মরণোত্তর স্বীকৃতির অপেক্ষায় মনোগ্রাম প্রণেতা সাহার পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকে লোক মুখে শুনলে একটু অবাক হয়ে যায়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় যে গুরুত্বপূর্ণ মনোগ্রাম এখন ব্যবহার করা হয় তা চুয়াডাঙ্গার এক ক্ষুদ্র কারিগরের তৈরি। তিনি হলেন এনএন সাহা। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পার হলেও আজও মরনোত্তর সরকারি কোনো স্বীকৃতি পাননি এ ব্যক্তি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম প্রণেতা এনএন সাহার মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে একাধিকবার এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েও মেলেনি কোনো উত্তর। সরকারি বিভিন্ন দফতরে ঘোরার পরও কাজ না হওয়ায় বাবার স্বীকৃতির আশা অনেকটা ছেড়ে দিয়েছে এনএন সাহার সন্তানরা।

এনএন সাহার ছেলে চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু জানান, ‘তৎকালীন সময়ে রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামটি ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে তৈরি হয়েছিল। ১৯৭১ সালে ২৮শে মার্চ সেই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন অর্থ সম্পাদক প্রয়াত মোহাম্মদ আনসারীর মাধ্যমে এনএন সাহা ডাক্তার আসহাব উল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মুজিবনগর সরকার পরিচালনার জন্য এনএন সাহাকে মনোগ্রামের বানাতে বলা হয়েছিল। ডাক্তার হকের পছন্দেই একটি মনোগ্রাম বাছাই করা হয়। যাতে লেখা ছিল দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের মাঝে ছিল বাংলাদেশের ম্যাপ। মনোগ্রাম তৈরি তথ্যটি পাক বাহিনীর কাছে ফাঁস হলে তারা এনএন সাহার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তিনি ভীত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শরণার্থীর তালিকায় নাম লিখান

তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গায় বোমা বর্ষণের ফলে মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং একটি আঞ্চলিক দফতর ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে স্থাপন করা হয়। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে কৃষ্ণনগরের অফিসে যান এনএন সাহা। সে সময় স্বাধীন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ তাকে বলেন, দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনে এখন আর সিল প্রয়োজন নেই। এখন দরকার রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামযুক্ত সিল মোহর। দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের মনোগ্রামটি সামান্য পরিবর্তন করে এনএন সাহা একটি ডিজাইন করেন। তাতে লেখা ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ম্যাপ। পরবর্তীতে এটাই বাংলাদেশের সরকারের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সিল মোহর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।’

মৃত্যুর আগে রাষ্টীয় মনোগ্রাম প্রনেতা এনএন সাহা ও তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েও হয়েছেন বঞ্চিত। তবে এনএন সাহার সন্তানরা জানিয়েছেন, তাদের বাবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ, পৌত্রিক ভিটাবাড়ি উদ্ধার এবং বেঁচে থাকার পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে আজও তাকিয়ে আছেন তারা।

জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বার্তা২৪কে জানান, ‘এনএন সাহার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;