প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফের জেগেছে হিটলার



উবায়দুল হক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ময়মনসিংহ, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার ইটভাটা ‘হিটলার ব্রিকস’। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও ছাড়পত্র ছাড়াই গত বছর তিন ফসলি জমিতে গড়ে তুলা হয় এ ভাটাটি। এর কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয় কৃষকদের। কৃষিজমি দখলে নিয়ে এটি নির্মাণ করার অভিযোগও রয়েছে।

অনুমতি, ছাড়পত্র ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেল বছরের ২৭ নভেম্বর হিটলার ব্রিকসের ভাটাটি গুড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এর মাস দেড়েক যেতে না যেতেই প্রশাসনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ভাটাটি সংস্কার করে ইট তৈরির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মালিকপক্ষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/29/1548773223389.jpg

জানা গেছে, স্থানীয় সুজন মিয়া, মো. সৈকতসহ ভাটার ছয় মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কিছু বলতে পারছে না কেউই।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ওই ভাটার আশপাশে প্রায় ১৫ একর জমিতে তিন মৌসুমেই ধান উৎপাদন হতো। তাদের অভিযোগ, ভাটার মালিকপক্ষ জোর-জবরদস্তি ও মারধর করে তাদের জমি দখলে নিয়ে ভাটা নির্মাণ শুরু করে। ফলে আউশ ধানের চারা রোপণ ও বোরোর আবাদও করতে পারেননি কৃষকরা। সেসময় ভাটা নির্মাণের জন্য জোরপূর্বক জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করলে জমির মালিক হামেদ আলী ও অন্যান্যদের সঙ্গে ভাটা মালিকপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় হিটলার ব্রিকসের মালিকদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় মামলাও হয়।

জানা গেছে, ওই এলাকায় গত বছরের শুরুর দিকে তিন ফসলের কৃষি জমিতে হিটলার ব্রিকস নামে একটি ভাটা স্থাপনের কাজ শুরু করেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।

২০১৩ সনের (৫৯ নং আইন) ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনকে তোয়াক্কা না করে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার অনুমতি, ছাড়পত্র ছাড়াই কৃষি জমিতে হিটলার ব্রিকস নামে ভাটা নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

অনুমোদন ছাড়াই ১০ একর কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত বছরের মার্চ মাসে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই সময়ের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বীপক কুমার পাল।

এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরশাদ উদ্দিন ভাটার নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেও তবে তা অমান্য করে বীরদর্পে চলে ভাটা নির্মাণ। কয়েক দফা বন্ধের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল জাকিরও।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত বছরের ২৭ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরশাদ উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে গুড়িয়ে দেন ওই ভাটা। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সময়ে যখন ব্যস্ত ছিলো প্রশাসন, ওই ফাঁকে ভেঙ্গে ফেলা অংশটুকু সংস্কার করে ফেলা হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে কামাল হোসেন, শহীদ মিয়া, বায়েজিদ, হাসমত আলী ও মোহাম্মদ আলী উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভেঙ্গে ফেলার পর ভাটা ফের চালু করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিস্ময় প্রকাশ করে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূর আলম জানান, হিটলার ব্রিকস চালুর ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে তাদেরকে কোন প্রকার অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। 

ইউএনও আব্দুল্লাহ আল জাকির বলেন, ‘ভাটা পুন:সংস্কারের আগে উপজেলা কৃষি বিভাগের অনুমতির জন্য মালিকপক্ষ এসেছিল। কিন্তু আমরা তাদের কাজের অনুমতি দিইনি। এমন হলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পরও ফের অবৈধভাবে ইটভাটার কাজ শুরু করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;