কুষ্টিয়ায় সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলা পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রাখতে কাজ করে আসছে পুলিশ সদস্যরা। প্রতীক বরাদ্দের পর অন্যান্য স্থানের তুলনায় কুষ্টিয়ার পরিবেশ একেবারেই শান্ত রয়েছে। এখন শেষ সময়ে এসে যাতে পরিবেশ ভাল থাকে ও সাধারণ মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারেন সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এ জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনের দিনও পরিবেশ-পরিস্থিতি যাতে অনুকূলে থাকে সে জন্য কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। আর গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার কথাও ভাবা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসনে এবার মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৬৫টি। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে ১২৬টি, কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে ১৫৬টি,  কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে ১৩৪টি ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে ১৪৭টি।

জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, কুষ্টিয়ার নির্বাচনী পরিবেশ খুবই সুন্দর ও শান্ত আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সবাই অবাধে মাঠে কাজ করতে পারছেন। তবে ভোট গ্রহণের দিন যাতে পরিবেশ ভালো থাকে সে ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে সদর, দৌলতপুর ও কুমারখালীতে চরাঞ্চল রয়েছে। দুর্গম এলাকার এসব ভোট কেন্দ্রের জন্য বাড়তি ফোর্স রাখা হবে। এছাড়া সব আসনেই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র আছে। এসব কেন্দ্রের জন্য অস্ত্রধারী পুলিশের সংখ্যা একের অধিক থাকবে। এছাড়া সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে থাকবে একজন অস্ত্রধারী পুলিশ।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট দেওয়া হয়েছে। তারা সেইভাবে এসব কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি বাড়াবে।

কুষ্টিয়া সদরে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ মাত্র ৬৭টি। আর বাকিগুলো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া জেলায় সব মিলিয়ে এক হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য কাজ করবে। এর বাইরে থাকবে পুলিশের স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। তারা নিয়মিত টহল প্রদান করবে। এর বাইরে পুলিশের আলাদা মোবাইল টিমও কাজ করবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘পুলিশ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করবে। ইতিমধ্যে পুলিশ মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে কুষ্টিয়া জেলার সার্বিক পরিবেশ ভাল আছে।’

জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও পরবর্তী কয়েকদিনের কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ছক সাজানো হচ্ছে। কোন কেন্দ্রকেই তারা ছোট করে দেখছেন না। প্রতিটি কেন্দ্রেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।

এদিকে ভোটের দিন যাতে সাধারণ মানুষ ভয়ভীতি ছাড়াই কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারে সে জন্য পুলিশ সদস্যরা সতর্ক থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা পুলিশ।

পুলিশের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবি কাজ করছে। মাঠে কাজ করছে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘সব ধরনের কথা বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হবে। সাধারণ মানুষ যাতে ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছে পুলিশ। এছাড়া নির্বাচনের দিন ও পরে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের প্রতিটি সদস্য। এখন পর্যন্ত জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। কেউ যাতে অশান্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে পুলিশ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;