টাকা দিয়ে যে স্কুলে মিথ্যাকথা শেখানো হয়!



আব্দুস সালাম আরিফ,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পটুয়াখালী, বার্তা২৪
শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরা, ছবি: বার্তা২৪

শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটা। পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় গেট দিয়ে একের পর এক ছাত্রীরা স্কুল ড্রেস পড়ে বিদ্যালয়ে ঢুকছে। কৌতুহলি মনে প্রশ্ন জাগে, এখন তো এসএসসি পরীক্ষা চলছে, স্কুল তো বন্ধ। তবে ছাত্রীরা কেন এ সময়ে স্কুলে আসলো। স্কুল কমপাউন্ডে ঢুকতেই চোখে পড়লো স্কুলের সামনে ও মাঠের মধ্যে বসে আছেন কয়েকজন অভিভাবক।

তাদের সাথে কথা বলে জানা গেলো স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস চলছে। আলাপকালে তারা এও জানালো অতিরিক্ত এই ক্লাসের জন্য প্রতি বিষয়ের শিক্ষকদের ৮শ টাকা থেকে ১২ টাকা করে দিতে হবে।

তবে যারা কোচিং শেষ করে বের হয়েছে সে সব ছাত্রীদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তোমরা কোন কোন বিষয়ে পড়ছো। স্যারকে কত টাকা দিতে হচ্ছে? অবাক করা বিষয় সবাই একই উত্তর ‘স্যার আমাদের ফ্রি পড়াচ্ছেন’।

তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেল, প্রথমদিনেই শিক্ষকরা ছাত্রীদের মুখস্থ করিয়েছেন আমরা তোমাদের ফ্রি পড়াচ্ছি, এটাই বলবে সবাইকে।

সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পটুয়াখালীতে চলছে অবৈধ এই কোচিং বাণিজ্য। আর এ ক্ষেত্রে শহরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরাই নানা অজুহাতে কোচিং পরিচালনা করছেন। যার ফলে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হওয়াসহ সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করা হচ্ছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ পরীক্ষার বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধে সকল ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জানুয়ারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রশাসনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়। তবে পটুয়াখালী জেলায় এই নির্দেশনার জারির এক সপ্তাহ পরও চলছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য।

শহরের দুটি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেকটা ছাত্র ছাত্রীদের জিম্মি করে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমেই কোচিং করাচ্ছেন। এ জন্য প্রতি শিক্ষার্থীকে প্রতি সাবজেক্টের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮শ থেকে ১২ টাকা। আর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা টাকা দেয়ার বিষয়টি যেন অস্বীকার করেন সে জন্য কড়া নির্দেশনাও রয়েছে এসব শিক্ষকদের।

পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। এসব বিষয়ে শিক্ষকরা বিভিন্ন অজুহাত ও যুক্তি তুলে ধরে নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন। আবার অনেক শিক্ষক ক্যামেরা দেখে দৌড়েও পালাচ্ছেন।

পটুয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক রিপন চন্দ্র নাথ জানান, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই তারা পড়াচ্ছেন। তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। আর প্রধান শিক্ষক জানলেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ এই কোচিংয়ের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে অভিযানে নামে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতী। সরকারি বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করে হাতেনাতে এর প্রমাণও পেয়ে যান। এসময় তিনি শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এবং পরবর্তীতে কোচিং চালালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন তিনি।

অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধ রাখার পাশাপাশি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মনিটরিং করার দাবি জানিয়েছেন জেলাবাসী। 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;