স্বামীর ছিল টাকার নেশা, স্ত্রী ভুগছিল একাকিত্বে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
অটোরিকশা চালক জহুরুল ইসলাম। ছবি: বার্তা২৪.কম

অটোরিকশা চালক জহুরুল ইসলাম। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক জহুরুল ইসলাম (২১) ও মলি খাতুনের (১৮) মধ্যে ছিল গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক। পরে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পরে এই ভালোবাসা এক বছরের বেশি জমে ওঠেনি।

স্বামীর অতিরিক্ত টাকার নেশা আর স্ত্রীর পরকীয়ায় সংসারে শুরু হয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। এক পর্যায়ে স্বামী জহুরুল ইসলাম বন্ধু আল আমিনের সহায়তায় স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।

পরে লাশ ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ফেলে ভাসিয়ে দেয়। এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে পাবনার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টিমের তদন্তে।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলার আমিনপুর থানায় জহুরুল ইসলামসহ ৯ জনকে আসামি করে অপহরণ ও গুমের মামলা করা হয়। ঘটনার পর গা-ঢাকা দেয় জহুরুল। অজানা থেকে যায় খুনের রহস্য।

এ ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর গেল বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাবনার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সখিপুর থেকে জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। জহুরুলের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাবনা জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, জহুরুল ও মলির বাড়ি একই গ্রামে। ছেলেটি অটোরিকশা চালাত। এ ঘটনার বছর খানেক আগে দুইজন দুইজনকে ভালোবেসে বিয়ে করে। বিয়ের পর কিছুদিন তারা সুখেই সংসার করছিল। একপর্যায়ে জহুরুলের টাকার নেশা চাপে। সে সকালে সিএনজি নিয়ে বের হয়ে অনেক রাতে বাড়ি ফিরত। এতে একাকিত্ব বোধ করতে থাকে মলি। সময় কাটাতে সে বন্ধু জুটিয়ে নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় জহুরুল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

একপর্যায়ে মলি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এতে জহুরুলের রাগ বেড়ে যায়। সে আল-আমিন নামে এক বন্ধুর সহযোগিতায় মলিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল দুই বন্ধু শোবার ঘরে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে। এরপর নিজের সিএনজি চালিত অটোরিকশাতে করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এলাকার একটি ব্রিজ থেকে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। এরপর সে প্রমাণ করার চেষ্টা করে তার স্ত্রী অন্য কারো সঙ্গে পালিয়েছে।

কিন্তু বেশকিছুদিন কোনো খোঁজ না মেলায় গত বছরের ১১ মে মলির বাবা আব্দুর রব বাদী হয়ে জহুরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে ৯ জনের নামে গুমের মামলা করে। এরপরই গা ঢাকা দেয় জহুরুল। সে প্রথমে নোয়াখালী ও পরে সখিপুর গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাতে থাকে। মামলার অন্য আসামিরাও জামিনে মুক্তি হয়।

পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম আরও জানান, গত বছরের ৫ মার্চ মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে দেয়া হয়। এরপর থেকেই জহুরুলকে খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু সে এলাকা পরিবর্তনের পাশাপাশি বারবার মুঠোফোনের সিমকার্ড পরিবর্তন করছিল। ফলে তাকে ধরা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তার অবস্থান শনাক্ত করে গেলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তার বন্ধু আল-আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;