নেত্রকোনা: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বাসের চাপায় সিএসজি চালিত অটোরিকশার চালকসহ ৪ যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিকে উপজেলার মাসকা কাঁঠাতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কেন্দুয়া থানার পুলিশের ওসি ইমারত হোসেন গাজী। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি ইমারত হোসেন গাজী বলেন, দুপুরের দিকে মাসকা কাঁঠালতলা এলাকায় কেন্দুয়া থেকে আঠারোবাড়িগামী সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয় ঢাকা থেকে কেন্দুয়াগামী ‘মায়ের দোয়া’ পরিবহন নামে একটি বাস। এর ফলে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালক জামাল উদ্দিনসহ চারজন জন হয়।
আর আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে, ৮০-১০০ টাকা দরে। শসার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন আবার অনেক কৃষক লোকসানের ভয়ে ক্ষেতের শসা ক্ষেতেই রেখে দিচ্ছেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে শসা তুলছেন কৃষকেরা। কেউ পাইকারি দরে প্রতি কেজি শসা দুই টাকা আড়াই টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ শসা তুলে ক্ষেতেই ফেলে দিচ্ছেন অথবা কেউ ক্ষেত থেকে শসা তুলছেনই না!
উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের শসাচাষি আমিনুল হক শাহীন বলেন, এবার ৪০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। প্রথমদিকে ৮০-৯০ মণ দরে বিক্রি করলেও এখন তো ক্ষেতেই যাই না। কারণ, শসা ৮০-১০০ টাকা মণ দরে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে। শসা বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে শসা উত্তোলন করে কোনো লাভ নেই। ক্ষেতের মধ্যেই শসা লাউয়ের মতো বড় হচ্ছে। ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে।
মোবারকপুর গ্রামের চাষি আলী বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছি। ফলন দেখে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে শসা তুলে বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। এক পরিচিত পাইকারের কাছে ৯০-১০০ মণ দরে বিক্রি করেছি। বাজার দরে হতাশ হয়ে পড়েছি। লাভ তো দূরের কথা, খরচ তোলাই তো দায় হয়ে পড়েছে!
ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে ১শ টাকা মণ দরে কিনে সিলেটে বিক্রি করি ২শ টাকা মণে। বর্তমানে এক ট্রাক শসা পাঠাতে মণপ্রতি আড়ৎদারকে দিতে হয় ২০ টাকা। লেবার খরচ হয় ১৫ টাকা। বস্তা কিনতে হয় ২০ টাকায় এবং পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। এই টাকা খরচ করে সিলেটে শসা পাঠালে এখন আর আমাদের লাভ হয় না। লোকসান গুণতে হচ্ছে।
ইছুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন শসার ব্যবসা করে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। আমাদের ২/৩ লাখ টাকা করে লস হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে গৌরীপুরের কৃষকেরা বেশি পরিমাণে শসা উৎপাদন করেছেন এবং বাম্পার ফলনও হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমদানিও বেশি। সে কারণে দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লাভ কম হচ্ছে।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতীয়
প্রত্যাশার একদিন আগেই দস্যুমুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার আশা করছেন মালিকপক্ষ। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা নাগাদ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করবে। এর আগে ২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। তবে জাহাজটির বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী দ্রুতই দুবাই অভিমুখে এগিয়ে চলায় আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে তারা।
জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে বার্থিং শেষে আরও ৪-৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা আছে। তারপর ২১ নাবিক জাহাজটি নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। দুজন আসবেন উড়োজাহাজে।’
মালিকপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ছয়টার সময় জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তবে সেখানে বন্দরের বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী সেখানে বার্থিং ২৪-৩২ ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর জোয়ারের সময় এই বার্থিং হতে পারে। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম নাবিকদের গ্রহণ করতে দুবাই যাচ্ছেন।
১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাবার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ।এরপর জাহাজটিকে নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। সেখানে প্রায় এক মাস ধরে নাবিকদের জিম্মি করে রাখে তারা। এর ৩৩ দিন পর মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে ১৩ মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।
সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুমুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছানো পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআরের যু্দ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে এডেন উপসাগর পর্যন্ত সাগর নিরাপদ নয়। এডেন উপসাগর পার হওয়ার পর যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহকে বিদায় দিয়ে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যায়। অবশ্য জাহাজে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহর রেলিংয়ের চারপাশে লোহার কাঁটাতার, ডেকে ফায়ার হোস, জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া সমুদ্র পথে নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নকারী এবং ঝুঁকি হ্রাসে পরামর্শদাতা এমব্রেই গার্ডিয়ান সার্ভিস নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা নিয়েছে জাহাজের মালিক পক্ষ এসআর শিপিং। আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত জাহাজটির চারপাশে কোনো ঝুঁকি থাকলে তা ক্যাপ্টেনকে জানাবে প্রতিষ্ঠানটি।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, কাঠগড় বাইতুন নূর জামে মসজিদের পাশের সড়ক দিয়ে রিকশা করে হাসান ও তার স্ত্রী তাদের দেড় বছরের কন্যা শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি লরি রিকশাকে ধাক্কা দিলে শিশু তায়েবা মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা তায়েবাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তায়েবার মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
গোলাপ শাহ মাজারের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
জাতীয়
রাজধানীর গোলাপ শাহ মাজারের পাশের ফুটপাতের থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আশপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে আমরা ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে পারিনি।প্রযুক্তির সহায়তায় তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।