কে এই বাউন্ডারি শহীদ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভালুকার বাউন্ডারি শহীদ/ ছবি: সংগৃহীত

ভালুকার বাউন্ডারি শহীদ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে ফিরে: বন বিভাগের জমি দখল করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। যখনই জমিতে বাউন্ডারি দিয়ে দখলের প্রসঙ্গ আসে, প্রথমেই ডাক পড়ে তার। আবার অনেক সময় তিনি নিজেই লোক ডেকে এনে জমি দখল করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

যে কারণে এখন তার নামই হয়ে গেছে বাউন্ডারি শহীদ। কে এই শহীদ, কী তার পরিচয়? পুরো নাম শহীদুল ইসলাম শহীদ। জন্মসূত্রে গফরগাঁওয়ের বাসিন্দা হলেও হবিরবাড়ি মৌজায় স্থানান্তির হয়ে আসেন। রাজনৈতিক পরিচয় হচ্ছে ভালুকা উপজেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ। এক সময় দৈনিক পাঁচ কেজি গমের বিনিময়ে বন বিভাগের নার্সারীতে কাজ করতেন।

এখন শত কোটি টাকার মালিক। গাড়ি-বাড়ি, বিত্ত-বৈভব সবই এখন তার হাতের মুঠোয়। ভালুকা রেঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন। রয়েছে একাধিক খামার ও শিল্প কারখানা। সিডস্টোর বাজারের পুর্বদিকে ২০ বিঘা জমির উপর রয়েছে সুপ্তি সোয়েটার ও সুপ্তি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, দক্ষিণ দিকে ১০ বিঘা জমির উপর রয়েছে সুপ্তি ওয়েল লিমিটেড।

কোকাকোলার পশ্চিমে সাত বিঘা জমির উপর রয়েছে তার হাজী এন্টারপ্রাইজ নামে আরসিসি পিলারের কারখানা। জনশ্রুতি আছে ঢাকাতেও তার রয়েছে একাধিক বাড়ি। চলেন কোটি টাকা দামের গাড়িতে।

বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নব্বই সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই যে শুরু করেছেন, তা এখনও চলছে। নিত্য-নতুন ফন্দিতে বনের জায়গা দখল করে চলেছেন তিনি। তার এক ডাকে কয়েকশ লোক নেমে আসে। দখল প্রক্রিয়ায় মাঠে নেতৃত্ব দেন আমতলী গ্রামের ইন্নুস আলীর ছেলে শাহজাহান। শহীদের কথায় যে কারো মাথা ফাটিয়ে দিতে পারেন। এমন নজীর অনেক রয়েছে।

আরও পড়ুন:

** ১৫৯৯ একর জমির মালিক মল্লিকবাড়ি বন বিট নিজেই ভূমিহীন
*বনের জমি দখলের খেলার নাম ‘ডিমার্কেশন’

স্থানীয়রা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও ভালুকা চলে বিএনপি নেতা শহীদের আঙ্গুলের ইশারায়। আর টাকা দিয়ে প্রশাসনের লোকের মুখ বন্ধ রেখে অনায়াসে দখল করে নেন বনের জমি। তার কারণে বিপন্ন হয়ে পড়েছে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ভালুকা রেঞ্জ। এরই মধ্যে মল্লিকবাড়ি বন বিটের এক হাজার ৫৯৯ একর জমি পুরোটাই জবরদখলকারিদের ভোগে চলে গেছে। খোদ বিট অফিসার এখন অন্য বিটের আশ্রিত হিসেবে রয়েছেন।

অপর দুইটি বিটের অবস্থাও সংকটাপন্ন। হবিরবাড়ি বিটের প্রায় সাত হাজার ১০ একর জমির মধ্যে চার হাজার ১৪৪ একর জমি শহীদদের ভোগে, কাদিগড় বিটের চার হাজার ৬৮৬ একর জমির মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জমি অর্থাৎ তিন হাজার ৬০ একর জমি অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। এই বিটের পারাগাঁও মৌজায় বন বিভাগের জমি ছিলো এক হাজার ৬৪৬ একর ৭২ শতক। এ জমির এক শতকও আর বন বিভাগের দখলে নেই। সবটাই বেদখল হয়ে গেছে।

সোনার চেয়ে দামী হওয়ায় এখানকার জমির দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন ভূমিদস্যুরা। সেই লোলুপ দৃষ্টিতে সলতে যুগিয়ে যাচ্ছেন শহীদ। আর এর পেছনে চলে কোটি কোটি টাকার খেলা। শহীদের টাকা ও প্রতিপত্তির কাছে বন বিভাগের লোকজনও অসহায়। অনেকে ভয়ে, আবার কেউ কেউ আখের গোছাতে নিজেকে সপে দিয়েছেন তার হাতে।

সদ্য বিদায়ী একজন ফরেস্টার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দিনের বেলা যদি কোনো বনকর্মী তার বিরুদ্ধে কথা বলেন, রাতে সেই কর্মীর ওপর হামলা হয়। মুখে কালো কাপড় বেঁধে হামলা করে কিলঘুষি দিয়ে চলে যায়। দুই একবার রাতের আধারে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখানোর ঘটনাও ঘটেছে। যে কারণে শহীদের কথা অনেকেই মুখে আনতে চান না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547965562513.gif
ভালুকার হবিরবাড়িতে বাউন্ডারি শহীদের বাড়ি

