গোলপাতা আহরণ মৌসুমে তেমন সাড়া নেই বাওয়ালীদের



আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বাগেরহাট
গোলপাতা আহরণ, ছবি: বার্তা২৪

গোলপাতা আহরণ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনে চলতি গোলপাতা আহরণ মৌসুমে তেমন সাড়া মিলছে না বাওয়ালীদের। বনবিভাগের কড়াকড়ি আরোপ ও তুলনামূলকভাবে গোলপাতার চেয়ে টিনের দাম কম হওয়াতে দিনকে দিন এর ব্যবহার কমছে। তারপরও জীবিকার তাগিদে পুরানো পেশা টিকিয়ে রাখতে ও নিতান্তই দরিদ্র মানুষের চাহিদা মেটাতে সংশ্লিষ্ট মহাজন-বাওয়ালীরা তাদের ব্যবসা ধরে রেখেছেন।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হাসান ও চাদপাই রেঞ্জ’র সহকারী বন সংরক্ষক মো: শাহিন কবির জানান, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে শরণখোলা, চাদপাই ও শ্যালা নামক তিনটি গোলপাতা কূপ রয়েছে। এর মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত শরণখোলা গোলপাতা কূপে গত তিন বছর ধরে গোলপাতা আহরণ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শরণখোলার ৯৫ ভাগ এলাকাই অভয়ারণ্য হওয়ায় সেখানে মাছ ও গোলপাতাসহ সকল ধরণের বনজ সম্পদ আহরণে সরকারের পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/11/1549882819085.jpg

এছাড়া অপর দুই কূপ শ্যালা ও চাদপাই থেকে গোলপাতা আহরণের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি হতে বাওয়ালীদের পাস পারমিট দেয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে শুধু শ্যালা কূপের পাতা আহরণের জন্য পাস দেয়া হচ্ছে। এ কূপের আহরণ শেষ হওয়ার পর চলতি মাসের শেষ দিকে চাদপাই কূপের পাস দেয়া হবে। এ পর্যন্ত শ্যালা কূপে ৪১টি নৌকার পাস দেয়া হয়েছে। যারা প্রতিদিন সেখান থেকে পাস অনুযায়ী নৌকা প্রতি ৫০০ মণ গোলপাতা কেটে বোঝাই করছেন। বনবিভাগের হিসেব মতে গত মৌসুমে এই দুই কূপ থেকে প্রায় ৪০ হাজার মণ গোলপাতা আহরণ হয়েছিল। এবারও বনবিভাগের আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার মণেই রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/11/1549882903740.jpg

মুলত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণ মৌসুম। কিন্তু নানা কারণে চলতি মৌসুমে বাওয়ালীরা বেশ দেরিতেই শুরু করেছেন গোলপাতা কাটার কাজ। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মাদ্রাসা রোডের গোলপাতা ব্যবসায়ী ইমন হোসেন, কুমারখালীর শাহজাহান ও মাকড়ঢোনের আবুল মৃধা বলেন, গোলের ব্যবসার জন্য বাওয়ালীদের প্রচুর টাকা দাদন দিতে হয়। দাদন নিয়েও তারা বন থেকে কেটে আনা গোল ঠিকমত আড়তে দেন না, পথে চুরি করে বিক্রি করে নিজের পকেট ভারি করেন। এছাড়া বাওয়ালীরা সুন্দর-সুশৃঙ্খলভাবে পাতা না কেটে দায়সারাভাবে কাটায় সেগুলোর বাজারে তেমন চাহিদাও থাকে না। যা ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত হওয়ার অন্যতম কারণ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/11/1549882836922.jpg

এ সকল ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, আগে গোলপাতা বহনকারী নৌকার দুই পাশে ঝুল (ভারসম্য) হিসেবে বনের বিভিন্ন ধরণের গাছ কেটে আনা হতো। কিন্তু এখন সেগুলো কাটা নিষিদ্ধ করায় দেশীয় গাছ নিয়ে ঝুল হিসেবে ব্যবহার করায় খরচও বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। এসব কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় এখন মংলা শহরে হাতে গোনা দুই একজন আড়তদার তাদের ব্যবসা ধরে রেখেছেন মাত্র।

চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: শাহিন কবির বলেন, আগে বড় বড় নৌকা নিয়ে এসে বাওয়ালীরা তাদের পাস পারমিট ছাড়া অতিরিক্ত গোলপাতা কেটে নিতেন। এতে তারা অধিক লাভবান হলেও বনবিভাগ প্রকৃত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতো। যার ফলে গত বছর থেকে বড় নৌকা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ১৪ মিটার দৈর্ঘ্যের নৌকার ব্যবহার ও বনের কোন ধরনের গাছ না কেটে দেশীয় গাঠ/কাঠ দিয়ে নৌকার ঝুল ব্যবহারের কড়াকড়ি নিয়ম করায় বাওয়ালীদের সংখ্যা এবার কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/11/1549882857576.jpg

এছাড়া বাওয়ালী কমার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা বড় নৌকা ব্যবহার করে আসছিল। বড় নৌকার ব্যবহার বন্ধ করায় অনেকে ছোট নৌকা সংগ্রহ করতে না পারায় বাওয়ালী নৌকার সংখ্যা গতবারের তুলনায় এবার কম। যারা আগেভাগে এসেছে তারা তাদের বড় নৌকা কেটে ছোট করে নিয়ে এসেছে।

এদিকে চলতি মৌসুমে গোলপাতা আহরণে বাওয়ালী/নৌকা কম হওয়ার কারণ হিসেবে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হাসান বলেন, তুলনামুলকভাবে গোলপাতার চেয়ে টিনের দাম কম। দুই বছর পর গোলপাতা পাল্টাতে হয় আর টিনের ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী হওয়াটাই অন্যতম একটা কারণ। তিনি আরো বলেন, আগে ঘরবাড়ীতে গোলের ব্যবহার হতো, এখন উঠে গেছেই বললেই চলে। শুধুমাত্র উপকূলের দরিদ্র শ্রেণির মানুষই এর ব্যবহার ধরে রেখেছেন। আর ধনীরা ব্যবহার করছেন চিংড়ি ঘেরগুলোর ঘরে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;