যশোর থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন কে?
অতীতের সব নির্বাচিত সরকারে মন্ত্রিত্বের স্বাদ পেয়েছে যশোর। শিক্ষামন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এমনকি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে যশোর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছেন সরকার প্রধান। এবারও সেই ধারাবাহিকতা থাকবে বলে যশোরবাসী প্রত্যাশা করছেন।
প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া যশোর-২ আসনের মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন আছেন সেই আলোচনায়। প্রত্যাশিত তালিকায় আছেন যশোর-৩ আসনের কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত ইসমাত আরা সাদেক।
এছাড়া যশোর-১ আসনের শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-৪ আসনের রণজিৎ কুমার রায় ও যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্যকে মন্ত্রী করার দাবি করেছেন তার নিজ নিজ এলাকার ভোটাররা।
এদের মধ্যে ইসমাত আরা সাদেক দশম সংসদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আর রণজিৎ কুমার রায় ও শেখ আফিল উদ্দিন এই নিয়ে তিনবার আর কাজী নাবিল আহমেদ ও স্বপন ভট্টাচার্য দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ইতোমধ্যে মহাজোটের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যশোরের সর্বত্রই আলোচার বিষয় হয়েছে, ‘কে হচ্ছেন এবার যশোরের মন্ত্রী?’
স্বৈরাশাসনের পর ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করে বিএনপি। ঐ সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান সদ্য প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। এর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন খালেদুর রহমান টিটো ও নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সেই সরকারে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন যশোর-৬ থেকে নির্বাচিত (প্রয়াত) এএসএইচকে সাদেক। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান যশোর-২ থেকে নির্বাচিত অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
এর পাঁচ বছর পর ২০০১ সালের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায় বিএনপি। ঐ সময় সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হতে না পারলেও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হন তরিকুল ইসলাম। ২০০৮ সালে বিজয় পেয়ে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ঐ সরকারে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হন যশোর-২ আসনের এমপি মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের স্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
তাই এবারের সরকারেও যশোর থেকে মন্ত্রিপরিষদে কেউ না কেউ স্থান পাচ্ছেন বলে মনে করছেন যশোরবাসী।
যশোরের প্রবীণ রাজনীতিক ও কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম জেলা ও প্রথম ডিজিটাল জেলা নানা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রয়েছে বৃহত্তম স্থলবন্দর ও নৌবন্দর। রাজনীতিতেও এ জেলার অবদান অনস্বীকার্য। এজন্য সব সরকারের আমলেই যশোর থেকে নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে থেকে এক বা একাধিক মন্ত্রী করা হয়েছে।