যমুনায় জেগে উঠা চর দ্বীপে পরিণত



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল, বার্তা২৪.কম
যমুনার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে জেগে উঠা চর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

যমুনার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে জেগে উঠা চর/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছর যমুনা নদীর একেকটি জেগে উঠা চর একেকটি দ্বীপের মত পরিণত হচ্ছে। মূল নদীতে চর জেগে কয়েকটি চ্যানেলে ভাগ হয়েছে। অন্যদিকে চরের মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

বর্ষায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বিশাল চর পাড়ি দিতে হয় তাদের। আবার খরার সময় সূর্যের প্রচণ্ড তাপ নিয়েই ধু ধু বালুচর পাড়ি দিতে হয়। যমুনা নদী শুকিয়ে যাওয়ায় চরের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। নদী শাসন না হওয়ায় পানি শুকিয়ে যমুনা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এমন চিত্র দেখা গেছে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর যমুনা নদীতে।

উত্তরে জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর হতে ভূঞাপুর বঙ্গবন্ধু সেতুপুর্ব পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যমুনা নদী শুকিয়ে কয়েকটি চ্যানেলে ভাগ হয়ে খালে পরিণত হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/19/1547894446141.gif

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নাব্যতা না থাকায়ে যমুনা নদীতে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মাঝ নদীতেই আটকে যাচ্ছে নৌকা। নদীতে চর জেগে উঠায় নৌকাগুলো বিভিন্ন পয়েন্টে রেখে দিয়েছেন মালিকরা। দুই একটি নৌকা পালা-বদল করে চলাচল করছে।

নির্ধারিত কোনো ঘাট না থাকায় নৌকা চালকরা সুবিধামত মানুষ নামিয়ে দিচ্ছেন। ফলে কষ্ট করে নৌকায় উঠা-নামা করতে হচ্ছে চরের মানুষের। উপজেলার গাবসারা ও অজুর্না এই দুইটি ইউনিয়নে চর জেগে উঠেছে। নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় এর মালিকরা ভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। কেউ ইটভাটায়, কেউ খেতে-খামারে কাজ করছেন।

জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। বাস্তুহারা হন শত শত পরিবার। আবার শুষ্ক মৌসুমে সেই এলাকা বিশাল চরে পরিণত হয়। যমুনা নদী ভেঙে ক্রমশঃ পূর্ব দিকে ধাপিত হচ্ছে। ফলে ভেঙে যাচ্ছে পুরাতন জনপদ।

অন্যদিকে ভরা মৌসুমে চরের মানুষের যাতায়াতের তেমন ভোগান্তি পোহাতে না হলেও শুষ্ক মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় চরের মানুষদের। শিক্ষার্থীদেরকে পায়ে হেটে বিশাল চর পাড়ি দিয়ে নৌকা ঘাটে এসে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।

চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, চরে বাস করতে করতে কষ্ট কী জিনিস ভুলে গেছেন তারা। চরে বাড়ি শুনলে মেয়ে-ছেলে বিয়ে করতে চায় না। যাতায়াতের সমস্যার কারণে রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। এখন খরা মৌসুম তাই মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।

তাদের অভিযোগ, চরে যোগাযোগ ব্যবস্থা, দুর্যোগকালীন নিরাপত্তা অনেক সমস্যা এখনও রয়েছে। ফলে চরের চারদিকে বেড়িবাঁধ দিয়ে যমুনার ভাঙন ও ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে চরের মানুষকে রক্ষার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/19/1547894656347.gif

উপজেলার চরাঞ্চলের গাবসারা মাদরাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বন্যার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে সহজ হয়। নৌকায় চড়ে মাদরাসার পিছনে গিয়ে নামতে পারি। আর এখন ১০ টাকা দিয়ে নৌকায় নদী পাড় হয়ে পরবর্তীতে দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মাদরাসায় যেতে হচ্ছে।’

চরচন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। এছাড়া যমুনা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। মাঝ নদীতেই নৌকা আটকে পড়ে। আবার বর্ষার সময় খুব সহজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে নামতে পারি। শুকনা মৌসুমে কষ্টটা বেশি সবচেয়ে।’

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যমুনা নদীর ভূঞাপুর অংশের নদী শাসনের কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। তবে উপজেলার কুঠিবয়ড়াসহ কয়েকটি স্থানে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এর আগে কয়েকটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হলেও সেগুলো পাশ হয়নি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;