স্বাধীনতার পর এবারই মন্ত্রীত্ব শূন্য সিরাজগঞ্জ



লিখন আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সিরাজগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারেও মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন সিরাজগঞ্জের নেতারা। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারই মন্ত্রী নেই এ জেলায়। ফলে মন্ত্রী শূন্য হয়ে পড়েছেন সিরাজগঞ্জবাসী।

রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নাম ঘোষণার সময় আগ্রহ নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসেছিল সিরাজগঞ্জের অনেকে। তবে মন্ত্রীর তালিকায় সিরাজগঞ্জের কোনো নেতার নাম না থাকায় হতাশ এখানকার আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থকরা। দিনভর পুরো সিরাজগঞ্জজুড়ে এটাই ছিল আলোচিত বিষয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হতাশা প্রকাশ করেন অনেকে।

জেলার রাজনৈতিক সচেতনরা বলেন, ১৯৭১ সালে মুজিব নগর সরকারের মন্ত্রী ছিলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম সিরাজগঞ্জের সন্তান শহীদ এম মনসুর আলী। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ও পরে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন তিনি। ওই সময় বেলকুচি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন তালুকদারও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমান সরকারের আমলেও মন্ত্রীত্ব পান ডা. এম এ মতিন। পরবর্তীতে এরশাদের আমলে মন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে সিরাজগঞ্জ-৬ (চৌহালী) আসন থেকে নির্বাচিত আনছার আলী সিদ্দিকী প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী পরে স্বরাষ্ট্র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ নাসিম। একই সরকারে শিল্প উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন হাসিবুর রহমান স্বপন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

এছাড়া ২০০৮ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নিযুক্ত হন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। ওই সরকারে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন এইচ টি ইমাম। ২০১৪ সালে মহাজোট সরকার টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ নাসিম।

এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বিপুল বিজয়ের পুরস্কার হিসেবে অন্তত একজন মন্ত্রী পাবেন এমনটাই আশা ছিল সিরাজগঞ্জবাসীর। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে টেলিভিশনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নামের তালিকা দেখে। উৎসুক জনতা দিনভর টিভির সামনে এবং মোবাইলে অনলাইন নিউজ দেখতে থাকেন। শেষ মুহূর্তে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য হিসেবে সিরাজগঞ্জের কারও নাম না থাকায় হতাশ হন দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম রেজা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন উদ্দিন, ৮নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজাসহ অনেকেই বলেন, ধারণা ছিল জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম আবারও মন্ত্রীত্ব পাবেন। পাশাপাশি জেলার বাকি পাঁচটি আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে আরও একজনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে এমনটাই আশা ছিল। কিন্তু ঘোষিত মন্ত্রিপরিষদে সিরাজগঞ্জের কারও নাম না থাকায় আমরা অত্যান্ত আশাহত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি এ জেলায় অন্তত একজনকে হলেও মন্ত্রীত্ব দেওয়া হোক।

ইউপি চেয়ারম্যান আলম রেজা বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে প্রতিটি সরকারের আমলে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল। এমনকি এ জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীও দেওয়া হয়েছিল। এবার মন্ত্রিত্ব না থাকায় জেলাবাসী হতাশ। এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুটা হলেও ধীরগতি হবে।’

হাটিকুমরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মন্ত্রি সভায় সিরাজগঞ্জের কোনো মন্ত্রী না থাকায় আমরা অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেত্রী যাকে ভাল মনে করেন তাকেই মন্ত্রীত্ব দেবেন।’

মন্ত্রী বিহীন সিরাজগঞ্জে উন্নতির কোনো বিঘ্নিত হবে কি না জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলে, ‘মন্ত্রী না থাকলেও সিরাজগঞ্জে উন্নতি পূর্বের মতোই চলতে থাকবে। কারণ আমাদের নেত্রী সমমোনা। তবুও আমাদের দাবি সিরাজগঞ্জে মন্ত্রী দেয়া হোক।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;