ইতিহাসের সাক্ষী নীলফামারী'র নীলকুঠি



মাহমুদ আল হাসান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নটখানা নীলকুঠি, ছবি - বার্তা২৪.কম

নটখানা নীলকুঠি, ছবি - বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease
 
নীলফামারী: ভবনটির দিকে চোখ পড়লেই হৃদয়পটে ভেসে ওঠে দরিদ্র কৃষকের ওপর অত্যাচারী নীলকরদের নির্যাতনের বীভৎস দৃশ্য। বলছি উত্তরবঙ্গের সমৃদ্ধ জেলা নীলফামারীর অতীত ঐতিহ্যবহনকারী  নীলকুঠির কথা।
 
ব্রিটিশ আমলে এ জেলায় প্রচুর পরিমানে নীল চাষ হতো। আজো এ জেলার বিভিন্ন স্থানে নীলকুঠি দেখতে পাওয়া যায়। নীলফামারী তখন নীলফামারী নামে পরিচিত ছিল না। এটি ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের নীলকুঠিয়ালাদের নীল চাষের কেন্দ্রস্থল।
 
জানা যায়, বর্তমানে নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে ‘নটখানা’ নামে নীল খামার ছিল। তারও আগে স্থানটির নাম ছিল ‘লটখানা’। অবাধ্য নীল চাষিদের এ নীল খামারে এনে লটকিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো বলে এর নাম ছিল ‘লটখানা’। কালের আবর্তে লটখানা শব্দটি উচ্চারিত হতে থাকে ‘নটখানা’ রূপে। নটখানা থেকে ‘নীলফামারী’ শব্দটির প্রচলন।
 
ধারণা করা হয়- স্থানীয়দের বাচনভঙ্গির কারণে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’ এবং পরবর্তীতে নীলখামারী অপভ্রংশ হয়ে নীলফামারী নামের উদ্ভব হয়েছে। আরেক মত- নীল ফার্মার পরিবর্তিত হয়েও নীলফামারী হতে পারে। তবে নামকরণ নিয়ে যে বিতর্কই থাকুক না কেন নীল চাষকে কেন্দ্র করেই যে ‘নীলফামারী’ শব্দের উৎপত্তি তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549475546166.jpg
 
নীলফামারী ডিসি গার্ডেনের সামনের এই কুঠিটি ১৯৯৯ সাল থেকে  নীলফামারী অফিসার্স ক্লাব হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ঔপনিবেশিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ৬৩ ফুট X ৫১ফুট এ টিনশেড ভবনে ২টি ফায়ার প্লেস, ২টি বেড রুম, ১টি ড্রয়িংরুম, ২টি বাথরুম ও পেছন দিকে একটি বারান্দা রয়েছে নীলকুঠিটিতে।
 
অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ঘটলে কলে তৈরি কাপড়ের রঙের জন্য নীলের প্রয়োজন দেখা দেয়। ব্রিটিশ সরকার ভারত উপমহাদেশকে শাসন করছিল। তখন সেই সূত্র ধরে পূর্ব বাংলার কৃষককে তারা জোর করে নীল চাষ করতে বাধ্য করতো। চাষ পদ্ধতি ছিল বর্গা। জমি বর্গা নিয়ে নীল চাষ করতো কৃষক। কিন্তু নীলকর, জমির মালিকের পাওনা, চাষ খরচ- সবকিছু বাদ দিয়ে কৃষকের ভাগ্যে শূন্যের অঙ্ক বই কিছুই জুটত না। ফলে কৃষক নীল চাষে অস্বীকৃতি জানায়। আর এ কারণে তাদের ওপর নেমে আসত অপমান এবং নির্যাতন। তাদের স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে অত্যাচার চালানো হতো। এরকম অপ্রিয় ঐতিহাসিক সত্য কথাগুলোকে নতুনভাবে মনে করিয়ে দেয় এ ভবনটি।
 
এখন অনেক সময় পার হয়ে গিয়েছে। অনেক ইতিহাস বদলে গিয়েছে। সাথে সাথে বদলে গিয়েছে নীল কুঠির বাসিন্দারা। ১৮৮২ সাল থেকে এটি মহাকুমা প্রশাসকের বাসভবন, ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত এটি ছিল জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর বাসভবন। বর্তমানে এটি নীলফামারী অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে মজার ব্যপার হচ্ছে প্রায় ১৫০ বছর পুরনো এ ভবনটি, কোনো ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই আজও অটুট আছে।
 
জনমনে আজ ফুটে উঠেছে- ইতিহাসের সংরক্ষণের তাগিদে সরকারিভাবে ভাবনটির সংরক্ষণের প্রয়োজন। শুধু নীলফামারীর নয়, পুরো বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম যেন জানতে পারে আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত থাকা এই ইতিহাস। তাই স্থানীয় জনগণের ইচ্ছা, স্মৃতিময় এ ভবনটি সংরক্ষণ করে জাদুঘরে পরিণত করা হোক।
   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;