মায়ের সাথে অভিমান করে স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা
উপবৃত্তির টাকা না দেয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ৬ষ্ট শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু সন্তান। আত্মহননকারীর নাম কবির হাওলাদারের (১২)।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাগেরহাটের শরণখোলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, বাগেরহাটের শরণখোলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের ওবায়দুল হাওলাদারের ছেলে কবির হাওলাদারের (১২) উপবৃত্তির টাকা তার মা নাছিমা বেগমের মোবাইলে আসে। মোবাইল থেকে সেই টাকা বের করে দেয়ার জন্য কবির মায়ের কাছে আবদার করে। কিন্তু সে টাকা না দেয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
আত্মহননকারী কবিরের মা নাছিমা বেগম জানান, রোববার দুপুরে তার মোবাইলে ছেলে কবিরের উপবৃত্তির ৩০০টাকা আসে। দুপুরে স্কুল থেকে এসে ছেলে ওই টাকা মোবাইল থেকে বের করে দেয়ার জন্য বললে তিনি তা দেননি। এ নিয়ে ছেলে তার সাথে বায়না করতে থাকে। এরমধ্যে পার্শ্ববর্তী গ্রামে তার এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর এলে কবিরকে বাড়িতে রেখে তিনি সেখানে চলে যান।
ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে তার ছেলে টাকা না পাওয়ার অভিমানে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পর কবিরের এক প্রতিবেশী সহপাঠী ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত কবির বাধাল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করত। কবিরের পিতা ঢাকায় ইমারত নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার বলেন, 'এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।'