ঘাঘট নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ



তোফায়েল হোসেন জাকির,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মৎস্য প্রেমী আঙ্গুর মিয়া। মাছই যার নেশা ও পেশা। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পুরান লক্ষীপুর ঘাঘট নদীর তীরে দ্বীপ এলাকায় আঙ্গুর মিয়ার বসবাস। জীবিকার তাগিদে টাঙ্গাইল জেলায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো আঙ্গুর মিয়া। সেখানে যমুনা নদে দেখতে পান ভাসমান খাঁচা পদ্ধতি মাছচাষ। জানতে পারেন এ পদ্ধতি মাছ চাষ অনেকটাই লাভজনক। ওই অনুকরণ কাজে লাগানোর চেষ্টায় বছর দুয়েক আগে তার বাড়ি সংলগ্ন ঘাঘট নদীতে একটি ভাসমান খাঁচা তৈরী করে প্রাথমিক ভাবে মাছচাষ করেন। এ পদ্ধতিতে মাছচাষ করে লাভবান হন আঙ্গুর মিয়া।

এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ করেন। এর ফলে সাদুল্লাপুর উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেন। এরপর মৎস্য বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য়) এর আওতায় ঘাঘট নদীর ওইস্থানের অন্যান্য ২০ জন মাছচাষী নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়। মাছচাষের উপকরণ বাবদ এ গ্রুপে দেয়া হয় এককালীন ২ লক্ষ টাকা।

গ্রুপ লিডার আব্দুল ছাত্তার মিয়া বলেন, ‘সেই মৎস্য প্রেমি আঙ্গুর মিয়াকে অনুকরণ করে নদীর এমন অংশ যেখানে একমুখী প্রবাহ কিংবা জোয়ার ভাটার শান্ত প্রবাহ বিদ্যমান এমন স্থানে ১০টি খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে।  প্রতিটি খাঁচা ৩০ ফুট লম্বা, ১৫ ফুট প্রস্থ।’

ছাত্তার মিয়া বলেন, ‘ঘাঘট নদের মধ্যস্থানের পানিতে বাঁশ ও ফিল্টার নেটজাল দিয়ে ওই আবদ্ধ খাঁচা তৈরি করা হয়। পানির গভীরে ১০ ফুট নেটজাল ঝুলিয়ে পুরো খাঁচাটি আবদ্ধ করা হয়েছে। সাদুল্লাপুর উপজেলা মৎস্য বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করার পর গত বছর থেকে মনোসেক্স প্রজাতির তেলাপিয়া মাছচাষ করে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘মাছের পোনা উন্মুক্ত করা থেকে ৪ মাস খাদ্য দেওয়া হয়। প্রতিটি খাঁচায় ৩৮০ পিস পোনা ছেড়ে দেওয়া হয়ে থাকে। যা ১০টি খাঁচার উৎপাদিত মাছ বিক্রি করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা নীট মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়। 

সাদুল্লাপুরের মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের ক্ষেত্র সহকারী মাহামুদ আক্তার মৌসুমী বলেন, ‘ওই গ্রুপের চাষিরা মাছ পালনে যেনো লাভবান হয় এ বিষয়ে তদারকিকরণ অব্যহত রয়েছে।’

সাদুল্যাপুর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সিরাজাম মুনীরা সুমি জানান, ‘সিবিজি খাঁচায় মাছচাষ ফলাফল প্রদর্শনি হিসেবে ওইস্থানে গ্রুপ সদস্যরা যৌথভাবে মাছচাষ করে আসছেন। আমাদের সার্বিক সহযোগিতায় চাষিরা ইতোমধ্যে লাভবান হচ্ছে। এদেরকে অনুকরণ করে অন্য কেউ যদি মাছচাষ করতে চায় তাদেরকেও সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;