বাইক্কাবিলে ৩৯ প্রজাতির ১১৬১৫ পাখি



তোফায়েল পাপ্পু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মৌলভীবাজার, বার্তা২৪.কম
মৌলভীবাজারের বাইক্কাবিলে দুই দিনব্যাপী পাখিশুমারি করেছেন ড. পল থম্পসন/ ছবিঃ বার্তা২৪.কম

মৌলভীবাজারের বাইক্কাবিলে দুই দিনব্যাপী পাখিশুমারি করেছেন ড. পল থম্পসন/ ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিলে দুই দিনব্যাপী পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর বাইক্কাবিলে ৩৯ প্রজাতির পরিযায়ী ও দেশি জলচর পাখির দেখা মিলেছে। তার মধ্যে রয়েছে ১৯ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আর ২০ প্রজাতির দেশি জলচর পাখি।

২০১০ সালের পর ২০১৯ সালে এসে এতো বেশি পরিমাণ পাখি বাইক্কাবিলে দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছেন গণনাকারী ড. পল থম্পসন। মঙ্গলবার রাতে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে এ বিলে ৪০ প্রজাতির ১২ হাজার ২৫০টি পাখির দেখা মিলেছিল।’

পাখি বিশেষজ্ঞ ড. পল থম্পসন এ বছর ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী হাইল হাওরের বাইক্কাবিলে অবস্থান করে পাখি গণনা করেন। এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাসের অধীনে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব বাইক্কাবিলে এই পাখিশুমারি করা হয়। জলাভূমির সূচক অনুযায়ী এসব শুমারিতে শুধু জলচর পাখিকেই গণনার আওতায় নেওয়া হয়। 

২০০৪ সালে বাইক্কাবিল প্রতিষ্ঠার পর ঐ বছরের জুলাই মাস থেকে পাখিশুমারির আওতায় নিয়ে আসা হয়। ঐ বছর মোট ২৯৬টি জলচর পাখি বাইক্কাবিলে আসে। ২০১৮ সালে এ বিলে ৩৮ প্রজাতির পাঁচ হাজার ৪১৮টি পাখির দেখা মেলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/30/1548845112107.jpg 

বাইক্কাবিলে পাখির পরিমাণে তারতম্য হওয়ার কারণ সম্পর্কে ড. পল বলেন, ‘বাইক্কাবিল অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার পর সেখানে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হয়। যেমন হিজল করচের বাগান, গাছ লাগানো ও খনন কাজ করা হয়। এ কাজগুলো সাধারণত শুষ্ক সময়ে করা হয়, যখন পাখি আসা শুরু হয়। তখনই কাজ শুরুর কারণে পাখি আসা কমে যায়। আবার কাজ শেষের পর পাখি আসা শুরু করে।’ 

তিনি জানান, পরিযায়ী পাখিরা আসার পূর্বে তাদের আবাসস্থলটি নিরাপদ কিনা সেটি বিবেচনায় রাখে। সাধারণত যখন পাখিরা আসে তখন জলাভূমিতে মাছ ধরা পড়ে। মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাই শিকারের ভয়ে অর্থাৎ পাখিরা যখন বুঝে নেয় তাদের আবাসস্থলটি নিরাপদ নয়, তখনই পরবর্তী বছরে পাখির আনাগোনা কমতে থাকে।

এছাড়া পরিযায়ী পাখি যখন যেখান থেকে আসে সেখানে প্রজনন অবস্থা কেমন ছিল বা যে পথে আসা যাওয়া করে সেই পথের সার্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। এমনকি বাইক্কাবিলের বাহ্যিক অবস্থা যে পরিমাণে গভীরতা, জলজ উদ্ভিদের পরিমাণ, প্রাচুর্য্য এসবের উপর নির্ভর করে।

পল থম্পসন বলেন, ‘এ বছর বাইক্কাবিলে খয়রা কাস্তেচরা নামের পরিযায়ী জলচর পাখিটি এতো বেশি এসেছে, যা আর কোনো সময় আসেনি। এখন প্রতি বছর এর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর বাইক্কাবিলে এ জাতীয় ২৮৮টি পাখির দেখা মেলে। সবচেয়ে বেশি এসেছে গেওয়ালা বাটান পাখিটি। এ বছর দুই হাজার ২৮০টির দেখা মিলেছে। এ পাখিটির সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/30/1548845143325.jpg

এছাড়া বাইক্কাবিলে অন্যান্য যেসব পাখির দেখা মিলেছে সেগুলো হলো- পাতি তিলি হাঁস দুই হাজার ২২০টি, উত্তুরে ল্যঞ্জা হাঁস ৯২১টি, রাজ শরালী ৩৯৮টি, পাতি শরালী ৮৬০টি।

এর মধ্যে পৃথিবীজুড়ে বিপন্ন পাঁচ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে- এর মধ্যে বড়গুটি ঈগল, পালসী কুড়া ঈগল, উদয়ী গয়ার, কালা মাথা কাস্তেচড়া ও মরচেং ভূতিহাঁস।

পল বলেন, ‘যেভাবে হাইল হাওরের বাইক্কাবিলের পার্শ্ববর্তী প্লাবনভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বিভিন্ন মৎস্য খামার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, এর ফলে উন্মুক্ত জলাভূমির ব্যাপ্তি সংকুচিত হয়ে আসছে। ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রের পাশাপাশি হাওর এলাকায় প্রজনন ক্ষেত্রও হারিয়ে যাচ্ছে।’

পাখিগুলো আসে কোথা থেকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মধ্য এশিয়া, ভারতের আসাম থেকে। আর কিছু হলো স্থানীয় দেশীয় প্রজাতীর পাখি বাইক্কাবিলে আসে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পল থম্পসন বলেন, ‘গত মওসুমে বাইক্কাবিলে অনেক শাপলা, শালুক, পদ্ম ফুল ফোঁটে। সে কারণে পাখির সংখ্যা বেড়েছে। এই বছর বাইক্কাবিলে পানি নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকার ফলে পাখিরা অবাধে বিচরণ করতে পারছে। ২০১৭ সালে হাওরে পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালে শুষ্ক মৌসুমে পদ্ম শাপলা শালুক ভালোভাবে বেশি জন্মাতে পারেনি, সে কারণে পাখির পরিমাণ কম ছিল।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;