ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে বাড়ছে লাশের মিছিল



আল মামুন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সড়ক দুর্ঘটনার প্রতীকী ছবি

সড়ক দুর্ঘটনার প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অংশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় বাড়ছে লাশের মিছিল। এই দুটি সড়ক এখন যেন মৃত্যুফাঁদ। চলতি বছর এই দুই সড়কে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অন্তত ১৫ জন। এসব সড়ক দুর্ঘটনায় একদিকে যেমন প্রানহানী ও পঙ্গুত্ব সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি সম্পদেরও ক্ষতি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং, অদক্ষতা সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিপদজনক বাঁক, যত্রতত্র ফিটনেস বিহীন যান চলাচল ও সরকার নিষিদ্ধ থ্রি হুইলারের কারণে মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। তবে এটা কমাতে চালকদের সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের ৭৭ কিলোমিটারে প্রতিদিন ছোট-বড় ১২/১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ফলে এই অংশে গত কয়েক বছরে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে কয়েকগুণ। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ ছাড়াও ৪০টি জেলার অর্ধ লাখ যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করেন।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০১৮ সালে এই দু’টি সড়কে দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। গত ২৩ জানুয়ারি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার সুহিলপুরে বাস-ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার ধাক্কায় ২ জন, ১৯ জানুয়ারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগরে শশই এলাকায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন এবং ১৫ জানুয়ারি একই মহাসড়কে বীরপাশা এলাকার বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৫ জন প্রাণ হারান।

মহাসড়কে চলাচলকারী ইউনিক পরিবহনের যাত্রী মো. ইউসুফ মিয়া বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বাধ্য হয়েই এই সড়কে চলতে হয়। মূলত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকা সড়কের জন্য অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। এ জন্য সড়কগুলো ওয়ান ওয়ে করলে দুর্ঘটনার প্রবণতা অনেকটাই কমবে।’

মামুন পরিবহনের ড্রাইভার সাহাবুদ্দিন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা সামনে চলে আসে। হঠাৎ ব্রেক চাপার কারণে আমরা বাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি না। থ্রি হুইলার বন্ধ করা হলে রাস্তায় দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে।’

সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘চালকরা সচেতন না হলে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়। সিএনজি চালিত অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করতে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। চালক ও পথচারীরা সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;