বগুড়ায় বন্ধের পথে হিজড়াদের একমাত্র স্কুল



গনেশ দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪.কম
বগুড়ায় বন্ধের পথে হিজড়াদের একমাত্র স্কুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়ায় বন্ধের পথে হিজড়াদের একমাত্র স্কুল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিজড়া সম্প্রদায়ের একমাত্র স্কুলটি অর্থের অভাবে বন্ধের পথে। সপ্তাহে দুইদিন করে হিজড়াদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় স্কুলটিতে। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য নেই বইখাতা, কোনো শিক্ষা উপকরণ। এমনকি ওই স্কুলের কোনো নামও দেয়া হয়নি।

শিক্ষক হিসেবে যিনি আছেন তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হলেও সম্মানী ভাতা পান না মাসের পর মাস। এ কারণে শিক্ষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থী উপস্থিতিও কমে যাচ্ছে দিন দিন।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে তৃতীয় লিঙ্গের নেত্রী সুমি হিজড়া তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বগুড়া শহরের কামারগাড়ি (হাড্ডি পট্টি) এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় হিজড়াদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল গড়ে তোলেন। সেখানেই হিজড়াদের অক্ষর জ্ঞান দেয়ার কাজ শুরু করেন সুমি হিজড়া নিজেই। কিন্তু অর্থের অভাবে সেই স্কুল বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। বন্ধ হয়ে যায় একসময়।

তবে সমাজসেবা অধিদপ্তর হিজড়াদের নিয়ে কাজ শুরু করলে ২০১৮ সালে ওই স্কুলটি ফের চালু হয়। তখন শিক্ষার্থী উপস্থিতি এবং শিক্ষার আগ্রহ বাড়াতে তাদের উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও হিজড়াদের সংগঠন বলাকা মানব উন্নয়ন সংস্থাকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকেই এই সংগঠনের মাধ্যমে সুদ মুক্ত ঋণ সহযোগিতা দিয়ে হিজড়াদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।

শহরের কামারগাড়ি এলাকায় একটি টিনের ছাপরা ঘরে চলে আসছে হিজড়াদের ওই স্কুলের কার্যক্রম। সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যার পর চলে স্কুলের কার্যক্রম।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। স্কুলে আসা মালা, শেফালী ও রত্না হিজড়া জানান, তারা এক বছর যাবৎ স্কুলে লেখাপড়া করলেও তাদের কোনো বই খাতা দেয়া হয়নি। হিজড়াদের মধ্যেই শিক্ষিত একজন তাদেরকে নাম-ঠিকানা লেখা শিখিয়েছে। এছাড়াও তাদেরকে অক্ষর জ্ঞান দেয়া হয়। বই খাতা পেলে বাসায় অবসর সময়ে আরও লেখাপড়া করতে পারবেন।

তারা বলেন, ‘এমনিতেই আমরা সমাজে অবহেলিত। আমাদেরকে কেউ কাজে নিতে চায় না, বাসা ভাড়া দিতে চায় না। পরিবারও আমাদেরকে বোঝা হিসেবে মনে করে।’

হিজড়াদের নেত্রী ও বলাকা মানব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সুমি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিজের টাকায় রেলওয়ে থেকে জায়গা লিজ নিয়ে স্কুল ঘর তৈরি করেছি। সমাজসেবা থেকে বছরে একেক জনকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয়। এই টাকায় হিজড়ারা চলতে পারে না।’

তিনি জানান, সমাজে অবহেলিত হিজড়ারা কাজ চায়। কাজের পাশাপাশি শিক্ষা প্রয়োজন। আর এ কারণেই নিজ উদ্যোগে স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে। শুরুতে স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল ১৪৭ জন। এখন রয়েছে ৯১ জন। তাও আবার উপবৃত্তি দেয়ার কারণে তাদেরকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সরকারি বেসরকারি ভাবে কেউ স্কুলের উন্নয়নে কোনো সহযোগিতা করে না। ফলে স্কুলের কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। এখন এটি অর্থের অভাবে বন্ধের পথে।

হিজড়াদের স্কুলের শিক্ষক নাসিরুজ্জামান খান তপু নিজেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। লাইট হাউজ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় তিনি হিজড়াদের নিয়ে কাজ করেন। বার্তা২৪.কমকে খান তপু জানান, লাইট হাউজের হিসেব অনুযায়ী বগুড়া জেলায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে ৭২৫ জন।

তিনি জানান, হিজড়াদের স্কুলে বই-খাতা, কলম এমনকি কোনো শিক্ষা উপকরণ দিয়ে কেউ সহযোগিতা করে না। তারপরেও নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখন নিজের নাম ঠিকানা লিখতে পারে। বাংলার প্রত্যেকটি অক্ষর চিনতে পারে। এছাড়াও যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ দিয়ে ছোটখাট অংক করতে পারে।

বগুড়া শহরের সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম লিটন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নীতিমালার মধ্যে থেকে আমরা হিজড়াদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে থাকি। তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। তাদের সংগঠনকে নিবন্ধন ভুক্ত করে সুদ মুক্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে আরও উদ্যোগ নেয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;