মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম
চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, ছবি: সংগৃহীত

চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত কয়েক বছর ধরে মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকায় ব্যাপকভাবে হওয়া মোটর সাইকেল চুরির কোন কুলকিনারা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত এবার মোটরসাইকেল চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) মোটর সাইকেল চুরি করে পালানোর সময় আব্দুর রহমান রনি নামের এক চোর গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মোটর সাইকেল চুরি চক্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়। তার জবানবন্দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে চোরাই দু’টি মোটর সাইকেলসহ ফরিদুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে রোববার গ্রেফতার হওয়া আব্দুর রহমান রনির সহযোগী এবং মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম সদস্য বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার ফরিদুল ইসলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুষাবাড়ীয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রহমান রনিকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মোটর সাইকেল চোর চক্রের কর্মকা- সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পায় পুলিশ। এর সূত্র ধরেই সন্ধ্যায় মিরপুরের কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায় গাংনী থানা পুলিশের একাধিক দল। এক পর্যায়ে কুষাবাড়ীয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ফরিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় সেখান থেকে দু’টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি হিরো হোন্ডা স্পিলিন্ডার এবং অপরটি হিরো হোন্ডা স্পিলিন্ডার প্রো।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেলের একটির মালিক সাইদুর রহমান। তিনি গাংনীতে ওষুধ কোম্পানীর এমআর হিসেবে কর্মরত। গেল ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গাংনী শহরের এসএম প্লাজার সামনে মোটর সাইকেল রেখে তিনি মার্কেটের ভেতরে গিয়েছিলেন। আব্দুর রহমান রনি ও তার তিন সহযোগী মিলে সাইদুরের মোটর সাইকেলটি চুরি করে ফরিদুলের কাছে পৌঁছে দেয়। ওই মার্কেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সাইদুর রহমান ঘটনার পরদিন গাংনী থানায় একটি জিডি করেছিলেন।

আব্দুর রহমান রনির স্বীকারোক্তির পর ওই জিডি মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রেফতার ফরিদুল ইসলামকে আব্দুর রহমানের মামলার আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এদিকে উদ্ধার হওয়া অপর মোটর সাইকেলের (হিরো হোন্ডা স্পিলিন্ডার) রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য নম্বর মুছে নতুন নম্বর দেয়া হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ। এর মালিক কে তা এখনো সনাক্ত হয়নি।

মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার মামলা দু’টির তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোদাইলকাটি গ্রামের রাজমিস্ত্রি রায়হান হোসেনের মামলায় আব্দুর রহমান রনিকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সাইদুর রহমানের মামলায় ফরিদুলকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। দুই আসামির স্বীকারোক্তির অন্যান্য তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে মোটর সাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুরে কোদাইলকাটি গ্রামের রাজমিস্ত্রি রায়হান হোসেন নগরবোয়ালিয়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে কুলখানিতে গিয়েছিলেন। খাওয়া শেষে হাত ধোয়ার মুহূর্তে তার হিরোহোন্ডা মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো মিরপুরের কাকিলাদহ গ্রামের আব্দুর রহমান রনি (২৩)। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অপর একটি মোটর সাইকেল নিয়ে রনিকে ধাওয়া করে রায়হান। এক পর্যায়ে গাংনীর আমতৈল গ্রামের মধ্যে আলগামনের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রনি। এসময় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার পূর্বক রায়হানের মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। এর পরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেয় রনি।

জানা গেছে, গত দুই বছর গাংনী পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ২০/২৫টি মোটর সাইকেল চুরি হয়। বাজারে কিংবা বাসার সামনে রাখা মোট সাইকেল চুরির ঘটনায় বেড়ে যাওয়ায় আতংক শুরু হয়। কিন্তু ওই মোটরসাইকেলগুলোর একটিও এখনো উদ্ধার হয়নি।

গাংনী থানায় গ্রেফতার দুই চোরের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ ওই সব মোটর সাইকেলের সন্ধান করছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;