কমিউনিটি ক্লিনিকে মিলছে নিরাপদ প্রসবসেবা



মাহমুদ আল হাসান রাফিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নীলফামারী
কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিচ্ছেন এক গর্ববতী নারী, ছবি: বার্তা২৪

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিচ্ছেন এক গর্ববতী নারী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি নিরাপদ প্রসব কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে পল্লী অঞ্চলে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো (সিসি)।

প্রয়োজনীয় পরামর্শ, চেকআপ করাসহ প্রতি মাসে মাসে সিসিতে গিয়ে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) সহযোগিতা নিচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা। শুধু নিরাপদ প্রসব নয় ২৬ প্রকারের ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে রোগীদের।

নীলফামারী জেলার ১৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১৬ টি তে নিরাপদ প্রসব কেন্দ্র হিসেবে পুরোদমে শুরু হয়েছে গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসব।

জলঢাকার বালাগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বালাগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি খালেদা বেগম জানায়, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের ফলে দক্ষতার সাথে মায়েদের সেবা কার্যক্রম দেয়া হয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য খোঁজ খবর রাখার জন্য মোবাইল ফোন নম্বর খাতায় লিখে রাখা হয়েছে। কোনো মাসে যদি না আসেন তাহলে ফোন করে খোঁজ খবর নেওয়া হয়।

ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা শারমিন আক্তার জানান, আমি প্রতি মাসে মাসে ক্লিনিকে গিয়ে আপার সাথে পরামর্শ করে আসি। চেকআপ করা, খাদ্যগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন আপা।

বালাগ্রাম ইউনিয়নের ছকিনিয়া মাদ্রাসা পাড়ার লাইজু বেগম বেগম জানান, গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই আমি ক্লিনিকে নিয়মিত আসা যাওয়ার মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করি। সেখানেই আমার সন্তান প্রসব হয়। এখন আমি ও আমার সন্তান ভালো রয়েছে।

নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি স্বপ্না রানী রায় জানান, আমার ক্লিনিকে ২০১৪ সাল থেকে নিরাপদ প্রসব কেন্দ্র হিসেবে চালু হয়। প্রতি মাসেই ডেলিভারি হয়ে থাকে এখানে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং সচেতনতা সৃষ্টির ফলে গ্রামের কেউ আর বাড়িতে সন্তান প্রসব করান না। প্রসব বেদনা শুরু হলেই ক্লিনিকে নিয়ে আসেন গর্ভবতী মাকে।

সদর উপজেলার কচুকাটা এলাকার জাহানারা বেগম বলেন, 'আগোত বাড়িতে বাড়িতে ছাওয়াল প্রসব করা হইছোলো। এখন আর কাহো ঝুঁকি নেয় না। সমস্যা হলে ক্লিনিকে যায়। ওটে ভালোয় চিকিৎসা পাওয়া যায়, এমনকি ওষুধও দেন ডাক্তার আপা।'

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, সিসি গুলোতে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান, প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সিএইচসিপিদের। পাশাপাশি সহযোগিতা করছে বেসরকারি সংস্থা ল্যাম্ব। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়িতে প্রসবের ঝুঁকির বিষয়ে মানুষজনকে মাঠ পর্যায়ে অবহিত করছেন। বাড়িতে প্রসব শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।

নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বার্তা২৪কে বলেন, '১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামীলীগ সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করলে ও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। এর ফলে গ্রামের মানুষদের চিকিৎসা সেবা হুমকির মুখে পড়ে। গ্রামের মানুষের সেবা নিশ্চিত কল্পে আবারও সিসিগুলো চালু করেন শেখ হাসিনার সরকার।'

তিনি আরও বলেন,'বাড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে প্রসব না করে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদ প্রসব সেবাদান বঙ্গবন্ধু তনয়ার যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। ফলে শিশুমৃত্যুর হার কমে এসেছে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;