চরাঞ্চলে বাহন হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে মোটরসাইকেল



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল, বার্তা২৪.কম
যমুনার চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

যমুনার চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুষ্ক মৌসুমে চরের মানুষের যানবাহন হিসেবে ব্যবহার করে মোটর সাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ঘোড়ার গাড়ি। তবে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোটর সাইকেল। চরাঞ্চলে রাস্তা নেই বললেই চলে। কিন্তু তার পরেও ধু ধু বালু চরে মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে কয়েকশত পরিবার।

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আফজালপুর, ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল, গাবসারা ও অর্জূনা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

চর ও নদী এলাকার যেসব গ্রামে শুষ্ক মৌসুমে মাইলের পর মাইল হেঁটে যাতায়াত করতে হতো। চরের মানুষের উৎপাদিত পণ্য আনা নেওয়া করতে হতো পায়ে হেঁটে। সেই সব জায়গায় ঘোড়ার গাড়ির পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় যাতায়াত করতে পারছেন চরের মানুষজন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547967547026.gif

জানা গেছে, এক সময় যমুনা নদীতে চলতো বড় বড় কয়লা বোঝাই স্টিমার, জাহাজ, লঞ্চসহ অন্যান্য নৌ পরিবহন। কিন্তু কালের বির্বতনে প্রমত্তা যমুনা তার যৌবন হারিয়ে এখন মৃতপ্রায়। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে একদিকে যেমন বাস্তুহারা করছে চরের মানুষকে অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে মরা খালে পরিণত হচ্ছে।

তবে স্থানীয় অনেক প্রবীণ লোকজন জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের আগেও প্রতি বারেই যমুনায় পূর্ণ যৌবন ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর যমুনা নদীতে আস্তে আস্তে তেজ কমে গেছে। দীর্ঘকাল ধরে নদী শাসন না হওয়ায় গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে শুষ্ক মৌসুমে ধু ধু বালু চরে রূপ নিয়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। কমিউনিটি সেন্টার, স্কুল, এনজিও প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত লোকজন প্রতিদিন চরে যাতায়াত করেন। এসব মানুষও কেউ মোটরসাইকেলে, কেউবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সাতে যাতায়াত করেন চরের মধ্যে। তবে এখনও অনেক মানুষ পায়ে হেঁটেই বিশাল চর পাড়ি দিচ্ছেন।

চরাঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করেছে মোটরসাইকেল। একটি সাইকেলে তিনজন করেও লোক উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঘন বা বেশি বালুর মধ্যে খড় বিছিয়ে মোটর সাইকেল চলাচলের উপযোগী করেছে। চরের মানুষজন অস্থায়ী ঘাটে নৌকা থেকে নেমে মোটর সাইকেলে চরে বাড়ি যাচ্ছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/20/1547967571178.gif

এলাকা ভেদে সাইকেলের চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে মাথাপিছু টাকা আদায় করছেন। তবে চালকরা বেশি টাকা নিলেও তেমন দর কষাকষি করেন না যাত্রীরা।

গাবসারার রুলীপাড়ার মোটরসাইকেল চালক মোকলেছ জানান, ‘সংসারে তার তিন সন্তান রয়েছে। মোটর সাইকেল চালানো তার পেশা। আগে তিনি ইটভাটায় কাজ করেছেন। এখন তিনি প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে ১০ থেকে ১২ শত টাকা আয় করেন।

চন্দীপুর ঘাটে কথা হয় সিএনজি চালক জামালের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্যাস ভরে সকালে নৌকাযোগে সিএনজি যমুনা নদী পাড় করি। সারাদিন চরের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে সন্ধ্যায় আবার চলে যাই শহরে গ্যাস নিতে। ইনকাম ভাল হলেও গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়। কারণ চরে গাড়ি চালালে গাড়িতে তো প্রেসার পড়ে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;