হবিগঞ্জে ফোন করার ৫ মিনিটেই বিদ্যুৎ



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে বিদ্যুৎ প্রাপ্ত জনগোষ্ঠি ৯১ শতাংশ। আর হবিগঞ্জে বিদ্যুৎপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠির সংখ্যা ৮৯ শতাংশ। কিন্তু এখনও পল্লী বিদ্যুতের লাইন নিতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকের নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। একটি লাইন নিতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখার যেমন কেউ ছিলো না, তেমনি আলোর পৃথিবীতে অন্ধকারের বসবাস করার কষ্টটাও কেউ বুঝেনি। তার উপর মোটা অংকের টাকাতো ঢালতেই হতো গ্রাহকদের। এমনকি ‘প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ প্রকল্পও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কিছু সুবিধাভোগীর জন্য। অবশেষে এই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ও গ্রাহক হয়রানি কমানোর জন্য সাধারণ জনগণের আর্শিবাদ হয়ে এসেছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’।

ভ্যান অথবা টমটম (অটোরিকশা) দিয়ে বিদ্যুৎ ফেরি করে হবিগঞ্জের রাজপথে ঘুরছেন সবুজ পোষাক পড়া কয়েকজন লোক। তাদের কাছে বৈদ্যুতিক নানান সরঞ্জাম। কাগজপত্র রেডি করে ফোন করার ৫ মিনিটেই বিদ্যুৎ নিয়ে হাজির হন তারা। মিটারের জামানত বাবদ সরকার নির্ধারিত ৪৫০ টাকা দিলেই সাথে সাথে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে স্বপ্নের বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয় গ্রাহকের বাড়ি।

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই বিদ্যুৎ ফেরি করে আসছে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এই পর্যন্ত কয়েক শতাধিক বাড়িতে দেয়া হয়েছে সংযোগ। হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী দিনব্যাপী ভ্যানে করে মিটার প্রত্যাশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এভাবেই দিচ্ছেন সংযোগ। তাঁদের (বিদ্যুৎ কর্মকর্তা) আন্তরিকতায় ও সেবায় মুগ্ধ সাধারণ মানুষ।

বছরের প্রথম দিন থেকে কার্যক্রম চললেও বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (অর্থ) মো. জয়নাল আবেদিন। এ সময় তিনি হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শফিউল আলম, হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহার হোসেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (কারিগরী) মো. রেজাউল করিম, হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (সদস্য সেবা) মোহাম্মদ শামিউল আশরাফ ও হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালনা কমিটির সচিব মো. জালাল উদ্দিন রুমি প্রমূখ।

বিদ্যুৎ পেয়ে গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সারা জীবন অন্ধকারে ছিলাম। ছেলে মেয়েরা ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারত না। এখন বিদ্যুৎ পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি। বিদ্যুৎ পেতে আমাদের কোনো কষ্ট করতে হয়নি। ফোন করার সাথে সাথেই অফিস থেকে লোকজন এসে বিদ্যুৎ দিয়ে গেছে।’

অন্য এক সুবিধাভোগী আবিদুল মিয়া বলেন- ‘বিদ্যুৎ পেতে একদিকে যেমন কোনো কষ্ট করতে হয়নি। অন্যদিকে টাকাও খরচ হয়নি। সরকার নির্ধারিত ৪৫০ টাকা দিয়ে ঘরে বসে বিদ্যুৎ পেয়েছি।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালনা কমিটির সচিব মো. জালাল উদ্দিন রুমি বলেন- ‘একটা সময় ছিলো বিদ্যুৎ পেতে মানুষের হয়রানির শেষ ছিলো না। কিন্তু এই ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ একটি ভালো উদ্যোগ। ফোন করার ৫ মিনিটেই বিদ্যুৎ পাওয়া অকল্পনীয় একটি বিষয়।

এ ব্যপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম (সদস্য সেবা) মোহাম্মদ শামিউল আশরাফ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানে ৫ মিনিটে ‘আলোর ফেরিওয়ালার’ মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হচ্ছে। যাদের বাড়িতে এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি তাদের যদি খুঁটি লাগে তাহলে আগামী সাত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। খুঁটি দিয়েই তাদের বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, কিন্তু কিছু সংখ্যক বাড়িতে নেই। তারা ফোন করলেই আমরা গিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে আসি। গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত করতেই এ ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (অর্থ) মো. জয়নাল আবেদিন বলেন- ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত প্রত্যেকটি এলাকায় বিদ্যুতায়ন করা হচ্ছে। আমরা আশা করি ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের কোথাও বিদ্যুবিহীন থাকবে না।’ একেবাওে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;