সংরক্ষিত নারী আসন: যশোর থেকে ফরম কিনলেন ৩ নেত্রী
একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিন মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) যশোরের তিন নারী নেত্রী আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। তারা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু কেউই মনোনয়ন পাননি।
দলের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম ক্রয়কারী তিন নারী নেত্রী হলেন- যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর জাহান ইসলাম নীরা, যশোর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা যশোরের চেয়ারম্যান লাইজু জামান।
এর মধ্যে নুরজাহান ইসলাম নীরা ও লাইজু জামান যশোর-৪ আসন থেকে ৩০ ডিসেম্বর সরাসরি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। আর মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী যশোর-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সে সময় তারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও নৌকা প্রতীকের পক্ষে নিবেদিত হয়ে মাঠে ছিলেন।
মনোনয়নপত্র ক্রয় শেষে মঙ্গলবার রাতে যশোর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী জানান, ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরে ইউপি মেম্বার ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তিনি রাজপথে থেকে সংগঠনের নিবেদিত হয়ে কাজ করেন। ২০১২ সালে তিনি যশোর জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। সেই সময় থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে দল থেকে তিনি মনোনয়ন না পেলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। এজন্য সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন।
যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর জাহান ইসলাম নীরা জানান, ৩৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। ১৯৮০ সালে যশোর সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৯২ সালে যশোর মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরের বছর যশোর পৌরসভার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী হিসেবে কমিশনার পদে নির্বাচন করে জয়ী হন। বর্তমানে তিনি জেলা মহিলা লীগের সভাপতির পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরও জানান, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও জামায়াত-বিএনপির আমলে ডিসি অফিস থেকে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। বিগত জামায়াত-বিএনপি সরকারের সময় আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথে নির্যাতিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে সর্বশেষ নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এজন্য নেত্রী তাকে মনোনয়ন দিয়ে মূল্যায়ন করবেন বলে তিনি আশাবাদী।
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী লাইজু জানান, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন। এ জন্য তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।