আদিতমারীতে এক রাতে সিঁধ কেটে ১৭ বাড়িতে চুরি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট, বার্তা২৪.কম
আদিতমারীতে সিঁধ ১৭টি বাড়িতে চুরি

আদিতমারীতে সিঁধ ১৭টি বাড়িতে চুরি

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বেড়েছে চোরের উপদ্রব। গত কয়েকদিন ধরে মাঝে মাঝে চুরি হলেও এক রাতে একটি গ্রামের ১৭ বাড়ির সিঁধ কেটে চুরি হওয়াতে আতংকিত গ্রামবাসী।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের মসুর দৌলজোর গ্রামে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ রাতে গ্রামের নরেন্দ্র নাথ, এন্তাজ আলী, নরেন চন্দ্র, লক্ষ্ণী চন্দ্র, জিতীন্দ্র নাথ, নারায়ন চন্দ্র, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মান্নান, কমলেশ্বর, স্বপন মিয়া, নরেশ চন্দ্র, হরেন্দ্র নাথ, পরেশ চন্দ্র, নরেন চন্দ্রসহ ১৭জনের বাড়িতে চুরি হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মসুর দৌলজোর গ্রামের লোকজন যে যার মত রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সংঘবদ্ধ চোর চক্র ওই গ্রামের ১৭টি বাড়ির সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা পয়সা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়ে যায়।

গ্রামের ব্যবসায়ী নরেন্দ্র নাথ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার ঘরের সিঁধ কাটা। তার ঘরে থাকা ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। তার আত্মচিৎকারে গ্রামের লোকজন একে একে জেগে উঠে জানতে পারেন সবার ঘরে সিঁধ কেটে নগদ টাকা পয়সা, দামি পোশাক ও মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করেছে চোর চক্রটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549436226910.jpg

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন ওই গ্রামের প্রবাসী এন্তাজ আলী। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৫৬ হাজার নগদ টাকা চুরি হয়েছে। সব মিলে চোর চক্রটি ওই রাতে গ্রাম থেকে প্রায় তিন লাখের বেশি নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গ্রামবাসীর দাবি। এক রাতে এমন চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামে।

এদিকে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি এবং ব্যবসায়ী।

গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া  জানান, কোন বাড়ির বেড়া ভাঙেনি। প্রতিটি বাড়ির সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা-পয়সা, দামি পোশাক ও কাগজপত্র নিয়েছে। গত বছরেও এই গ্রামে এক রাতে ১৩টি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। এখন পযর্ন্ত যার কোনো সুরাহা করতে পারে নি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

চুরির বিষয়ে ইউপি সদস্য ছামিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এমন দুর্ধর্ষ চুরি তিনি কখনই দেখেন নি। গ্রামের ১৭টি বাড়িতে একই সঙ্গে সিঁধ কেটেছে। সবার কাছ থেকে টাকা না পেলেও অনেকের নগদ টাকা চুরি হয়েছে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, চুরির বিষয়টি তার জানা নেই। তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;