লাউকাঠী-লোহালিয়া নদী এখন আবর্জনার ভাগাড়



আব্দুস সালাম আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পটুয়াখালী, বার্তা২৪.কম
পটুয়াখালী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লাউকাঠী ও লোহালিয়া এখন আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লাউকাঠী ও লোহালিয়া এখন আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাউকাঠী ও লোহালিয়া নদীকে কেন্দ্র করেই পটুয়াখালী শহরে এক সময় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছিলো। তবে গত কয়েক বছর যাবৎ সেই নদী দুইটি চরম অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়েছে।

শহরের প্রতিদিনের ময়লা আবর্জনা ট্রাকে করে এসব নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে। আর শহরের সকল অপচনশীল বর্জ্য ও নোংড়া পানি ড্রেনের মাধ্যমে গিয়ে মিশছে এই দুটি নদীতে।

অপরদিকে, অপরিকল্পিত নদী শাসন ও দখলদারদের থাবায় দিন দিন ছোট হচ্ছে নদীর প্রস্ত। নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীকেন্দ্রীক চিন্তা চেতনার পরিবর্তন ও নদীর প্রতি যত্নবান না হলে অচিরেই বিলীন হবে এসব নদী।

পটুয়াখালী শহরের উত্তর ও পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লাউকাঠী ও লোহালিয়া নদী। এই নদী দুটি থেকে শহরের মধ্যে এক সময়ে প্রবেশ করেছিলো ২১টি ছোট বড় খাল। যার অধিকাংশেরই এখন অস্তিত্ব নেই। এসব খালগুলো এখন চার থেকে ছয় ফুট ড্রেনে পরিণত হয়েছে।

তবে বর্তমান সময়ে নদীকেই গলাটিপে হত্যা করার উপক্রম হয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকার ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে ভ্যান ও ট্রাকে করে লোহালিয়া খেয়া ঘাটের উত্তর পাশে নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণ করা শহর রক্ষা বাঁধের বাইরে ফেলা হচ্ছে।

এক সময়ে শহরবাসী নদীর পাড়ে মুক্ত বাতাসের সন্ধানে আসলেও এখন দুর্গন্ধযুক্ত বাতাসে এই এলাকা দিয়ে হাটা চলা করাই রীতিমত দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বেওয়ারিশ কুকুর আর কাকের দখলে থাকা এই ময়লা আবর্জনার এই ভাগাড় অচিরেই দখলদারদের কবলে পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

নদী ও পানি অধিকার নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘নদীকে বাঁচাতে হলে নদীকেন্দ্রীক চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার পূর্বে নদীকে বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। ভাবতে হবে নদীরও প্রাণ আছে, নদীরও আত্মা আছে। নতুবা নদী মরে গেলে কিংবা নদীদূষণ হলে পরবর্তীতে আমাদেরকেই এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে।’

জেলার অন্যসব নদীর থেকে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো সব থেকে বেশি দখল ও দূষণের কবলে পড়ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে নদীর দুই পাড়ের জমির দাম ও গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া, উন্নয়ন বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সুযোগ না থাকা।

ফলে এসব নদী মরে যাওয়ার পাশাপাশি নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতি যেমন হুমকির মুখে পড়ছে, তেমনি বিলীন হচ্ছে নদীর বিভিন্ন জলজ প্রাণীসহ নদীতে বসবাস করা মাছ ও কীটপতঙ্গ। এর ফলে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;