জেলার সভাপতি ডা. বাহারুল আলম বলেন, ‘আগামী ১ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুক্ত আর্কাইভ কার্যালয়ে একটা কর্মসূচি আছে। এ জন্য দিঘলিয়ায় কোনো কর্মসূচি পালন করিনি। এক সঙ্গে ওই কর্মসূচিটাও হাতে নেয়া হয়েছে।’

   

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাস মনে হয়: হাছান মাহমুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা কর্মীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড সার্কাস মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসন খানি' নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বানর যেমন নাচে সার্কাসে বিএনপি নেতা কর্মীর কার্যক্রম সে রকম ভাবেই ফুটে উঠে। কোনো কিছু হলেই তারা বিদেশিদের ধরনা দেয়। বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা সেখানেই। চেয়ে চেয়ে তারা মিটিং নেন, বিদেশিদের সাথে আলোচনা করেন। জনগণের কাছে যদি বিএনপি না যায় কোন বিদেশি তাদের ক্ষমতার আসনে বসাতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের ক্ষমতার মালিক এ দেশের জনগণ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে নানা অপ্রচার চালানো হয়েছে। ইতিহাস পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার খল নায়ককে (জিয়াউর রহমানকে) নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এ অপচেষ্টার ফলে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সে বিতর্কের কবর রচনার প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। খালেদা জিয়া পহেলা বৈশাখ পালনে বাধা দিয়েছিলেন। তবে শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ছুটি ঘোষণা দিয়েছেন। ভাতা চালু করেছেন। সংস্কৃতি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে চেষ্টা তা সব স্থানেই প্রশংসিত।

শেখ হাসিনাকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্টপোষকতায় বার বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী। বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

এসময় বিশ্বের প্রতিটি দেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আছে উল্লেখ করে বলেন, নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অর্জন বিশ্বে বিরল।

;

কটিয়াদীতে ভাতিজার টেটা-বল্লমের আঘাতে চাচা খুন



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের ভাতিজার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকালে (১৮ এপ্রিল) মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বলম দিয়ে আগাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘনটার ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

রাজশাহীতে ট্রাক চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবায় ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), সুত্রাবন এলাকার আলমগীরের ছেলে সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)।

অপরদিকে আহতরা হলেন, মো. জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও মো. রিমন হোসেন (৩৫)। জুলহাস জেলার দামকুড় উপজেলার আলীগঞ্জ এলাকার মো. রবিউল ইসলামের ছেলে ও রিমন একই উপজেলার নতুন কশবা এলাকার মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

দামকুড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বলেন, বিকেলে উপজেলার মুরাদীপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্পট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এসময় পাঁচ আরোহীর মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

;

চট্টগ্রামে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মোছাম্মৎ সাফা নামের ছয় মাস বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের ধারণা, অতি গরমে শিশুটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ২নং ওয়ার্ড আনজিরমারটেক সৈয়দ আলমের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি নাম মো. নিজাম উদ্দীনের মেয়ে।

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দীন বলেন, ভোরে মায়ের বুকের দুধ পান করার কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়ে। সে সময় ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো না। সকাল সাতটায় মেয়েকে কোলে নেয়ার পর তার শরীর ঠাণ্ডা অনুভব হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাবরিনা আকতার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার সাবরিনা আকতার বলেন, হিট স্ট্রোকে মারা গেছে কিনা সেটা পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত করলে তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা যাবে আসলে কি হয়েছিল শিশুটির। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে সে মারা যায়।

প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি অতি জরুরি অবস্থা। যাকে বলা হয় মেডিকেল ইমার্জেন্সি।

 

;