ভালুকার বাসিন্দাদের দাবি, ২০০০ সালে ভালুকা থানার শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় উঠেছিলো শহীদের নাম। কিন্তু কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে সব কিছু। শহীদের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। বনের জমি দখলের পেছনে প্রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি যুক্ত থাকলেও সংশ্লিষ্টরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে এড়িয়ে গেছেন।

কোনো মামলায় তার নাম ভুল, কোনো মামলায় তার পিতার নাম ভুল, আবার কোনো মামলায় তার ঠিকানা ভুল দেওয়া হয়েছে। কখনও জমির দাগ নম্বরে ভুল করে তাকে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক ঘটনায় তাকে খলনায়ক মনে করা হয়। কিন্তু তিনি থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তার নামে প্রথম মামলা হয় ১৯৯৩-৯৪ সালে (১৯হবি/৪০ ভালু)। ঐ সময়ে আরও গোটা তিনেক মামলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেন শহীদ। বদলে যেতে থাকে বনের লোকদের ভূমিকা। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিট অফিসার মুস্তাফিজুল হক (ফরেস্টার) নিজের পিঠ বাঁচাতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। সবগুলো মামলায় তার নামের ক্ষেত্রে নানান রকম ক্রটি রেখে দেন।

এসব মামলার মধ্যে ২২হবি/৩১ ভালু মামলায় শহীদুল ইসলামের বদলে কৌশলে এস. ইসলাম এবং পিতার নাম আলাউদ্দিনের বদলে আঃ উদ্দিন লেখা হয়। এরপর মামলা নম্বর ২৩হবি/৩২ ভালু একই ভুল করা হয়।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৮হবি/৮ভালু মামলায় শহীদের নাম ঠিক লিখলেও পিতার নাম অফিমুদ্দিন লেখা হয়। অনেক মামলায় নানা রকম ভুল করে তাকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বন বিভাগ।

১৯৯৮ সালে কোরবানি ঈদের দিনে নিজের ঘরে খুন হন ভালুকার আকবর মেম্বার। সেই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাউন্ডারি শহীদকে। ওই মামলায় বেশ কিছুদিন হাজত খাটতে হয় তাকে। পরে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার প্রভাব বিস্তার করে মামলা থেকে ছাড় পেয়ে যান। আরও কয়েকটি হত্যাকান্ডের জন্য তাকে সন্দেহ করে ভালুকাবাসী।

বন বিভাগ মনে করে, বাউন্ডারি শহীদ ও সম্প্রতি গজিয়ে ওঠা যুবলীগ নেতা মনিরকে ঠেকানো গেলে বনকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। না হলে মল্লিকবাড়ি বিটের মতো অন্যান্য বিটের জমিও ধীরে ধীরে বেহাত হয়ে যাবে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি সম্প্রতি  এখানে  যোগদান করেছি। জেলা প্রশাসককেও জিজ্ঞেস করুন, তিনিও হয়তো বাউন্ডারি শহীদের কথা জেনে থাকবেন। তাকে সবাই বাউন্ডারি শহীদ নামেই জানে।’

শহীদের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। ফোন কল করলেও রিসিভ করেননি। এমনকি এসএমএস দিলেও সাড়া দেননি।

   

নওগাঁয় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় তীব্র তাপদাহ হতে রক্ষা ও বৃষ্টি চেয়ে এবং জনজীবনে স্বস্তির আশায় নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে সালাতুল ইসতিসকার বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয় । এই নামাজের আয়োজন করেন সর্বস্তরের স্থানীয় মুসল্লিরা। এ সময় বিশেষ এই নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় বিভিন্ন এলাকার শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় শেষে আল্লাহপাকের রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি, ফসল রক্ষা এবং বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলে মোনাজাত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিগণ।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি তরিকুল ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও ধান ও আমের গুটির জন্য মারাত্মক ভয়ঙ্কর এই আবহাওয়া। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ দরকার। তাই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট বৃষ্টির পানি চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন তিনি।

শাহারিয়ার শান্ত বলেন, হাদিসে রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, দুইটা সময় জাহান্নাম নিশ্বাস ছাড়ে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে। অতিরিক্ত শীত যখন হয় তখন সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয় এবং অতিরিক্ত গরমেও সমস্যার সমাধানে দোয়া করা হয়। অতীতে আরব দেশে যখন এমন প্রখর রোদ আর গরম ছিল তখন হযরত মুহাম্মদ (সা.) গরম থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সাহাবাদের নিয়ে এভাবেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। বৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। আল্লাহ চাইলে এ নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানুষ, প্রাণিসহ সবািইকে শান্তিতে থাকার পরিবেশ করে দেবেন।

মাওলানা আব্দুল মুকিমের ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এরপর দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা হয়।

;

পিরোজপুর বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টির জন্য অঝোরে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলেন পিরোজপুর তাফহিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে নামাজ আদায় করতে আসা শতশত মুসল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) সকাল ৮টায় মাদরাসার মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ এ নামাজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতশত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজের ইমামতি করান বাইতুস সালাত জামে মসজিদ এর খতিব মাও: আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি
বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। নামাজের মাধ্যমে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর সাহায্য চাইলে আল্লাহ তা বান্দাদের দিয়ে থাকেন। তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য এই আয়োজন।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;