ন্যায্য মূল্যের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে লবণ চাষীরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার
ন্যায্য মূল্যের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে লবণ চাষীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ন্যায্য মূল্যের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে লবণ চাষীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন থেকেই চাষীরা অপরিশোধিত লবণের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। নানা কারণে চলতি মৌসুমেও লবণের মূল্যের ভবিষ্যত নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। অন্যদিকে বিদেশি লবণ আমদানীকারক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য তো রয়েছে।। এমন সব জটিলতা মাথায় নিয়ে মাঠে নেমেছে কক্সবাজার জেলার হাজারও লবণ চাষী। তাদের আশা, এবার অনন্ত তারা লবণের ন্যায্য মূল্য পাবেন। এই স্বপ্ন নিয়ে লবণ চাষ শুরু করেছে কক্সবাজারের চাষীরা।

বিসিক সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী টেকনাফসহ জেলার ৬০ হাজার একর জমিতে লাখো চাষী লবণের মাঠ তৈরিতে ব্যস্ত। প্রথম পর্যায়ে কোথাও কোথাও লবণের দেখাও মিলেছে। উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।

লবণ চাষী রহমত উল্লাহ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাঠ থেকে উঠে আসা লবণে টার্গেট পূরণ সম্ভব। এখন তাদের যতো ভয় ন্যায্য মূল্য নিয়ে। গত বছর মন প্রতি লবণ যেখানে ৩০০ টাকা ছিল এ বছর অপরিশোধিত সেই লবণে মিলছে ২০০ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/09/1547024472566.jpg

লবণ চাষী সেলিম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে লবণের ন্যায্য মূল্য পাবো এ আশায় মাঠে এসেছি। যদি লবণ আমদানি বন্ধ থাকে তাহলে আমরা ন্যায্য মূল্য পাবো। সরকারের কাছে আবেদন, যাতে লবণ আমদানি বন্ধ রাখে।

লবণ ব্যবসায়িরা বলছেন, মজুরিসহ লবণ উৎপাদনের নানা খরচ, লবণের মাঠ তৈরি এবং পরিবহনে যে খরচ লাগে তার অর্ধেকটাও পাওয়া যায় না লবণ বিক্রির পর।

লবণ ব্যবসায়ী রয়েজ উদ্দিন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ভারত এবং চায়নার লবণ বাজার দখল করে রাখায় দেশিয় তৈরি লবণ অবিক্রিত থাকে, কিছু বিক্রি হলেও ন্যায্য মূল্য মেলে না। তাই ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি চাষীরাও ক্ষতির মুখে পড়ছে। এ জন্য সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বার্তা ২৪.কমকে বলেন, লবণ আমদানি বন্ধ করা গেলে চাষীদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা যাবে। অন্যথায় চাষীরা লোকসানের মুখে পড়বে।

কক্সবাজার বিসিকের দিলদার আহমেদ চৌধুরী বার্তা ২৪.কমকে বলেন, লবণ আমদানী বন্ধ এবং মানসম্মত লবণ উৎপাদনে চাষীদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে বিসিক। পাশাপাশি চাষীরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এ বছর দেশে লবণের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন। আশা করছি টার্গেট পূরণ সম্ভব হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;