কেঁচো সারে স্বাবলম্বী শতাধিক নারী



ফয়সাল আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর, বার্তা২৪.কম
গাজীপুরের পাজুলিয়া গ্রামের শতাধিক নারী ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

গাজীপুরের পাজুলিয়া গ্রামের শতাধিক নারী ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে সবুজে মোড়ানো পথ মাড়িয়ে এগিয়ে গেলে দেখা মেলে পাজুলিয়া গ্রাম। সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এই গ্রামে ঢুকলেই নারীদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে।

শহুরে সভ্যতার ছোঁয়া এখনও না লাগায় দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রামের সিংহভাগ পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। তবে গ্রামটির বিশেষত্ব হচ্ছে পুরুষরা মাঠে কাজ করলেও গৃহিণীরা কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই।

নারীরা নিজেদের প্রচেষ্টায় বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) তৈরির শেড। আর এটা নিয়েই নারীদের ব্যস্ততা। কারণ ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিপনণে তাদের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। এক সময়ের নিত্য অভাবকে জয় করে এখন তারা স্বাবলম্বী।

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে সফল একজন গৃহবধূ মোমেনা খাতুন জানান, এক যুগ আগে তার শাশুড়ি এই সার তৈরি শুরু করেছিলেন। এখন এই সার তৈরি ও বিপনণ তিনিই পরিচালনা করছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/13/1547385290029.gif

বর্তমানে তার শেডে প্রায় ৩৪টি সিমেন্টের তৈরি গামলা রয়েছে। প্রতিমাসেই তার এই শেড থেকে  ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। শুধু তিনিই নন, এই গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতেই রয়েছে এই সার তৈরির শেড, যেগুলোর মূল উদ্যোক্তা গৃহবধূরা।

মোমেনা জানান, গাঁয়ের শতাধিক পরিবারে এই ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিপনণ হলেও এর মধ্য থেকে ২৭ জন নারী উদ্যোক্তা মিলে ইতোমধ্যে পাজুলিয়া জৈব সার উৎপাদনকারী মহিলা সমবায় সমিতি গড়ে তোলেছেন। তিনি নিজেই এই সমিতির সভানেত্রী।

এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে সহযোগিতা না পাওয়ায় পুঁজি গঠনে প্রতিজন মাসে ২০০টাকা করে স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে সঞ্চয় করেন। তাদের দেখাদেখি এখন অন্য গ্রামের গৃহবধূরাও এই সার তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়াতে পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

সেলিনা খাতুন বলেন, ‘গ্রামের গৃহবধূদের কেঁচো সার তৈরির প্রাথমিক ধারণা দেন স্থানীয় বাসা নামের একটি এনজিও। তারাই প্রথম প্রশিক্ষণ ও বিদেশি কেঁচো সরবরাহ করেছিলেন। এখন সারের পাশাপাশি প্রতিমাসে এক হাজার টাকা কেজি দরে কেঁচোও বিক্রি করি।’

আরেক গৃহবধূ জাহানারার ভাষ্য, ‘সংসারের যাবতীয় কাজের পাশাপাশি এই কাজ করা যায়। এতে তেমন সময় ব্যয় হয় না। এ কাজ থেকে বিনা ঝামেলায় অতিরিক্ত আয় হয়, পাশাপাশি নিজেদের জমিতেও ব্যবহার করছি এ সার।’

জানা যায়, এ গ্রামের নারীদের উৎপাদিত ভার্মি কমপোস্টের প্রধান ভোক্তা গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। সেখানকার বিজ্ঞানীরা গবেষণা মাঠের ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতিমাসে কয়েক টন ভার্মি সার নগদ টাকায় কিনে নেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/13/1547385246486.gif

এছাড়াও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার ফার্ম, কৃষকরা এখান থেকে সার কেনেন। ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নরসিংদী, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসেও সার ও কেচো নিয়ে যান গ্রাহকরা।

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উচ্ছিষ্ট, গোবর, তরকারির খোসাসহ আবর্জনা দিয়ে কেঁচোর মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে আদর্শ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। এগুলো ফসলের জন্য খুবই উপকারী। কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকি।’

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত জৈব সার উৎপাদনের সাথে জড়িতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করছি। ভবিষ্যতে এর ব্যাপকতা বাড়াতে তাদের সহযোগিতার চিন্তাভাবনা রয়েছে।’

তিনি বলতে, ‘আমরা যেহেতু সরাসরি কোনো আর্থিক সহযোগিতা করতে পারি না, তাই এ সার উৎপাদনের সাথে জড়িত নারীরা যদি ঋণের জন্য আবেদন করেন, তবে ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;