পাখিদের অভয়ারণ্য চুয়াডাঙ্গার বেলগাছী গ্রাম



অনিক চক্রবর্ত্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা, বার্তা২৪.কম
পাখিদের অভয়ারণ্য চুয়াডাঙ্গার বেলগাছী গ্রাম। ছবি: বার্তা২৪.কম

পাখিদের অভয়ারণ্য চুয়াডাঙ্গার বেলগাছী গ্রাম। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাখিদের কলরবে ঘুম ভাঙে এই গ্রামের প্রতিটি মানুষের। গ্রামের প্রতিটি পরিবারের মতো পাখিরাও যেন গাছের মাথায় বেঁধেছে ঘর। চুয়াডাঙ্গার ছোট্ট এই গ্রামটির নাম বেলগাছী। যুব সমাজ সংগঠনের একদল যুবকের প্রচেষ্টায় গোটা গ্রামটি এখন হয়ে উঠেছে পাখিদের অভয়ারণ্য।

গ্রামটিতে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বিভিন্ন গাছের ডালে বেঁধে রাখা আছে অসংখ্য মাটির ভাঁড় বা ছোট কলস। আর এসব ভাঁড়ে বা কলসে বাচ্চাদের নিয়ে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গ্রামের রাস্তার দুই পাশে গাছের ডালে বেঁধে রাখা রয়েছে প্রায় দেড় হাজার মাটির কলস আর চারশ বাঁশের ঝুড়ি। আর এগুলোই এখন পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়ের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে।

আশপাশের বড় গাছের ডালে বর্তমান সময়ে বিলুপ্ত বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচির-মিচির শব্দ শুনতে এখন গ্রামটিতে বেড়াতে আসছে অনেকে। এতে করে ওই গ্রামটি আশপাশের এলাকায় পাখিদের গ্রাম হিসেবেও বেশ পরিচিত। এখানে জেলার বাইরে থেকেও অনেকে বেড়াতে আসে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/31/1548911763657.jpg

চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের শিক্ষক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সকালে ঘুম ভাঙে পাখিদের কলধ্বনিতে। একটা সময় ছিল যখন উঠতি বয়সের ছেলেরা গুল্টি আর বন্দুকের মাধ্যমে পাখি শিকার করত। এখন সেই ছেলেরাই গ্রামটিকে পাখিদের অভয়ারণ্য করে ফেলেছে। আমাদের গ্রামকে যখন কেউ পাখিদের গ্রাম বলে ডাকে তখন খুব ভালো লাগে।’

গ্রামের গৃহবধূ আকলিমা বলেন, ‘নিজেগো পরিবারের মতোই পাখিগো আমরা ভালোবাসি।’

গ্রামের কৃষক রতন মিয়া জানান, গ্রামটিতে পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় তার মতো অনেক কৃষকের আজ উপকার হচ্ছে। পাখিরা জমির ক্ষতিকর পোকামাকড় খাচ্ছে। এর ফলে তাদের কীটনাশক কম ব্যবহার করতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/31/1548911784530.jpg

পাখিদের এমন অভয়ারণ্য তৈরি করা যুব সমাজ সংগঠনের সদস্য সাদ্দাম জানান, পাখিদের জন্য কাজ করার পরিকল্পনাটা আসে তার বন্ধুদের মাঝ থেকেই। পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করতে গ্রামের সকলকে উৎসাহিত করা হয়। পরিকল্পনা মতো গ্রামের প্রতিটি গাছে পখিদের জন্য মাটির কলসের ঘর তৈরি করা হয়। এরপর একটা সময় গোটা গ্রামটি পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।

জেলা সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, কয়েকটি যুবক পাখিদের বাসা তৈরি করে দিয়ে গ্রামটির চিত্র পাল্টে দিয়েছে। তাদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। একটু প্রচেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে জেলার প্রতিটি গ্রাম হতে পারে বেলগাছী গ্রামের মতোই পাখিদের অভয়ারণ্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/31/1548911803184.jpg

চুয়াডাঙ্গার ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস জানান, এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। এর ফলে এলাকায় পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, পাখিরা অবাধে বিচরণ করতে পারছে।

জেলার সাধারণ মানুষ বলছে, পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে খুব অল্পদিনেই চুয়াডাঙ্গাকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ চিনবে। তবে শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, সমগ্র বাংলাদেশ হোক পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;