২০ হাজার শীতার্তের পাশে একজন পুলিশ সুপার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
শীতার্তদের শীতবস্ত্র করছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ / ছবি: বার্তা২৪

শীতার্তদের শীতবস্ত্র করছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের প্রতি মানুষের বরাবরই নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। কিন্তু মানুষের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ। বিভিন্ন মানবসেবার কারণে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাত্র কিছুদিন পূর্বে হবিগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান তিনি। এর পর থেকেই একেকটি মানবিক কাজ করে সমগ্র জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আর এই মানবিক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনার ফলে জেলার পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা একেবারেই পাল্টে দিয়েছেন।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে ঘুরে গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন মোহাম্মদ উল্ল্যাহ। ইতোমধ্যে চা-বাগানসহ সাতটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের ১২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548257313852.jpg

শহরের চেয়ে গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি। তাই কঠোর পরিশ্রমীদের শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এ বিষয়টি নজরে আসে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহর। তাই তিনি জেলার বানিয়াচং, লাখাই, হবিগঞ্জ সদর, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। পর্যাক্রমে বাঁকি উপজেলাগুলোতেও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

শীতবস্ত্র বিতরণের শুধুমাত্র কম্বল বিতরণই নয়। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য স্যুয়েটারসহ বিভিন্ন ধরনের ভালোমানের বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ করেন এই পুলিশ সুপার।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যাক্রমে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হবে। জেলার নয়টি থানা এলাকার আরও প্রায় ১০ সহস্রাধিক দরিদ্র নারী, পুরুষ ও শিশুদের এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/23/1548257338610.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে অনেক বিত্তবান রয়েছেন, তারা যদি স্বদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেন তাহলে শুধু হবিগঞ্জ কেন সমগ্র দেশেই দরিদ্রতা কমে আসবে। একজন বিত্তবান ব্যক্তির ১০০ জন দরিদ্র ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। এভাবে যদি একজন করে ১০০ জন বিত্তবান ব্যক্তি দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান তাহলে এক হাজার দরিদ্রের দারিদ্রতা কমে যাবে।’

এ সময় অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;