ইভিএমে ভোট দিতে প্রস্তুত সাতক্ষীরা সদর



এসএম শহীদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত সাতক্ষীরা সদর আসন। এ আসনে ১৩৭ টি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তে এ আসনে ভোটারদের মধ্যে এক ধরণের সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। ইতোমধ্যে সে সংশয় দূর হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। ভোটাররাও এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত।

২৭ ডিসেম্বর এ আসনের প্রতিটি কেন্দ্রে একযোগে অনুশীলনমূলক ভোটিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশ নিবেন। ইভিএমে ব্যাপক প্রচারণা ও প্রদর্শনের ফলে সাতক্ষীরা সদর আসনে বিরাজ করছে ভোটের উৎসব।

গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সকল প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কে পরবেন জয়ের মালা? ভোটারদের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস আদালত পর্যন্ত। তবে গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন অনেকেই। ফলে তারা মুখে কুলুপ মেরে রেখেছেন।

ভোটারদের আলোচনায় উঠে এসেছে স্বাধীনতা পরবর্তী ভোটের হিসাব। ভোটারদের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৭৩ পরবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ কোনো নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী বিজয়ী হতে না পারলেও এবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কোনো কোনো নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। কিন্তু জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। আওয়ামী লীগের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ের আশায় ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এ আসনে প্রচারণা চালাচ্ছেন শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন।

অপরদিকে স্বাধীনতা পরবর্তী সাতক্ষীরা সদর আসনটি অধিকাংশ সময় দখলে রেখেছিল জামায়াত। এবার জামায়াতের খোলস পাল্টে ধানের শীষ নিয়ে কারাগারে থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাম্মদ আব্দুল খালেক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ৩৮টি মামলা। প্রচারে পিছিয়ে থাকলেও তার ভোট রয়েছে ঘাপটি মেরে। বিশেষ করে জামায়াতের নারী ভোটাররা রয়েছে সক্রিয়। এ আসনে নারী ভোটারদের নিয়ে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জামায়াত।

তবে ২০১৩-১৪ সালের নৈরাজ্য নাশকতার কথা ভুলতে পারছেন না সাতক্ষীরাবাসী। জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব হয় সাতক্ষীরায়। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাতক্ষীরা। দিকে দিকে উন্নয়নের ছোঁয়া বদলে দিয়েছে চিরচেনা সাতক্ষীরার রূপ। কাঁচা রাস্তা হয়েছে পাকা। অজ পাড়ায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। সাতক্ষীরাবাসী আর সেই বিভীষিকাময় অতীতে ফিরতে চায় না। তাই এবার তারা উন্নয়ন ও শান্তির জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে জানান অনেকেই।

সচেতন নাগরিক ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ৭মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত এ আসনে ৪২ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত সাকি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভাসানী ন্যাপ’র এড. শামসুল হক পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৫৭২ ভোট। কথিত আছে, ওই নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেনি। তবে কলারোয়ায় বিপুল ভোট পাওয়ায় মোট ভোটে সৈয়দ কামাল বখত সাকি বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর এখানে আর আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয়ের মুখ দেখেনি।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএ জব্বার এক লক্ষ ৩৩ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে জামাতের খালেক মন্ডল পান এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৮ ভোট। এ নির্বাচনে সদর আসনে মোট ভোটার ছিল দুই লাখ ৭৯ হাজার ২৪৮ জন।

বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসনে মোট ভোটার ছিল তিন লাখ ১৩ হাজার ৫৪৯ জন। এ নির্বাচনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ ৩২ হাজার ৮৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল করিম সাবু পেয়েছিলেন ১৫ হাজার ৭৭৯ ভোট।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৫৬ হাজার ২৬৮ জন। আওয়ামী লীগের একটি সূত্রের মতে এরমধ্যে ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার ভোট রয়েছে আওয়ামী লীগের।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;