বঙ্গোপসাগরে আবারও বেপরোয়া জলদস্যুরা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকুলে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জলদস্যু বাহিনী। কিছু জলদস্যু র‌্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলেও এখনও চিহ্নিত জলদস্যুরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। শীত মৌসুমে প্রতিদিনই সাগরে জলদস্যুরা জেলে জিম্মি ও মারধর করছে বলে অভিযোগ জেলেদের।

জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন কক্সবাজারের হাজার হাজার জেলে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জন্য আতঙ্ক জলদস্যু।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/26/1548495106648.jpg

যারা প্রতিনিয়ত খেটে খাওয়া এসব জেলেদেরকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। ট্রলার মালিক মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি করলেই চলে মারধরসহ নানা নির্যাতন। যার ভয়ে এখন অনেক জেলে সাগরে মাছ আহরণে যেতে চাচ্ছেন না।

কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির হিসেব অনুযায়ী, গত দুই মাসে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে দু'শতাধিক ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশীরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিরে এসেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/26/1548495118286.jpg

গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে কক্সবাজারের ১৪ মাঝি-মাল্লা। নিখোঁজের ২৫ দিন পার হলেও এখনও তাদের সন্ধান মেলেনি। এভাবে চলতে থাকলে মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

এফবি আলম ফিশিং ট্রলারের মাঝি নুরুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মত জলদস্যুদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। মারধর করে মাছ ও জাল নিয়ে গেছেন তারা। বলেছে সাগরে মাছ ধরতে হলে তাদের চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় তারা আমাদের নির্যাতন করবেন।

জেলে শফিউল আলম পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু সাগরে জলদস্যুদের হামলায় শিকার হওয়ার পর থেকে আর সাগরে যাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, প্রচণ্ড মারধর আর নির্যাতন করে জলদস্যুরা। এরপর থেকে বেকার বসে আছি। পরিবারে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। তারপরও মাছ আহরণে যেতে ভয় করছে।

এদিকে কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও সদরের চিহ্নিত জলদস্যুরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় সাগরে জলদস্যুতা বন্ধ হচ্ছে না বলে দাবি জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির।

কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, চিহ্নিত জলদস্যুরা কেউ আত্মসমর্পণ করেনি বা ধরা পড়েনি। যার কারণে সাগরে শীত মৌসুম আসলেই দস্যুতা বেড়ে যায়। প্রতিদিন কোন না কোন ফিশিং ট্রলার তাদের হামলার শিকার হচ্ছে।

কোস্টগার্ড পুর্বজোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, জলদুস্য দমনে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। কিছু জলদস্যু বাইরের এলাকা থেকে এসে কক্সবাজার উপকুলে হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাচ্ছি। এরপর থেকে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে জানান, আত্মসমর্পণের পর কিছু নতুন জলদস্যু সাগরে জেলেদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে শুনেছি। তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দমন করা হবে।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের ২০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলীয় এলাকার ছয়টি জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ সদস্য। এ সময় ৯৪টি অস্ত্র ৭ হাজার ৬৩৭টি গোলাবারুদ হস্তান্তর করে তারা। কিন্তু আত্মসমর্পণের পরও জলদস্যুদের তৎপরতায় উদ্বিগ্ন জেলেরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;