বাম্পার ফলন ও ভালো দাম, খুশি টমেটো চাষিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
হবিগঞ্জে টমোটোর বাম্পার ফল/ছবি: বার্তা২৪

হবিগঞ্জে টমোটোর বাম্পার ফল/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জে টমেটোর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। বর্তমানে চাষিরা প্রতি কেজি টমেটো পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন ১০/১২ টাকা করে। যেখানে অন্য বছর বিক্রি হতো মাত্র ৪/৫ টাকায়। ফলে গত বছরের লোকসান এ বছর কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ হাজার মেট্রিকটন। কিন্তু এ বছর লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করে জেলায় টমেটো উৎপাদন হয়েছে ৬০ হাজার মেট্রিক টনের উপরে।

গেল কয়েক বছরে টমেটো চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন হবিগঞ্জের মাধপুর উপজেলার চাষিরা। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় অন্য বছরের তুলনায় টমেটোর ফলন আরও বেশি হয়েছে। অনেক কৃষক আবার কৃষি অফিসের পরামর্শে পরবর্তীতে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করেন। এ পদ্ধতিতে টমেটো গাছে কোন ধরণের ক্ষতি বা পোকার আক্রমণ না হওয়ার অল্প দিনে বাম্পার ফলন আসে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/25/1548407420730.jpg

যে জমিতে অন্য বছর প্রতি হেক্টরে ১২/১৫ মেট্রিক টন টমেটো পাওয়া যেত। এ বছর গ্রাফটিং পদ্ধতির কারণে প্রতি হেক্টর জমিতে ফলন হয়েছে ২২ মেট্রিক টন।

অন্য বছর শীত মৌসুমের শেষের দিকে এক সাথে বিপুল পরিমাণ টমেটো উৎপাদন হওয়ায় পাইকারি বাজারে টমেটোর চাহিদা কমে যায়। ফলে পাইকরা প্রতি কেজি টমেটো ৪/৫ টার বেশি দামে কিনেন না। এমনকি গত বছর এই সময়টাতে টমেটো বিক্রি হয়ছে মাত্র ১ টাকা কেজি দরে। ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয় কয়েক হাজার চাষিদের। কিন্তু এবছর চাষিরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাচ্ছেন। প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০/১২টাকা দরে। ফলে এবছর চাষিরা দ্বিগুণ ভাল পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে কৃষক সোলায়মান মিয়া জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর টমেটোর ফল ভালো হয়েছে। আবার দামও অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ পাচ্ছি। ফলে আমাদের লাভও দ্বিগুণ হচ্ছে। তিনি বলেন- শেষ সময় পর্যন্ত যদি এই দাম থাকে আমার গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব।

কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, প্রতি বছরই টমেটোর বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু সংরক্ষণ করতে না পারায় ভালো দাম পাওয়া পান না। ক্ষেত থেকে টমেটো তুলেই তাদেরকে বিক্রি করে দিতে হয় পাইকারের কাছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাইকারা লাভবান হলেও মাথায় হাত পড়ে উৎপাদনকারী কৃষকদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/25/1548407522864.jpg

তিনি বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এখন ষে পর্যন্ত কেমন দাম থাকে সেটা দেখার পালা।

কৃষক বদু মিয়া জানান, এ অঞ্চলে একটি টমেটো সংরক্ষণাগার (হিমাগার) অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা সরকারের কাছে হিমাগারের জন্য আবেদন জানিয়েছি।

তিনি বলেন,  একটি হিমাগার হলে এই এলাকার কয়েক হাজার কৃষক বাঁচতে পারবে।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বছর অসময়ের বৃষ্টিতে আগাম টমেটোর চাষিদের ব্যপক ক্ষতি হয়। পরে আমরা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করায় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিলে চাষিরা বাম্পার ফলন পান। কিন্তু হঠাৎ করেই বাজারে টমেটোর দাম কমে যাওয়ায় কৃকরা লোকসানের মূখে পড়েন। কিন্তু এ বছর কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাচ্ছেন। তাই গত বছরের লোকসান এ বছর তারা কাটিয়ে উঠবেন সহজেই।

তিনি বলেন- এই এলাকায় ব্যপক সবজি উৎপাদন হয়। তাই স্থানীয়ভাবে এসব সবজি সংরক্ষণের জন্য একটি সংরক্ষণাগার খুবই জরুরি। সংরক্ষণাগার নির্মাণ করলে এখানকার চাষিদের জীবন বদলে যেতে পারে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;