হবিগঞ্জে শুঁটকির উৎপাদন অর্ধেক কমেছে



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একসময় মৎস ভান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল হবিগঞ্জ। এখানে রয়েছে বিশাল বিশাল নদ-নদী। আর এসব নদ-নদীতে ধরা পড়ত প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মাছ। কিন্তু প্রতিনিয়ত জলাশয় কমে আসার কারণে এখন আর আগের মতো হাওরে মাছ পাওয়া যায় না। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশীয় মাছ না পাওয়ার কারণে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর শুঁটকির উৎপাদন কমেছে প্রায় অর্ধেক।

অন্যদিকে, কাঁচা মাছের চেয়ে শুঁটকির দাম কম, পুঁজির অভাব ও যথেষ্ট পরিমাণে সরকারি ঋণ না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মারাত্মকভাবেই বাড়ছে শুঁটকি উৎপাদনকারীদের লোকসানের পরিমাণ। একের পর এক লোকসানের মুখে তারা দিতে পারছেন না শ্রমিকদের বেতন। ফলে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকটও। সেই সাথে সরকারিভাবে পরিমাণমত ঋণ না পাওয়ার কারণে মহাজনদের কাছ থেকে অধিক সুদে ঋণ এনে শুঁটকি উৎপাদন করায় লোকসানের পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ।

বর্ষার শেষে হবিগঞ্জে পুরোদমে শুরু হয় শুঁটকি উৎপাদন। প্রতিবছরই দেশের চাহিদা মিটিয়ে জেলা থেকে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার শুঁটকি বিদেশে রফতানি করা হয়। জেলার বানিয়াচং, আজমিরিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লাখাই ও মাধবপুর উপজেলার অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত রয়েছেন। এখানকার উৎপাদিত শুঁটকিতে কোন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার না করায় এর স্বাদ ও কদর আলাদা। কিন্তু এ বছর শুঁটকি উৎপাদনকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। প্রতিনিয়ত জলাশয় কমে আসার কারণে এখন আর আগের মতো হাওরে মাছ পাওয়া যায় না। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশীয় মাছ না পাওয়ার কারণে অন্য বছরের তুলনায় শুঁটকির উৎপাদন কমেছে প্রায় অর্ধেক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/06/1546772304781.gif

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর হবিগঞ্জে জেলায় ১০০ মেট্রিকটন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। আর এ বছর উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক কমে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৬৬ মেট্রিকটনে। তবে শুঁটকি উৎপাদনকারীদের লোকসানের পরিমাণ বাড়িয়েছে ঋণ। সরকারিভাবে পরিমাণমত ঋণ ও সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে মহাজনদের কাছ থেকে অধিক সুদের ঋণ এনে শুঁটকি উৎপাদন করছেন অনেকে। ফলে প্রতিমাসেই মহাজনকে দিতে হচ্ছে অধিক হারে সুদ। সেই সাথে সরকারি কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে অনেকে আবার এ ব্যবসা করতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জের শুঁটকি ব্যবসায়ী সুবল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আগের তুলনায় দিন দিন নদ-নদী কমে আসছে। সেই সাথে হাওরে মাছও আগের মতো পাওয়া যায় না। যার ফলে শুঁটকি তৈরি করতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে।’

বানিয়াচং উপজেলা ভাটিপাড়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র দাস বলেন, ‘মাছ কম পাওয়ায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সেই সাথে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় শুটকির দাম বাড়েনি। বাপ-দাদার ব্যবসা ছাড়তে পারি না, তাই লাভ লোকসান নিয়েই কোন রকমে আছি। আবার মহাজনের কাছ থেকে ছড়া সুদে ঋণ আনার কারণে আমাদের লোকসান আরও বেশি বাড়ে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/06/1546772326839.gif

একই গ্রামের ববিতা রানী দাস বলেন, ‘আমরা শুঁটকিতে কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করি না। আমরা যে শুঁটকি উৎপাদন করি তা অন্য এলাকার চেয়ে অনেক ভালো। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে ঋণ দেয়া হলে আমরা আও ভালোভাবে ব্যবসাটা করতে পারতাম। তাছাড়া আমাদের সরকারি উদ্যোগে আরও বেশি করে প্রশিক্ষণ দেয়া হলে ভালো হত।’

তবে এ বছর শুটকি উৎপাদনের জন্য ৭০টি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও উৎপাদনকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাদা খায়রুল।

তিনি বলেন- ‘নিয়মিত মাঠ পরিচর্যা করা হচ্ছে। তাছাড়া, শুঁটকি উৎপাদনের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আগামী বছর শুঁটকি উৎপাদনের সাথে জড়িতদের জন্য বিশেষ সু-ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জলাশয় কমে আসার সাথে সাথে হাওরে দেশি মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। যার ফলে আগের তুলনায় শুঁটকির উৎপাদন কমেছে।’

সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, সরকার থেকে প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত মাঠ পরিচর্যা এবং মাছের অভয়াশ্রম তৈরিতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করলে আবারও শুঁটকি শিল্পে সুদিন ফিরে আসতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;